আজ মহান মে দিবসে দেশে ও বিদেশে সকল শ্রমিক ভাই দের জানাই প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের আজ বড় সম্পদ হল তার প্রবাসী শ্রমিক। আজ আর একথা বলতে তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। প্রবাসী শ্রমিক ভাইদের ঘামে ভেজা টাকার জন্যে আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পাহাড় জমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর এবং অর্থ মন্ত্রী খুব খোশ মেজাজে থাকতে পারছেন। আমদানি বিল মেটাতে অর্থ ম ন্ত্রীকে হাত জড় করে আই এম এফ এর দুয়ারে দাড়াতে হচ্ছে না।
বিনিময়ে আমরা এই প্রবাসী শ্রমিকদের কি দিচ্ছি? যে সকল সরকার এই শ্রমিকদের চাকুরির ব্যাবস্হা করছেন তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কি ভাবে ভাবছেন?
আমি নিজে একবার দিল্লীতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঢুকার অনুমতি না পেয়ে গেটে বসে অতি সম্মানিত কনসুলার মহাসাহেব এর রাজ মুখ দর্শন করতে পারিনি। আমি ভেতরে ঢুকে তার সাথে দেখা করে কথা বলতে চাইলাম তিনি আমাকে ঢুকতে তো দিলেন ই না আমার সাথে এমন ভাবে কথা বললেন আমার মনে হলো তিনি আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি বাংলেদেশের প্রথম শ্রেণীর একজন নাগরিক আমার সাথে যে ব্যাবহার করলেন আল্লাহ্ জানেন আমাদের অশিক্ষিত দরিদ্র শ্রমিক ভাইদের কি ব্যাবহার পেতে হয়।
আমি জানতে চাই চোস্ত ইংরেজী শিখিয়ে আমরা কতগুলো জানোয়ার কে পাঠাচ্ছি বিদেশে? তাদের কে কি শেখানো হয়েছে? কি ভাবে প্রবাসী শ্রমিক এর সাথে ব্যাবহার করতে হবে তা কি তারা ট্রেনিং করে শিখতে পেরেছে?
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



