somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ স্বপ্নের দিনরাত্রিগুলো

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চল মামা আজ খাওয়ামু তোগো ।
আমরা আবার বলে চিৎকার করে উঠলাম !! এই না কয়দিন আগে ??
হুম আবার বলে মিচকি একটা হাসি দিল ছেলেটি । আমরা অবাক না হয়ে পারি না ।
"এই না কয়দিন আগে ??" শুনে যারা ভাবছেন কয়দিন আগে ও আমাদের খাইয়েছে এখন আবার খাওয়াচ্ছে তাতে অবাক হচ্ছি । মোটেও তা না !! ও কয়দিন আগে একটা প্রেম শুরু করছে এবং গত ২-১ দিনের মাঝে আবার ব্রেক আপ করছে । এবং ও শুধু নতুন প্রেমে পরলে একবার আর ব্রেক আপ হলে একবার খাওয়ায় । মাঝে যত যা হোক ওর কাছ থেকে এক কাপ চাও কেউ খেতে পারবে না । আমরা মোটামুটি অভ্যস্ত ।

অবাক লাগে লিকলিকে গরনের ছেলেটা বেশ শুকনা , লম্বাও না তেমন । কিন্তু কিভাবে যেন একটার পর একটা গার্ল ফ্রেন্ড জোগাড় করে । আবার ব্রেক আপ করে । কোনটাই সে ৫-৬ মাসের বেশি রাখে না । আমরা অবাক হই হিংসে করি । আবার ২ মাসের মধ্যে নতুন কেউ । শুধু একটাই আফসোস আমরা কেউ কখনো ওর কোন গার্লফ্রেন্ডের মুখ দর্শন করতে পারি নাই । আমাদের সামনে বসে ফোনে কথা বলে সাথে সাথে নাম্বার ডিলিট । আজব চরিত্র একটা ।

ওর আর একটা গোপনীয় জিনিস আছে ওর ডায়রিটা যেটায় নাকি সকল কৃতী -কুকীর্তি সব লেখা আছে ওটা দেখার সৌভাগ্যও আমার হয় নি । ডায়রিটার কথা শুধু আমি জানি আর কেউ জানেও না । একদিন হঠাৎ করে ওর বাসায় গিয়ে টেবিলের উপর দেখেছিলাম , তারপর থেকে ওর বাসায় হঠাৎ যাওয়া নিষেধ !!
ছেলেটা প্রচুর ব্যস্ত থাকে কিভাবে থাকে কে জানে কোথা দিয়া উদ্ভট সব কাজ যোগার করে , এইতো সেদিন হঠাৎ ফোন

ঃ--শোন একটা কনসার্ট করতে হবে ।
ঃকিসের কনসার্ট ? আমার কাছে ক্যান বলতেছিশ ?
ঃ--তোর কাছেই তো বলব তোর না এক ভাই পরিচিত আছে গান গায় তারে রাজি করবি, কিভাবে করবি জানি না !
ঃকিসের কনসার্ট ?
ঃ-- আমার ছোট বোনের বিয়া , আর শোন বলবি আমি কোন টাকা দিতে পারব না !!

