somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধু

১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“নিউটনের তৃতীয় সূত্রে কিঞ্চিত ঘাপলা আছে, তুই যে আমাকে এত্তগুলা কিল দিলি তার কি হবে?” আমি আস্তে করে বললাম নীলাকে। নীলা বলল, “শোন গাধা, নিউটন তোর মত অপদার্থের জন্য কোন সূত্র দেয় নাই। গাধা কোথাকার!” আমি একটা দীর্ঘঃনিশ্বাস ফেললাম। এই আধা পাগলীকে কিছু বলতে গেলেই ঝামেলা। রাস্তা নাই, বাসা নাই সব জায়গায় গরু, গাধা, ছাগল থেকে শুরু করে যা মুখে আসে তাই বলবে। কাজেই এই অবস্থায় চুপ থাকাই বাঞ্ছনীয়। আমি চুপ থাকার চেষ্টা করলাম। ও আবার বলা শুরু করল, “ওই জানস, আমাদের পাশের বাসায় একটা ছেলে নতুন আসছে। আমাকে দেখলেই কেমন জানি ছ্যাবলার মত তাকাইয়া থাকে। হি হি হি।” আমি বললাম, তুই কি নিজেকে বিশ্বসুন্দরী মনে করস নাকি? তোকে দেখলে ছ্যাবলার মত তাকাইয়া থাকে মানে? নীলা বলল, “ওই ছাগল, তুই সুন্দরের কি বুঝস! সেদিন তো দেখলাম মার্কেটে ফালতু চেহারার এক মেয়ের দিকে হা করে তাকাইয়া ছিলি। হি হি।” আমার মেজাজ এইবার কঠিন রকমের খারাপ হল। তাও মাথা ঠান্ডা করে আস্তে করে বললাম, “কবে কার দিকে তাকাইছি? তোর জন্য দেখি মাথা সবসময় মাটির দিকে রেখে হাঁটতে হবে! যত্তসব!” ও হাসতে হাসতে বলল, “ওই শোন, তোকে বলতে ভুলে গেছিলাম আমার মামীর শরীর খারাপ। একটু কল্যাণপুর যেতে হবে। এখন উঠি রে!” আমি বললাম, “চল, তোকে ওখানে নামিয়ে দিয়ে আসি। আমারও ওইদিকে একটু কাজ আছে।” নীলা এবার খিলখিল করে হাসতে লাগল। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বলল, তুই না সকালে বলেছিলি তোর শাহবাগে কি একটা জরুরী কাজ আছে! শাহবাগের কাজ কি এখন কল্যাণপুরে স্থানান্তর হয়ে গেল নাকি! নাকি সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তোর কাজ চেঞ্জ হয়ে যায়!

আমি অনেক কষ্টে রাগ থামিয়ে বললাম তুই কি আমার সাথে যাবি নাকি একাই যাবি? একা গেলে যা! আমি আমার কাজে যাই। ও বলল, আচ্ছা এত্ত চেতস কেন? অন্য কোন মেয়ে তো তোকে বেইল দেয় না। আমার সাথেই চল! বলেই আবার হাসা শুরু করল।


এবার নীলার সাথে আমার পরিচয়ের শুরুটা বলা যাক। ছোট বেলার ঘটনা। ক্লাস এইটে পড়ি তখন। আমাদের বাসার পাশে ছোট্ট একটা মাঠ আছে। প্রায় বিকেলেই ক্রিকেট খেলতাম। তো একদিন ক্রিকেট খেলতে খেলতে বল তাদের বাড়ির জানালার কাঁচ ভাঙ্গল! আমি বল আনতে গিয়ে দেখি অবস্থা ভয়ানক। নীলা জানালার পাশেই ছিল। কাঁচের ভাঙ্গা টুকরায় হাত পা কেটে একাকার। তিন তিনটা সেলাই করা লেগেছিল সেবার! তারপর একটু সুস্থ হতেই আমাদের বাসায় নীলা এবং তার আগমন! অতঃপর তাদের প্রস্থানের পর আমার কপালে জুটল আম্মুর ঝাড়ি আর বোনাস হিসেবে দুইটা থাপ্পড়!

