somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্দীর বিচার

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্দীর বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই ব্যবস্থায় আদালতে না নিয়েই কারাগারের ভেতরে রেখেই বন্দীর হাজিরা, সাক্ষী ও জবানবন্দী নিয়ে বন্দীর বিচার করা হবে। এর মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে রেখেই শেষ হবে পুরো বিচার কাজ। বিচার ব্যবস্থায় উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বন্দীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে বিচারিক ব্যবস্থায় এ ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন পদ্ধতিতে বন্দীর বিচারিক কাজ করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে বলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। এ পদ্ধতিতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষী গ্রহণ, হাজিরা ও বিচার কাজ চলমান রয়েছে।

বন্দীর অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে বন্দীর বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন করে বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও কারা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিফলন ঘটাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ‘এ টু আই’ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় কারা অধিদফতর ইতোমধ্যেই এটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু করেছে। এ পদ্ধিতে বিচার চালু করা গেলে শীর্ষ অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আটক বিচারাধীন বন্দীর বিচারের জন্য কারাগার থেকে আদালতে আনা নেয়া করতে হবে না। ফলে রাস্তায় বন্দী ছিনতাই, আসামির পলায়ন নিয়ে কোন ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিচারকার্যে বন্দীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের ভেতরে ও কারাভ্যন্তরে টেলিভিশনসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি প্রতিস্থাপন করে বন্দীর সঙ্গে সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে ও সশরীরে উপস্থিতি দেখে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে জঙ্গী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ, আলোচিত এবং স্পর্শকাতর সব মামলার আসামিদের এ পদ্ধতিতে বিচার করা হবে। তবে জেলা জজ আদালতের বিচারাধীন আসামিদেরই এ পদ্ধতিতে বিচার করা হবে। পাইলট এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অর্থ বিচার বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জড়িত থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) প্রকল্প ও সুপ্রীমকোর্ট যৌথভাবে প্রদান করবে। এক্ষেত্রে কারা বিভাগকে কোন ধরনের অর্থ প্রদান করতে হবে না।

একটি সূত্র জানায়, ডিজিটাল পদ্ধতির নতুন এ বিচারিক ব্যবস্থা চালুর জন্য ফৌজধারি কার্যবিধির একটি অংশ সংশোধন করতে হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন বিষয়ে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিচারিক কর্মকা- পরিচালনা করা যায় কিনা বা এ সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের আইনী মতামত প্রদান করতে ইতোমধ্যে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার যথেষ্ট আগ্রহ থাকায় বিষয়টি বাস্তবায়নে তেমন একটা সমস্যা হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কারাসূত্র জানায়, দেশের ৬৮ কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারে আটক বন্দী বিবেচনা করে এর মধ্যে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও শীর্ষ অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আটক বন্দীর কারাগার বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি প্রিজন্সে (কেন্দ্রীয় কারাগার) আটক বন্দীদের এ পদ্ধতিতে বিচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির এক সভায় আদালত থেকে কারাগারে আসা যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে জঙ্গী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বন্দী ছিনতাই ও আসামি পালিয়ে যাওয়া রোধে আসামিকে আদালতে না এনে কারাগারে রেখে উন্নত দেশের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা যায় কিনা তার জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ জন্য তিনি প্রাথমিকভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে এ পদ্ধতি চালুর জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপরই শুরু হয় তোড়জোড়। তবে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এ টু আই’ প্রকল্পের পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা পূর্বক সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দুর্ধর্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ আসামি বর্তমানে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি প্রিজন্স কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকায় সে কারাগারটিকে বিবেচনায় নিয়ে দুটি কারাগারে এটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। পাইলট প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন করা গেলে পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য কারাগারেও এ পদ্ধতিতে বন্দীর বিচার করা সম্ভব হয় কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের বাকি এগারো কেন্দ্রীয় কারাগারের আটক বন্দীকে এ পদ্ধতিতে বিচার প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন এ পদ্ধতিতে বন্দীর বিচার চালু করতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও কারা অধিদফতরের কর্মকর্তাগণ কয়েক দফা বৈঠক সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এ দুটি কারাগার পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে বিচার করতে দুই কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি কক্ষকে বিচার কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হবে। পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রকল্প অর্থায়ন করবে বলে জানা গেছে। সরকারী পিপিআর নীতিমালা অনুযায়ী ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা ও বিচার করার জন্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে।

কারাসূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ও এক্সেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) প্রকল্পের পরিচালক কবির বিন অনোয়ারের নেতৃত্বে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কারা বিভাগ ও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়েছে। বিষয়টির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (কারা শাখা) শিরিণ রুবি ও ঢাকা বিভাগের উপ কারা মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, কারা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মোঃ মঞ্জুর হোসাইন, গাজীপুরের জেলার ফোরকান আহমেদকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১ মাস আগে উক্ত কমিটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ বিচার কাজ পরিচালনার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরজমিনে পরিদর্শন করতে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি প্রদান করেন। পরিদর্শন শেষে কারাগারের প্রাশাসনিক ভবনের মধ্যে মূল ফটকের পাশের ডানের কক্ষটিকে ডিজিটাল বিচারকাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়। জানা গেছে, উক্ত কক্ষটিকে যেহেতু বিচারের কাজে ব্যবহার করা হবে তাই এটিকে আদালতের মতো সব ব্যবস্থাই রাখা হবে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি উক্ত কমিটি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি প্রিজন্স কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করে বিচারকাজের জন্য অফিস কক্ষ নির্বাচন করেছেন। এছাড়া কোন পদ্ধতিতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে তার সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষকে সম্যকধারণা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আসামিদের এ বিশেষ পদ্ধতিতে বিচারকার্য করা হবে। এজন্য কারাগারের নির্দিষ্ট স্থানে আসামিকে হাজির করা হবে। ক্যামেরার সামনে রাখা আসামিকে প্রয়োজনে বিচারক বিভিন্ন প্রশ্ন করবেন। আসামির বিচারকের উত্তর দেবেন। কারাগার ও আদালত উভয়স্থানেই ক্যামেরাযুক্ত ওয়াইফাই ইন্টারনেট চালু থাকবে। ভিডিও কলের মাধ্যমে বিচার করা হবে বিধায় ইন্টারনেট সেবা নির্বিঘœ করতে উন্নতমানের বিশেষ ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে আসামিদের নির্দিষ্ট তারিখের হাজিরার জন্য ঢাকার বিভিন্ন থানায় করা মামলার বিচার বা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার কার্যক্রম এ দুই কারাগারে রেখেই করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী বা জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ঢাকার বাইরে করা মামলাগুলোর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে বিচার করা সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে বন্দীদের ঐসব আদালতেই নেয়া হবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ডিজিটাল বিচার ব্যবস্থা ঢাকার জেলা জজ আদালতে প্রাথমিকভাবে চালু করা হবে। তাই অন্যসব আদালতে এ ব্যবস্থা চালু না থাকায় বর্তমানের বিচারিক পদ্ধতিই চালু থাকবে। কারা সূত্র জানায়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিচার করা হবে বিধায় বন্দীর সকল কর্মকা- রেকর্ড করা হবে। বন্দীর সকল কথা ও সাক্ষ্য এমনকি বিচারিক সব কর্মকা-ই রেকর্ড করা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে এসব বিচারের রেকর্ড সর্ব সাধারণের জন্য প্রদান করা হবে না বলে জানা গেছে। এছাড়া আসামি পক্ষের এ্যাডভোকেট বন্দীকে প্রশ্ন করার ব্যবস্থা থাকবে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে আসামির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইলে কারাগারে এসেও আসামির এ্যাডভোকেট তার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ডিজিটাল এ বিচারিক ব্যবস্থা বর্তমান ব্যবস্থার চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় এ বিষয়ে ফৌজধারি কার্যবিধি পরিবর্তন করে বা কিছুটা সংশোধন করা হতে পারে। এছাড়া সারাদেশের সব আসামির বিচার এ পদ্ধতিতে করা যায় কি সে বিষয়ে মতামত জানতে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা শাখার পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রদান করেছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর এ কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিষয়টির দ্রুত ও সঠিক নিয়মে বাস্তবায়ন করতে সুপ্রীমকোর্টেরও প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও প্রধান বিচারপতির এ বিচারিক পদ্ধতিটির প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকায় দ্রুত এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ বিষয়টির গুরুত্বরোপে কারা অধিদফতরের কারা উপ-মহাপরিদর্শককে সাতদিন সময় দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে মতামত প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক জঙ্গী, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন আলোচিত এবং স্পর্শকাতর মামলার আসামিদের বিচারের জন্য নিয়মিতভাবে আদালতে আনা-নেয়া করতে হয়। তবে সতর্ক থাকার পরও এর আগে প্রিজনভ্যান থেকে বিচারের জন্য নেয়া জঙ্গীদের ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলি করে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়া দেশের আইনে শীর্ষ অপরাধে অভিযুক্ত আটক আসামিদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিচারিক ব্যবস্থায় নতুনত্ব আনার মাধ্যমে বিচারকার্য সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে প্রথমবারের মতো শুধু জঙ্গী, দুর্ধর্ষ ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আদালতে না নিয়ে কারাগারের ভেতরেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আসামির সাক্ষ্য গ্রহণ, হাজিরা ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার এ ধরনের বিচারিক ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে আসামির সামনে ও আদালতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও কল করে আসামিকে দেখে ও তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বিচারকার্য পরিচালনা করা হবে। এতে করে বন্দী ছিনতাই রোধ হওয়ার পাশাপাশি বন্দীর সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি প্রিজন্স কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ব্যবস্থাটি চালু করা হবে। এজন্য ইতোমধ্যেই দুই কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ভেতরের দুটি কক্ষ বিচারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিচার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে বিচারিক কার্যক্রম চালু করা যায় কিনা তা দেখতে দুই কারাগার পরিদর্শন করেছেন।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিচার পরিচালনায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ, হাজিরা ও বিচার কাজ চলমান রয়েছে। তাই পাইলট প্রকল্প হিসেবে নেয়া এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এ টু আই’ প্রকল্পের উদ্যোগে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সুপ্রীমকোর্টের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। তবে এ জন্য বিচারিক ব্যবস্থায় কোন সমস্যা রয়েছে কিনা বা ফৌজদারি আইনে ডিজিটাল বিচারিক ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব কিনা তা যাচাই করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত পাওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সুপ্রীমকোর্টের সহযোগিতায় প্রকল্পটির কার্যক্রম দ্রুতসম্পন্ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কারা কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×