বলেই ফোন রেখে দিল , ওর ছোট বোন কথা দিয়া আসলো বুঝলাম না । ইহ জনমে শুনি নাই ওর ছোট বোন আছে ! ও যখন বলছে নিশ্চয়ই আছে । কিন্তু টাকা দিতে পারবে না এইটাইতো বিপদের কথা । সন্ধ্যায় এক গাদা পোস্টার নিয়ে অফিসে হাজির
ঃ--চল লাগাতে হবে
ঃ মানে ?
ঃ--আমরা সবাই মিলে লাগাবো , সাইফ , সাব্বির ,আরিফ , আলামিন সব গুলারে ফোন দিছি আসতেছে
ঃকি বলছিছ ওদের ?
ঃ--বলছি কেস খাইয়া গেছি, বিয়ার সাক্ষী লাগবে ।
পোস্টার খুলে দেখলাম " কনসার্ট ফর ম্যারেজ" নিচে বড় করে লেখা "দুস্থ ছোট বোনদের বিয়ের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসুন" সকালে বিয়ে বিকালে কনসার্ট দুপুরে যারা আসবে সবার জন্য খাবার । সকল কিছুর জন্য শর্ত প্রত্যেকে ২০০ টাকা নিয়ে আসবে ।
নিচে পুরা হিসেব এক এক করে বিস্তারিত ।
পুরো বিষয়টা বুঝে আগে সেই গায়ক ভাইকে বলে বুঝিয়ে রাজি করে পোস্টারিং করে ওর রুমে সবাই ঘুম । সকাল ৮ টায় হুরমুর করে তুলে দিল সবাইকে বলল যে যার কাজে যা । সবচেয়ে অবাক করল যখন জিজ্ঞেস করলাম তুই ? বলল ওর চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে, বস নাকি বেলেছে এরকম করলে চলবে না । ও ছেড়ে দিছে ।
জীবনের সব কিছুকে হাল্কা ভাবে নেওয়াটা ও অভ্যাসে পরিনত করছে ।
বিয়ের পর্বটা ভালভাবেই শেষ হয়েছে , ওর কোম্পানির স্পন্সরেই হয়েছে চাকরীতে আবার আগের মতই জয়েন করেছে ।
ওর সব কিছু আছে তারপরও কেমন যেন এক শুন্যতা আছে ওর মধ্যে । ওর মা প্রায়ই বলে ওর কি হইছে রে বাসায় আসলে দরজা বন্ধ করে দেয় কথা বলে না । আমি মিলাতে পারছিলাম না কি বলে অ্যান্টি দিনে দেখা এই ছেলেটার মাঝে রাতে এতো কিসের শুন্যতা ?

অ্যান্টি .২ দিনের জন্য বাড়ি গেল, আমাকে বলে গেল ওর সাথে থাকতে ও প্রথমে রাজি না হলেও যে মানুষটিকে ও সবচেয়ে ভালোবাসে তার কথা রাখতেই আমাকে থাকতে বলল শুধু শর্ত ওকে জ্বালানো যাবে না । শুক্রবার ছিল সকাল সকালই আসলো সবাই আড্ডা দিলাম নিজ হাতে রান্না করলাম দুপুরে খেলাম । হই, হুল্লোড় গল্প ,গান তারপর হঠাৎ বলল "চল মামা আজ খাওয়ামু তোগো " রাতে বাইরে খেয়ে যে যার বাসায় । পুরো আসরটাই ওই মাতিয়ে রাখল । সবাই যে যার মত চলে গেল রইলাম শুধু আমি আর ও । নাহ অ্যান্টির কথার সাথে কোন মিল পেলাম না । আমাকে শুয়ে পরতে বলে ও মোবাইলটা নিয়ে বাইরে গেল ফিরে আসলো প্রায় সাথে সাথেই । এসে বসলো টেবিলে ড্রয়ার থেকে বের করল কিছু একটা । লেখার খস খস আওয়াজ পেলাম কি করছে দেখতে গিয়ে তাকালাম, টেবিল লাইটের আলোতে কিছু একটা চিক চিক করছে ওর গালে । ভালো ভাবে লক্ষ করলাম একি!! ওর চোখে পানি ? কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতে গিয়েও থেমে গেলাম । এটা একান্তই ওর ।

ভোর ৫ টায় ডেকে তুলল আমার পরিচিত কারো ও- রক্ত আছে কিনা জানতে । থাকলে জানাতে বলে তারাহুরা করে বের হয়ে গেল ঘরের তালা আমার কাছে রেখে । আমি ৭ টার দিকে উঠলাম ৮ টায় অফিসে যেতে হবে বলে একটু তারাহুরাই করছিলাম আন্টির আজ আসার কথা তাই সব গুছিয়ে নিচ্ছিলাম । রেডি হয়ে বের হব ঘড়ি ওর টেবিল থেকে নিতে যাব তখন দেখলাম ডায়েরীটা কাল রাতে ওর চোখে পানি দেখার পর এ প্রথম মনে হচ্ছে কিছু কিছু ডায়েরী দেখা অপরাধ না ।
প্রথমে গতকাল রাতের পাতাটাই খুজলাম

