একসময় গো-গ্রাসে গলাধ:করন করতাম তাঁর লেখা যে কোন বই। পড়ার বইয়ের মাঝে লুকিয়ে, ঠিফিন পিরিয়ডে, কারো বাসায় বেড়াতে গিয়ে ড়্রইং-রুমের এক কোনায় বসে, বইমেলা থেকে ফিরে সারা রাত ধরে, পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে, গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে, এমন কি ঈদের দিনেও। সেই অপরিপক্ক কিশোর মন-কে উথাল-পাথাল আবেগের ঈন্দ্রজালে বেঁধে ফেলতো সেইসব বইগুলো। আমার দৃঢ়বিশ্বাস আমার ছেলেবেলার আমি’র মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর এই মানুষটি। সময়ের সাথে সাথে বেড়ে উঠি আর বড় হয়ে ওঠে আমার পাঠক মন। আস্বাদন করতে চায় বিশ্বসাহিত্যের অন্য সৃষ্টিগুলো। এতদিন ধরেই নিয়েছিলাম এই অতি সাদামাটা কাহিনীগুলোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এমনকি যখন খবর শুনি উনি মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত, তখনো খুব একটা গুরুত্ব দেইনি।
কিন্তু তোমার মৃত্যু সংবাদ কেন যেন প্রচন্ড নাড়া গেল। মনের গহীনে লুকোনো তোমার ভক্ত সেই ছোট্ট আমিকে আজ যেন আবার বড় অসহায় অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। লেখক, তোমার কারনেই জাগতিক অনেক তিক্ত সময় থেকে নিজেকে মুহূর্তেই নিয়ে যেতে পেরেছি এক অদেখা অন্যভূবনে। তোমার মতো সরল অথচ অসাধারনভাবে মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা আমার নেই। তাই শুধু বলছি: সেই সময়গুলোর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


