ফেসবুকে একটা লেখা দেখলাম কুয়েটকে নিয়ে। দেখে কিছু জিনিস মিলাতে পারলাম না। তেমন কিছুনা, শুধু ছবি আগে পরে দেয়া হয়েছে কেন বোঝলাম না। তবে শেষে আমার পোষ্ট পেষ্ট করা হয়েছে দেখে আমি সেটা নিয়ে লিখতে আগ্রহী হলাম। কিছু জিনিষ সবাই কে জানানো দরকার মনে করলাম। তিনি যা লিখেছেন সবই ঠিক আছে। তবে সেখানে খুবই ঠান্ডা মাথায় সর্বশেষ ঘটনার নায়ক কে পিছনে ফেলা হয়েছে।
আমি ঘটনাটা ভালভাবে জেনে লিখতে চেয়েছিলাম। সময়ের অভাবে পারিনি। অনেকেই অনেক কিছুলিখেছে দেখে ভাবলাম দরকার নাই। কিন্তু এমন একজনার নাম চাপা পড়ে যাচ্ছে যে মূল ভিলেন।

সে হল জুবায়ের সিরাজ, তড়িত কৌশল ’০৭ ব্যাচ। সে অমর একুশে হলের ডাইনিং কমিটির সদস্য এবং অমর একুশে হলে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতা। যদি গ্রুপ বলি , তাহলে সে ইসফাক আবিরের বিরুধী গ্রুপ। ক্যাম্পাসে সে অনেক দিন ধরেই ফোকাসে আসার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তার নিজের গ্রুপের জুনিয়ররা একটু ভদ্র প্রকিতির হওয়াতে পেরে উঠছিলনা। তবে অমর একুশে হলে হামলার ঘটনা তাকে দিয়েই শুরু হয়েছিল। সে আগের রাতে সাধারন এক ছাত্রকে প্রতিবাদ করার জন্য না মারলে আজ ক্যাম্পাস বন্ধ হত না। সে টাকা মারার মূল হোতা।
ছাত্রলীগের নেতা জুবায়ের তাঁর এজাহারে বলেন, সোমবার বেলা আনুমানিক দুইটার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে চার শিক্ষকের নেতৃত্বে ৪০ জনএবং অজ্ঞাত বিবাদীরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, চাপাতি, রামদা, হকিস্টিক, হাতুড়ি ইত্যাদি দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অমরএকুশে হলে তাঁরকক্ষসহ (২০৫) অন্যান্য কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা হলে অবস্থানরত ছাত্রদের এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে।’
এজাহারে বলা হয়, বিবাদীরা জুবায়েরের কক্ষসহ হলের অন্যান্য কক্ষ থেকে ১৪-১৫টি কম্পিউটার, পাঁচটি ল্যাপটপ, সাতটিমোবাইল ফোনসেট,নগদ অর্থসহ ১৪-১৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিবাদীদের ধাওয়া করলে যে যার মতো পালিয়েযায়।
বিবাদীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এজাহার করতে দেরি হলো বলে উল্লেখ করেন জুবায়ের।
এস এম জুবায়ের সিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্যাররা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। মারামারির সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গিয়ে দু-একজনেরগায়ে হাত তুলেছিলাম।’
ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে জুবায়ের দাবি করেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে সারা দেশে জামায়াত-শিবির-বিএনপি সম্মিলিতভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারই অংশ হিসেবে কুয়েটে এই তৎপরতা চালিয়েছে।’
আমরা যারা কুয়েট কে ভালবাসী তারা সহযোগিতা করুন।গত ৩ বছরে কুয়েট ছাত্রলীগের অপকর্মের বিস্তারিত নিয়ে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।যারা পরিচয় গোপন রাখতে চান তারামেসেজ করে তথ্য পাঠাটে পারেন। কুয়েটের ছাত্রদেরকে রক্ষা করতে হলে ছাত্রলীগের সন্ত্রসীদের শাস্তির কোন বিকল্প নাই.