ডায়রির প্রথম পৃষ্ঠায় বড় করে লেখা "আমার জগৎ" প্রথমের কয়েক পৃষ্ঠা আমার জানা ওর অর্জন গুলো , না জানা শুধু ওর না পাওয়া গুলো । ওর কিছু কষ্ট যে গুলো থেকে আমরা অনেক দূরে ।

মাঝ খানের একটা পৃষ্ঠায় বড় করে লেখা "মায়াবতী" । পরের পৃষ্ঠায় লেখা ঃ-

মায়াবতী,
প্রথম যখন তোমায় দেখি সন্ধানীর ব্লাড ক্যাম্পের পর মিটিঙে বাকি সাধারণ কয়েকটা মেয়ের মতই লাগ্লেও বার বার চোখ যাচ্ছিল তোমার দিকে আচ্ছা ওটা কি "লাভ এত ফাস্ট সাইট" ? তারপর কয়েকদিন তোমাকে দেখা ভাবা কিভাবে যেন মনের মধ্যে গেথে ফেলা । তারপর অনেক দিন পর আজ যখন দ্বিতীয়বারের মত পেলাম রবীন্দ্রনাথের ওই লাইনটাই শুধু মনে পরছিল "আমি পাইলাম আমি উহাকে পাইলাম" মায়াবতী তুমি রাগ করো না আমি তোমার কথা কাউকে বলব না । তোমাকে লুকিয়ে রাখব ভালোবাসা দিয়ে তারপর একদিন বন্ধুদের বলব যেদিন তুমি লাল টুকটুকে একটা শাড়ি পরে আমার বাড়ি আসবে ।

এর পরের গল্প গুলো শুধু ওর মায়াবতীর সাথে ওর রাগ অভিমান , কষ্ট ,দুস্টমি সব মিলেয়ে ওদের ভালোবাসা ।

মায়াবতী ,
তুমি সেদিন যখন বলেছিলে , সারাদিন খাওনি ? আমি বললাম মনে ছিল না । তুমি অভিমান করে বলেছিলে যাও আমি আর তোমার সাথে কথা বলব না । মায়াবতী তুমি হয়ত জানো না আমার সাথে করা ওঁটাই কারো প্রথম অভিমান , কিংবা ভুল করে যেদিন বলে ফেলেছিলে "তুমি" ভালো লাগার যেই অংশটা ওই ভুলটা দিয়েছিল হয়ত অনেক ফুলো তা দিতে পারবে না । মায়াবতী ওই ভুলটা তুমি বার বার করো । মায়াবতী তুমি যখন আমার প্রকাশ করা আবেগ গুলো কথার মার প্যাঁচে এড়িয়ে যেতে চাও ভালো লাগে আবেগ গুলো তোমায় ছুঁয়ে যায় বলে । মায়াবতী তোমার মায়ায় জড়িয়ে পরে তোমার মায়া গুলোকে ভালবেসে ফেলেছি ... হয়ত তোমাকেও মায়াবতী আমি তোমার মায়ায় জড়িয়ে থাকতে চাই , শুধু একটু ভালবেসো আমায় । মায়াবতী প্লিজ ঘুমটা ভেঙ্গনা আমার । ঘুমটা ভাঙলেই যে আমি তোমাকে চাই ...

