উপযুক্ত আয় করতে না পারেন, তাহলে বিবাহ করার দরকার নাই। রোজা রাখেন। "
কথাটা বলা সোজা । কিন্তু বাস্তবতা দেখুন । দেখানতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।
রোজা রাখার হাদিসটি কেবল তাদের জন্যে যাদের একেবারেই মাথাগুজার ঠাই নেই । যার একবার আহার জুটে তো আরেকবার জুটে না।এবং তিনবেলা পেট পুরে খেতে পারে না । । এ হাদিসকে ইস্যু বানিয়ে অনেকে বিবাহকে বিলম্বিত করতে চায় তা ঠিক নয় । অথচ ইসলামিক চিন্তাবিদরা ছাত্রদের বিবাহকেও সমর্থন করেন যদি তাদের পরিবারের মানে ছাত্রের পিতার সমর্থ থাকে ।
ইসলামে ব্যক্তির স্বাবলম্বী ও সক্ষমতার বিভিন্ন ধরণসাপেক্ষে বিয়েকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
ওয়াজিব বিয়ে : যখন শারীরিক চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে পারে বা তার পরিবারের এতোটুকু সামার্থ থকে যে তাদের ভরোণ-পোষনে কোনো সমস্য থাকবে না। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার হতে হবে।
ফরজ বিয়ে : নূন্যতম সামর্থ থাকার সাথে সাথে যদি শারীরিক চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে ব্যাভিচার বা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন বিয়ে করা ফরজ। ব্যাভিচারের আওতায় যেগুলো পড়ে তা হলো- কুদৃষ্টি, পর্নগ্রাফী আসক্ততা, অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক বা লিভটুগেদার, হস্তমৈথুনের মতো হারাম কাজ ইত্যাদি।
কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয় যে কোনো পুরুষ এতটাই অসামার্থ যে সে একেবারে নিস্বম্বল, অক্ষম। নিজের মাথা গোজারমতো এতটুকু ঠাই নেই তবে এক্ষত্রে তাকে রোজা রাখতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিয়ের ইচ্ছে থাকলেও সক্ষম পুরুষ বিয়ে না করে রোজা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাদিসে।
অনেক সক্ষম ও স্বাবলম্বী পুরুষও মনে করেন, বিয়ে করলে স্ত্রীর ভরণ পোষণ দিতে পারবে না। সামান্য আয়ে দুজনের সাংসারিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য বিয়ে থেকে দূরে থাকে। এটা আদৌ উচিত নয়।কারণ রাসূল সা. বিবাহিত ব্যক্তিকে আল্লাহ কতৃক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আর এ কথাও স্বীকৃত, বিয়ে ব্যক্তির উপার্জন বাড়িয়ে দেয়, কমায় না।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যকার যারা বিবাহবিহীন আছে এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা নেককার তাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আমি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দেব। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সবকিছু জানেন।(সুরা নূরঃ ৩২)