এদের কে চিনে রাখুন।শিক্ষক,বড় ভাই,সহপাঠী,ছোট ভাইদের রক্তে রন্জিত এদের হাত।নারী নির্যাতন কারী,গাঁজা,মদ সেবঙ্কারী,নিয়গ বানিজ্য,সিট বানিজ্য করে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎকারী ছাত্রলীগেরএই সন্ত্রসীরা।২-১-২০১২ এর ঘটনা সহ ২০০ এর বেসি ছাত্র-ছাত্রী নিপীড়িত,নিরযাতিত হইছ এইস কুকরের হাতে।বিশ্বাস করুন, এই কুকুরদের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪০ এর বেশি হবে না।কিনতু এরা সংঘবদ্ধভাবে রাতের আঁধারে হলে হলে হামলা চালায় রদ,চাপাতি,হাতুড়ি নিয়ে ।২০১০ সালে ডঃ আলমগীর v.c. ও শিবেন্দ্র শেখার শিকদার d.s.w head হওয়ার পর থেকে প্রায় নিয়মিত এইসব ঘটনা ঘটে আসতেসে। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে ক্যাম্পাসে সব ধরণের অবৈধ কাজ জড়িত ছিল ছাত্রলীগের এই গোষ্ঠী।সজল কুমার অধিকারী নামে এক civil department সন্ত্রাসী শিক্ষক এদের গুরু হিসেব পরিচিত।এরা এখন 2k9 ও 2k10 এর ছাত্রদেরকে লীগ করার ভিত্তিতে ও টাকা-পয়সার বিনিময়ে হলে সিট দেয়।নিচের ছবিগুলোতে ফুয়াদ নামে একজনের উল্লেখ আছে। গত ১ বছরে কুয়েটে সংঘটিত সব সন্ত্রসী কার্যক্রমে সিভিল ডিপার্টমেন্টের এই কুকুরের সরাসরি ভূমিকা ছিল।আবির(মেকা-০৭) এর সন্ত্রাসী কার্যক্রম শরু ২০১০ এ ০৬ ব্যাচ এর ইলেকট্রিকাল এর এক ছেলের গায়ে হাত তুলে। নয়ন ও সোহান নামের দুই জানোয়ার(মেকা-০৮) 2010এর আগস্ট মাসে মেকা-০৬ এর এর এক ছেলেকে নৃশংস ভাবে মারে ও হলত্যাগে বাধ্য করে। ২-১-২০১২ এর ঘটনা-খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক ভোজে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের প্রতিবাদ করায় বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের চাপাতি, রামদা, হাতুড়ি, শিকল ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাননি শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।তাদের হামলায় অন্তত ৬০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। কুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গেছে ভিসির পিএস দোলন মিস্ত্রীর নির্দেশে বিএল কলেজ ও রেলিগেট এলাকার ছাত্রলীগের ক্যাডাররা কুয়েট এ আসে এবং ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে পিটায়।
দোলন মিস্ত্রী বিএল কলেজ ছাত্রলীগের প্রাক্তন জিএস।দোলন মিস্ত্রীকে শিক্ষক ও ছাত্রদের মারধরের সময় উপস্হিত দেখা যায়।বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আসার খবর পুলিশ ভিসিকে জানানো সত্ত্বেও ভিসি পুলিশকে কোন ব্যবস্হা নিতে নিষেধ করে। এমন কি হলের নির্মান কাজের লোকেরা পাশের এলাকার আরিফ নামের যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ছাত্রদের মারে।
2k7 এর যে ভাই স্যার হবে তাকে দা দিয়ে কোপাল 2k9 এর তারই এক ছোট ভাই!
ভিসি আর শিবেন তার পর ও যে সব আজগুবি কথা বলতেসে মনে হইতেসে হয় আমি নেশা করসি নাহলে তারা.....
যারা হাসপাতালে ছিল তাদের সহ ৫০ ছাত্রের নামে মামলা হইসে।ওরা নিরীহ ছাত্রদেরকেও ছাড়েনি, এক ছাত্র ওদের কাছে কেঁদে কেঁদে মিনতি করছিল "ভাই আমাকে মারবেননা,আমার মা-বাবা অনেক গরীব"।নিরীহ ছাত্রদের আহাজারিতে কুয়েটের বাতাস সেদিন ভারী হয়ে গিয়েছিল।আমার ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল,চোখের সামনে রক্তাক্ত আমার বন্ধুরা কাতরাচ্ছিল।আমি ইসিই বিভাগের একজন ছাত্র কিন্তু ওদের ভয়ে সাক্ষী দিতে বা নাম প্রকাশ করতে পারছিনা;ওদের বিরুদ্ধে লাগলে কেউ বাঁচতে পারেনা।ছাত্রলীগের হামলায় আহত ও ছাত্রলীগ নেতার করা মামলার আসামি শুভজিৎ বটবেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা এস এম জুবায়ের সিরাজ ও রাইআন তাহসিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে ও কুপিয়েছে। এখন উল্টো আমাদেরই আসামি করা হলো। ভয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