তবে মাঝে মাঝে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠছিল ওর মায়াবতীর সাথে ওর পরিবারের দূরত্ব আর তাকে হারিয়ে ফেলার ভয় আর তাকে পাবার ওর আকুলতা । যতটা পরছিলাম আর অবাক হচ্ছিলাম কিভাবে লুকিয়ে রাখত ওর কষ্টগুলো আমাদের কাছ থেকে । আসলে ওর ভালবাসাটা ছিল এক তরফা । ও পাগলের মত ভালবাসত ওর মায়াবতীকে , নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, ছিল দুজনের মধ্যে শেয়ারিং টাও বারবার বলেছিল ভালোবাসার কথা শুধু ওর মায়াবতীর প্রকাশটা ছিল অদ্ভুত । আমারই মাঝে মাঝে মনে হয়েছিল ওর মায়াবতী ওকে প্রচুর ভালোবাসে, মাঝে মাঝে মনে হয় শুধুই একটা সম্পর্ক । একটা ছেলের জন্য সবচেয়ে কষ্ট এই দোটানায় থাকা । ও থেকেছিল , এই কষ্টগুলো সাথে নিয়েই থেকেছিল । কিন্তু ওর ভালবাসাটা সম্ভবত নিতে পারছিল না ওর মায়াবতী

মায়াবতী,
আজকাল তোমাকে নিয়ে লিখতেও ভয় লাগে , প্রতিটা শব্দও যদি শব্দহীন ভাবে তোমায় বিরক্ত করে ............

ওর মায়াবতীর সাথে ওর শুরু না হওয়া শেষটা হয়েছিল পরিচয়ের ৯ মাস ১১ দিনের মাথায় শেষ বিদায়ের কান্নার পানিটা আজও লেগে আছে ডায়রির পাতায়

মায়াবতী,
কেমন আছো তুমি?? ভালো তো? আমি ভালো নেই।
তোমার জন্য হাজারটা স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে আজ আমি ভীষণ ক্লান্ত।
অনেক ক্লান্ত হয়ে বুঝতে পেরেছি, ভালবাসা মানে স্বপ্ন দেখা নয়, অনেকটা চাওয়া-পাওয়া, হাসি-কান্না, অভিমান, প্রতীক্ষা আর ১+১=২ এই সহজ অংক মেলানোর সবচেয়ে কঠিন চেষ্টা।
জানি তুমি আমায় ভালোবাসোনা তাই দূরে সরে যাচ্ছি।কিন্তু আমি কাপুরুষ নই। আমি স্বেচ্ছায় নির্বাসন নিতে জানি। তাতে আর যাই হোক ভালোবাসার একটু মান তো পাওয়া যাবে।তবে কখনো এই ভেবে কেঁদোনা যে, কেউ তোমাকে ভালোবাসেনি,
কেউ তোমার জন্য কাঁদেনি।
আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, আমি তোমার জন্য কেঁদেছি।
হয়তো তোমার মনের মত করে নয়। আমার মত, নিখুঁতভাবে।
জানো____ ??
কোন এক সময় শুধুই তোমাকে নিয়ে আমার সকল স্বপ্ন-
আশা, চাওয়া-পাওয়া ছিল। বলতে পারো, তুমি ছিলে আমার দ্বিতীয় রংধনু। ভাবছো কথাগুলো আমার মুখের কথা......... ??? হ্যাঁ তা তুমি ভাবতেই পারো।
কারণ তুমি কখনো জানতে চেষ্টা করনি যে, তোমাকে আমি কতটা ভালোবেসেছিলাম।
কিন্তু এখন ভূলতে চাচ্ছি, শুধু মুক্তি নিতে চাচ্ছি এই না পাওয়া ভালোবাসা থেকে। আর আমার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনেও মুক্তির সুযোগ টা মিলে গেলো ! জীবনই আমাকে মুক্তি দিয়ে দিচ্ছে তোমার না পাওয়া ভালোবাসার ছোবল থেকে ! সত্যিই আমি কাপুরুষ নই । হঠাৎ করে বদলে গেছি আমি, তাইতো তোমার জন্য আর অপেক্ষায় থাকবো না, তোমার জন্য হৃদয়ে ভালোবাসা না রাখার চেষ্টা করছি।
যেটুকু ভালোবাসা আছে তার কারণে তোমার খোঁজ খবর রাখা, কল করে বিরক্ত করা আর চাই না কোন এক পথের বাঁকে তোমার সাথে আমার দেখা হোক।
তবে আমি চাইনা, না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টে তুমি কাঁদবে। যদি এমনটা হয় যত দুরেই থাকি না কেন , মনে রেখেও ওই কষ্টে আমিও ঠুকরে উঠবো আর একবার ...