দুইদিন পর সকাল বেলায় ক্লাসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় নীলার সাথে দেখা। অনেকটা গল্প-সিনেমার মত ব্যাপার। ও হঠাত কাছে এসে সরি বলল এবং বাসায় তার মাকে নিয়ে আসার জন্য দুঃখ প্রকাশ করল। আমি ব্যাপক অপ্রস্তুত বোধ করলাম। এমনিতেই মেয়েদের সাথে কথা বলতাম না তারওপর এরকম করে কেউ সরি বললে কি করতে হবে তাও বুঝতে পারছিলাম না! যা হোক, কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে নীলা চলে গেল।


নীলার ব্যাপারটা প্রায় ভুলেই গেছিলাম। বেশ কয়েক মাস পরের ঘটনা। বিকেলে বাসায় এসে রুমে ঢুকার ঠিক আগ মূহুর্তে আমার গিটার থেকে টুং টাং শব্দ আসছে! যেহেতু আমি বাসায় নেই কাজেই আমার কোন বন্ধু গিটার বাজাবে না! রুমের ভেতর ঢুকে দেখি নীলা বসে আছে! হাতে আমার গিটার! আমি পুরাই খাম্বার মত দাঁড়ায়ে গেলাম। আমার এই তব্দা ভাব কাটাতেই কিনা সে বলল, “তোমাকে যেই ভাই প্রাইভেট পড়ায়, উনি কিন্তু আমাকেও পড়ায়! উনি কিন্তু তোমার সম্পর্কে অনেক কথাই আমাকে বলেছে!” আমি ক্ষীন স্বরে বললাম, “ও আচ্ছা!”

নীলা বাসা থেকে চলে যাওয়ার পরও বুঝলাম না এই মেয়ে কিভাবে আমার রুমের সব জিনিস-পত্র উল্টা-পাল্টা করে ধরার সাহস পেল! আমার গল্পের বইগুলো সব এলোমেলো! সে সব হাতিয়েছে এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

কিন্তু সেই থেকে শুরু আমাদের গভীর বন্ধুত্ব। সব সময়ই সে ছায়া হয়ে আমার পাশে ছিল। জীবনে এমন খুব কম ঘটনা ঘটেছে যা আমরা শেয়ার করি নি। গিটারে আমি কোন নতুন গান তুললে তা সবার আগে তাকে শোনানো চাই-ই চাই। কলেজে উঠে কতই না ঘুরাঘুরি করলাম দুজনে। ভার্সিটিতে উঠেও সেই আগের মতই বন্ধুত্ব। জীবন কেটে যাচ্ছিল অনাবিল আনন্দের মাঝে।


এক সময় মনের অজান্তেই তাকে ভালবেসে ফেললাম। কিন্তু কোনদিন তাকে বলার সাহস পাই নি। যদি মানা করে দেয় তাহলে তো আমাদের এই নিখাদ বন্ধুত্ব আর থাকবে না। তারপরও অনেক সাহস সঞ্চার করে চিন্তা করলাম জন্মদিনে তাকে একটা সারপ্রাইজ দিব। প্রতিবারই তো কিছু না কিছু না গিফট দেওয়া হয়। এবার না হয় গিফটের সাথে আমার ভালবাসার কথাও জানিয়ে দেই!


এ দোকান ও দোকানে ব্যাপক অনেক ঘুরাঘুরি করেও কোন গিফট পছন্দ করতে পারি না। শেষে হুমায়ুন আহমেদের “তেতুল বনে জ্যোৎস্না” বইটা কিনে ফেললাম। বইয়ের শুরুতে আবেগ মেশানো অনেক কথা-বার্তা লিখলাম। জীবনের কাব্য প্রতিভার প্রায় সমস্তটাই ঢেলে দিলাম বইয়ের পাতায়!


প্রতি জন্মদিনে রাত ১২ টায় ফোন করে উইশ করা আমাদের একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওর জন্মদিনে এবারও ফোন দিলাম। ফোন ওয়েটিং! অনেকক্ষণ ধরে ফোন ওয়েটিং। মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন ভাবলাম ও কল ব্যাক করবে! আশ্চর্য! কল ব্যাক করল না। দুপুরের দিকে আমিই তাকে ফোন দিলাম। ও খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কথা বলল এবং খানিকক্ষণ পর বলল যে কি এক দূর সম্পর্কের কাজিনের সাথে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে! খুব তাড়াহুড়ার বিয়ে! ছেলে বিয়ে করে ওকে নিয়ে আমেরিকা চলে যাবে!
আমি খুবই অবাক হলাম। জীবনে এরকম অবাক খুব বেশি হই না। প্রবল ধাক্কা খেলে অনেক সময়ই মানুষ বুঝতে পারে না কি করবে। আমিও পারছিলাম না। আমি জানতাম ওর এক কাজিন আমেরিকা থাকে! কিন্তু ওই কাজিনের সাথে ওর বিয়ে!

খুব দ্রুত কিছুদিন পার হয়ে গেল। ও এতই ব্যস্ত যে দেখা করার সময় পর্যন্ত নেই। দেখতে দেখতেই ওর বিয়ে হয়ে গেল! জীবনে মাঝে মাঝেই খুব মজার ঘটনা ঘটে! আমার জীবনের সবচেয়ে মজার ঘটনা হল ওর বিয়েতে উপস্থিত থাকা! আমি যেতে চাই নি। কিন্তু আমি জানি ও না গেলে খুব মাইন্ড করবে। তাই গেলাম। আশ্চর্য, বিয়ের শেষে ও যখন ওর স্বামীর সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল তখন ও বলতে লাগল, “এইটাই আমার একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড! তোমাকে তো এরকথাই কতবার বলেছি। গাধা টাইপ একটা ছেলে। হা হা!” আমি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে একটা হাসি দিলাম। এ হাসির অনেক রকম অর্থ হতে পারে!