""একদিনের একটা ঘটনা বলি। পরের দিন ক্লাস টেস্ট। সন্ধ্যার পর সবাই মিলে পড়ছি। আর হলের পাশেই অডিটরিয়ামের সামনে শুরু হলো আওয়ামী লীগের সমাবেশ আর মাইকে বক্তৃতা। সেখানে উপস্থিত মদ গাজা খোর ছাত্রবৃন্দের(!!) সামনে ঘোষনা দেয়া হলো, পাশ করলেই ছাত্রলীগের ছেলেদের চাকরী দেয়ার দায়িত্ব আ.লীগের নেতাদের। কি মুলা ঝুলানো হয় আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। তবে আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, সেই সমাবেশে উপস্থিত ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রান এক কর্মী কিছুদিন আগে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী থেকে বিতাড়িত হয়েছে চুরির অপরাধে। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে- ঝাকের পাখি ঝাকেই চলে।
কুয়েটের প্রশাসন যন্ত্রও আজিব। আজিব না, আসলে নির্জীব। যেকোনো পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান-‘ভার্সিটি বন্ধ’, ‘হল ভ্যাকেন্ট’।
নিজের রুমের দরজার সামনে ছাত্রলীগের স্টিকার লাগাতে না করায় বাইরে থেকে ক্যাডার এনে অপমান করা হয়েছিল আমাদের ব্যাচের সবচে নিরীহ ছেলেটিকে।প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হয়নি। প্রশাসন অপরাধীকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
হলে এসে ছাত্র পিটিয়ে গেছে ছাত্রলীগ। প্রতিবাদ দানা বাধার আগেই হল ভ্যাকেন্ট করে অপরাধীকে প্রশ্রয় দিয়েছে প্রশাসন। এখন এত প্রশ্রয় পেয়ে ছাত্রলীগ যে সাধারন ছাত্রদের পেটাতে রামদা নিয়ে আসবে এতে অবাক হবার কিছু নেই। বরং এরপর পিস্তল-একে ৪৭ না নিয়ে আসলেই অবাক হবো।""-pavel,ee05তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অনেককেই অনেক আহা-উহু করতে দেখেছি। কিন্তু সেইসব কু** বাচ্চা গুলা এখন কোথায়? এরপর চলে আসা হল ভার্সিটি লাইফে। দেশেও চলে আসল মহান (!) আওয়ামীলীগ সরকার! তার পরের অবস্থা আর কিছু বলার নেই। আজ দেশের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি চলছে তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে এক পাল কুত্তা। আশা করি , এবার ও আমাদের মহান শু** বাচ্চা মন্ত্রী গুলা এই ইস্যুতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বাল ফালাবে। আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব, শুনব। বুয়েটে আমরা প্রতিবাদ করেছি , কিন্তু কুয়েটে যে অবস্থা করা হয়েছে তাতে প্রতিবাদ করার মত অবস্থাও তো নেই। কিছুদিন আগে এই ব্লগেই কুয়েটের কয়েকজনকে দেখেছিলাম এই ভিসি কত মহান জ্ঞানী তা নিয়ে অনেক লেকচার দিতে ( যখন কুয়েটে কুত্তা লীগের ইভ টিজিং নিয়ে সবাই সম্মিলিত প্রতিবাদ করেছিল, তখন তারা কুয়েটের সম্মান গেল এই রব তুলে ভিসি কে সাপোর্ট করেছিল) ! তারা কোথায় এখন?????? কুত্তালীগের সাথে মদ খাইতে গেছে? সুতরাং কুয়েটে এই ঘটনায় কুত্তালীগের সাথে সাথে সুশীলবেশী কুত্তালীগের সমর্থক গুলোও সমান দায়ী। এই সুশীল বেশে আমরা যদি চুপ করে না থাকতাম । তাহলে আজ আর এই অবস্থা হত না।
মারামারিতে অংশ নেয়া কুত্তালীগের তালিকা। (এখনো অসমাপ্ত) কার কি ভূমিকা ছিল। তা পরে বর্নানা করা হবে।

জুবায়ের সিরাজ(EEE,07)

ইসফাক আবীর(ME,07)

অরিন(IEM,07, amar ekushe hall)

কাজল (bam dik thke 1st, IEM 07)

গোলজার(CE, 07)

ফুয়াদ( CE 07)

সোহান (ME,08)

তপু(ME,08)

মুন্না((CE,08))

নয়ন(ME,08)

রাতুল (ME,09)Tar Omor dialogue “Rashid Hall a ami ja bolbo tai ayin”.

ফয়সাল (CSE,08)

মামুন(CSE,08)

নাজমুল(EEE,08)

তুষার(CSE,08)

সবুজ (EEE,08)

অমিত (CE,08)

দিপ(ME,09)
শুভ (CSE,0৯


মোফাসসের(ME,09)

নাহিদ নমান লিপু

রাতুল (EEE,09)

Aman ME-2k10

Anis-URP 2K10

Ankur-CE 2K10

BONY-URP2K1

JISAN-CE2K10

NIHAR-CE2K10

NAYON-EEE2K10

Rahul_CE2K10

Salman-LE2K10

Shovo-ECE2K10

Shohag-EEE2K10

Tonmoy-LE2K10
Shimanto-EEE2K10