ওর নীল শাড়ির গল্পটা আর লেখা হয় নি

মায়াবতী,
আমার প্রিয় রং কি জানো , "নীল" , বেদনার রং কি জানো "নীল" কি অদ্ভুত না ? জানো আমি এটা না জেনেই "নীল" রঙটা কে ভালবেসেছিলাম যেমনটা ভালোবেসেছিলাম তোমাকে । মায়াবতী তোমাকে বলেছিলাম না আমি গল্প লিখতে চাই নীল শাড়ি পরা আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে থাকা ঘাসের উপর হেটে যাওয়া তোমার আমার গল্প । হয়ত গল্পটা লেখা হবে শুধু তোমার আঙ্গুলে আমার আঙ্গুলের স্পর্শ থাকবে না নীল শাড়িটা তোমার থাকবে তোমার পাঁশে থাকবে অন্য কেউ , আমার পাঁশে থাকবে নীল বেদনা গুলো ...

গতকালও ও ডায়রি লিখছিল এই ১ পাতা বুঝিয়ে দিয়েছিল কেমন আছে ও কেওন আছে ওর মায়াবতী...

" আজ শুক্রবার তোমার সাথে আমার ৩য় ব্রেক আপের ডেট , জানো আজও ওদের খাওয়ালাম । প্রতি শুক্রবারের মত আজও ফোন দিয়েছিলাম , তুমি আজও রিসিভ করো নি জানি তুমি করবেও না । আজ ৩ বছর ১০ দিন ২৩ ঘণ্টা ২৪ মিনিট তোমার সাথে আমার কথা হয় না । তুমি অনেক বুদ্ধিমতি হয়ত ৩-৪ মাসের মাথায়ই বুঝে গিয়েছিলে কে ফোন দিয়ে কোন কথা না বলে ফোনটা কেটে দেয় । তারপর কিছুদিন তারপর একবার রিং হওয়ার পরই শুনতে হয় আপনার ডায়ালকৃত নম্বরটি এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছে । এখনো কোন ম্যাসেজ আসলে বুক ধুক ধুক করে ম্যাসেজটা তোমার কিনা কিন্তু প্রতিবার কোম্পানির কর্পোরেট ম্যসেজ গুলো নিষ্ঠুর তামাসা করে । জানো আমি এখন আর কাঁদি না হাসি ব্যস্ত থাকি যেন কাঁদতে না হয় ভুলে থাকা যায় তোমায় । কেমন আছো তুমি ?"

ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কি আমার চেনা বন্ধুটা ? কিভাবে পারল এটা ? কিভাবে পারল ও ?

এভাবেই চলে গেছে ৩ বছর এখনো ও প্রতি শুক্রবার ফোন করে ওর মায়াবতীকে । একা একা ব্রেক আপ করে তা আবার ঠিক করে নতুক করে শুরু করে আমাদের নিয়ে পার্টি করে আর রাতে নিশ্চুপে ডায়রির পাতা ভারি হয়ে ওঠে চোখের পানিতে মিশে যাওয়া কালো কলমের কালিতে ...

আন্টিকে বলতে হবে ও অনেক ভালো আছে ও ওর স্বপ্ন নিয়ে আছে ... দুঃখ বড় সংক্রামক ওর দুঃখটা শুধু আমার আর ওর মধ্যেই চেপে রাখতে হবে ...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×