কয়েকদিন পর ওরা যখন আমেরিকায় চলে যাচ্ছিল, ঠিক যাওয়ার আগের দিন নীলা ফোন করে জানাল আমি যেন এয়ারপোর্টে থাকি! আগের মতই উচ্ছল কন্ঠস্বর; যেন এর মাঝে আমাদের কিছুই হয় নি। আমি নীলাকে বললাম, আমার খুব জরুরী কাজ আছে। আমার পক্ষে যাওয়া অসম্ভব। বলেই মোবাইলটা রেখে বন্ধ করে দিলাম!


কি এক অজানা বিষণ্ণতায় মাঝেই মাঝেই মন ভরে উঠছে! অনেক কষ্ট করে জরুরী কাজ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার মনে হয় জরুরী কাজ কেবল একটাই। বইয়ের ওই পৃষ্ঠাটা ছিড়ে ফেলা। অনেক চেষ্টা করছি, কিন্তু পৃষ্ঠাটা ছিড়তে পারছি না!!

মাঝে মাঝেই ভাবি, মন খারাপ করার কি হল! ও তো আমাকে কখনই বন্ধুর চেয়ে বেশি ভাবে নি। তাহলে ওর বিয়ে হয়ে গেলেই বা কি! আমরা তো শুধুই বন্ধু ছিলাম। শুধুই বন্ধু......


অনেকদিন গিটার বাজানো হয় না। এক ইঞ্চি পুরু ধুলোতে গিটার ভরে গেছে! গিটারের ধুলো পরিষ্কার করতেও ইচ্ছে করে না। সব যেমন আছে তেমনই থাক না! আমার কি!

ইদানিং মাঝে মাঝেই রাতের বেলায় উদ্ভট স্বপ্ন দেখি। বিশাল বড় একটা তেতুল বন। চারদিকে জনমানুষের কোন চিহ্ন নেই। আমি তেতুল বনের ভেতর পথ হারিয়ে ফেলেছি। ঘুটঘুটা অন্ধকার। কয়েকটি জোনাকি পোকার আলো ছাড়া আর কোন আলোও নেই। এই অন্ধকারে আমি হাঁটছি। হাঁটতেই আছি। মাঝে মাঝে পা ছিড়ে রক্ত বের হচ্ছে তাও আমি হাঁটছি! স্বপ্নের এ জায়গাটা আমি বারবার পরিবর্তন করতে চাই। ঘুটঘুটা অন্ধকারের জায়গায় আমি প্রবল আলো কল্পনা করতে চাই! কিন্তু সমস্যা হল স্বপ্ন নিজ ইচ্ছায় পরিবর্তন করা যায় না।

হঠাত হঠাত ঘুম ভেঙ্গে যায়। বারান্দায় এসে দাঁড়াই। সম্পূর্ণ শহর নিশ্চুপ। কোথাও কোন শব্দ নেই। সব মানুষ ঘুমিয়ে আছে। মাঝে মাঝে রাস্তা দিয়ে জোরে জোরে হর্ণ বাজিয়ে দুই-একটি গাড়ি ছুটে যায়। আমি গভীর আগ্রহ নিয়ে গাড়ির হর্ণের শব্দ শুনি। আবার চারপাশ নিশ্চুপ। চারপাশের গভীর নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে কোথাও কুকুর তারস্বরে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। আমি কান পেতে সে ডাক শুনি।
রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে খারাপ লাগে না। মাঝে মাঝে দেখি মেঘগুলো কেমন একটা আদিভৌতিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আমি সিগারেট ধরাই। একটা দুটা টান দিয়ে হাতে রেখে দিই। সিগারেট একটু একটু করে শেষ হতে থাকে। কেন জানি মানুষের জীবনটাকেও একটা জ্বলন্ত সিগারেট মনে হয়।


আবার ঘুমানোর চেষ্টা করি। ঘুম আসে না। বিছানায় এ পাশ ও পাশ করতে করতে ভোর হয়ে যায়। প্রখর সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় চারদিক!
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃদ্ধাশ্রম।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৬



আগে ভিডিওটি দেখে নিন।

মনে করেন, এক দেশে এক মহিলা ছিলো। একটি সন্তান জন্ম দেবার পর তার স্বামী মারা যায়। পরে সেই মহিলা পরের বাসায় কাজ করে সন্তান কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×