মওদুদীবাদী জামাত-শিবিরের ক্ষেত্রে সন্ত্রাস রীতিমতো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাপার। ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে এই চক্র ১৯৭১ সালে মানুষকে হত্যা করেছে, ঘরে আগুন দিয়েছে, মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে। এখনো হত্যা, রগ কাটা অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা মেধাবী ছাত্র ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের হত্যার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে এখনো। এসব ঘটনা ১৯৭১-এর বুদ্ধিজীবী নিধনেরই ধারাবাহিকতা। শিবিরের নৃশংসতার সঙ্গে অন্য কারো তুলনা হয় না। একটিবার ফিরে তাকানো যাক শিবিরের বর্বরতার দিকে।
২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ ঈসায়ী : বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন'ী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি ছাত্রশিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীনসহ আরো দুইজন শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে রাবি’র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে।
২১ আগস্ট, ২০০৬ ঈসায়ী : রাবিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার জন্য অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিবির। প্রকাশ্য সমাবেশে তারা হাসান আজিজুল হকের গলা কেটে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ ঈসায়ী : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে যোগদানকারী নতুন ১ শিক্ষককে শিবির ক্যাডাররা ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর মার্কেট এলাকায় ছুরি চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ক্যাম্পাসে শিবিরের কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করায় তার এই পরিণতি ঘটে।
৫ আগস্ট, ২০০৭ ঈসায়ী : শিবির ক্যাডাররা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের ৪ জন সাংবাদিকের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। ২ জন সাংবাদিককে তারা রাবি’র গোপন ১টি কক্ষে প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকে রাখে।
১৯ আগস্ট, ২০০৭ ঈসায়ী : বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রাবাসে শিবির ক্যাডাররা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ সময় তারা ছাত্রাবাসের ৪টি কক্ষ একেবারে তছনছ করে দেয়।
২ মে, ২০০৮ ঈসায়ী : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন সহকারী প্রক্টরের উপর শিবির ক্যাডাররা হামলা চালায়।
বিজয় দিবস, ২০০৮ ঈসায়ী : শিবির ক্যাডাররা পাবনার পীরপুর গ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী মনিরুজ্জামান সজীবের উপর ধারালো অস্ত্র সহকারে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতরভাবে জখম করে।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ঈসায়ী : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে হত্যা করে ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে শিবিরের ক্যাডাররা।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ঈসায়ী : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র এএএম মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা।
অবশ্য এটা তাদের কুকর্মে সামান্য নমুনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



