দীর্ঘ দিনের অবহেলা, অব্যাবস্হাপনা এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে বাংলাদেশের জালানি ব্যবস্হা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। এ সমস্যা অল্প দিনের নয়, অল্প দিনে তা সমাধান করাও সম্ভব নয়। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে গেলে এ সমস্যা একটা নির্দিষ্ট সময় পর সমাধান হবে। যেটা দেখার বিষয় তা হলো সরকার সে রকম কনো পরিকল্পনা গ্রহন করেছে কিনা এবং তা বাস্তবায়নে তারা সচেষ্ট কিনা। আমার দৃষ্টিতে সরকার জনগন এর কাছে এ বিষয়ে তাদের অবস্হান নিয়মিত ভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং তাদের সীমাবদ্ধতার ক্থা অকপটেই বলছে। তারা তাদের পরিকল্পনার কথাও জনগনকে বোঝাতে চেষ্টা করছে। যথেষ্ট না হলেও আশায় বুক বাধা যায়।
যুদ্ধ অপরাধির বিচার একটি সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয় যার সাথে আমাদের জাতির মর্যাদার প্রশ্ন জড়িত, আইনের শাসনের অস্তিত্তের প্রশ্ন জড়িত। কোন খুনি, সন্ত্রাসি আমাদের সমাজে মাথা উচু করে ঘুরে বেড়াক আশা করি আমরা কেঊ তা চাই না। ৭১ এ যারা শ্ ত শত মানুষ হত্যা করেছে, বুদ্ধিজিবী হত্যা করেছে, অসংখ্য নারী ধর্ষন করেছে, সর্বপরি একটা জাতিকে যারা হত্যা করতে চেয়েছে তাদের কোন বিচার হবে না, তারা মন্ত্রী হবে এম পি হবে বুক ফুলিয়ে আমাদের মাঝে বসবাস করবে, আমি চিন্তা করতে পারি না আমরা কিভাবে তা সহ্য করছি।
কিছু লোক আজকাল বলছে শুনছি সরকার বিদ্যৎ, জালানির ব্যাবস্হা না করে বিচারের পিছনে সময় নস্ট করছে। আপনার ও যদি এক মত হয় তবে জানতে চাইব আপনার পিতার খুনি, আপনার মাতার ধর্ষক যদি আপনার সামনে ঘুরে বেড়ায় তবে আপ্ নি মানতে পারতেন? এই দেশের অনেক সন্তান যাদের পিতাকে এই স্ ব যুদ্ধাপরাধিরা হত্যা করেছে, যাদের মাকে এরা ধর্ষন করেছে, তারা মাথা নীচু করে জড় পদার্থের মত আমাদের সমাজেই বসবাস করে। আমরা চাইলেই তাদের পাশে দাড়াতে পারি। আমার অনুরোধ আমরা কেউ যেন যুদ্ধাপরাধির বিচারকে অন্য কিছুর সাথে মিলিয়ে না ফেলি।
বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সমস্যা সল্প সময়ে সমাধান করা না গেলেও যুদ্ধ অপরাধির বিচার সল্প সমেয় করা সম্ভব। আর এই সম্ভব কাজটি যারা পরে করতে চায় তারা আসলে কি চায়?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



