বড্ড আজব এই দেশ। ধর্ষক এখানে ইজ্জতের রক্ষাকর্তা হইতে চায়। মূর্খ সাজতে চায় বিদ্যাসাগর। কি আচানক! কি আচানক! সামুতে বইসা কত কিছু যে দেখার সৌভাগ্য হইল,লিখা শেষ করা অসম্ভব।
গত কয়েকদিন ধইরা একজন হোমরা-চোমরা ব্লগারের লুঙ্গি খুইলে ফেলা হইল। এই নিয়া তিনার কোন সদুত্তর পাওয়া গেল না।
তিনার একটা পরিচয় তিনি তথাকথিত মুক্তমনা এবং ধর্মে অবিশ্বাসী। কিন্তু আবার একজায়গায় দেখলাম তিনি আবার 'আনাল হাক্ক' বইলা শীৎকার ধ্বনি তুলতেছেন। তিনার কাছে মা,মেয়ে,বউ,খালা,দাদি,নানি কোন ভেদাভেদ নাই। সকলেই ভোগ-যোগ্য। কি চমৎকার কথা! এই না হইলে মুক্তমনা!!
এই রকম মুক্তমনা(!) একজন মানুষ যখন তার ছেড়া লুঙ্গি না সামলায়া নির্যাতিত নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠনকারীর বিপক্ষে কোন পোস্ট করে,তখন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়। ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরানোর জন্য দারুন এক প্রচেষ্টা ছাড়া এটি কিবা হতে পারে? তিনার ওই পোষ্টে কমেন্ট মুছার সেঞ্চুরি হয়া গেল,কিন্তু মুল কারণটা জানা গেল না। তিনার বক্তব্য গালিগালাজ করনের কারনে নাকি কমেন্ট মুছে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কমেন্টকারী ব্লগারদের বক্তব্য আবার ভিন্ন। মুক্তমনারা আবার কমেন্টও ডিলিট করে। হায়রে মুক্তমনা!!
শিশুপর্ণসাইট যৌবনজ্বালার সাথে যিনি সম্পৃক্ত, তিনি যদি নারীর সম্ভ্রম রক্ষা করতে আহবান করেন তবে বুঝে নিয়ে হবে আমরা সভ্যতার কততম স্তরে বসবাস করছি।
অনেকে হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন,একটা অনৈতিক ব্যপারে যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন। এখানে বাধা কোথায়? তবে তাদের বলছি,একটু ভেবে চিন্তে কথা বলবেন। একজন খুনির মুখে যেমন খুনের প্রতিবাদ মানায় না,তেমনি শেখ হাসিনার মাসিকের তারিখ গবেষণাকারীর মুখে নারীর নির্যাতিত হবার প্রতিবাদ মানায় না। যেমনি মানায় না একজন যুদ্ধাপরাধীর মুখে একাত্তরের ধর্ষিত নারীদের প্রতি সহানুভূতি।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার না করে যারা স্রোতের অভিমুখে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়ে কিছু নাবালকের বাহবা নিতে মানুষের অন্তরে আঘাত করতে কার্পণ্য বোধ করেনা,তাদের এবং তাদের পৃষ্টপোষক ব্লগ মালিকদের প্রতি ধিক্কার।
এখানে গেলে সব কিছুই বুঝতে পারবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



