ব্যাপকহারে মানুষকে জাহান্নামে নিতে হলে ব্যাভিচার করাতে হবে । কিন্তু ইউরোপ , আমেরিকার মতো মুসলিম দেশ গুলিতে ছেলে পিলেরা সরাসরি ব্যাভিচারে আসছে না । তাই বলে থেমে শয়তান থেকে থাকে নি । সে নতুন বুদ্ধি বের করল । সরাসরি ব্যাভিচার নাই বা করুক চোখের ব্যাভিচার করাবো । পর্নে যুব সমাজকে ডুবিয়ে রাখব । আর এভাবে দুনিয়া ও আখিরাত ধ্বংস করে দিয়ে জাহান্নামে ঢুকাবো ।
কিন্তু পর্নে (চোখের ব্যাভিচারে) মশগুল করে রাখবো কিভাবে ?
বুদ্ধি আছে । বিবাহকে কঠিন ও অসম্ভব ও লজ্জাজনক হিসেবে উপস্থাপন করব । ওয়াসওয়াসা দিয়ে যুব সমাজকে বিবাহ বিমুখী ও পর্নমুখী করে তুলব । ফলে তাদের কাছে মনে হবে বিবাহ করলে ক্ষতি , পড়াশুনার ক্ষতি , অমুক ক্ষতি-তমুক ক্ষতি । অন্যদিকে বিবাহ না করলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে ও কোটিপতি হয়ে যাবে এমন মনে হবে আমার ওয়াস ওয়াসার কারনে । প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নাম করে আমি তাদের বিবাহবিমুখী করে তাদের যৌবনের সুখ ছিনিয়ে নিব । সমাজে ব্যাভিচার ভরিয়ে দিব । আমাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে ।
আমি অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই তাদের (পথভ্রষ্ট করার) জন্য আপনার সরল পথে বসে থাকব” (সূরা আরাফ : আয়াত ১৬)
আমি ভালো করেই হাদিসটি জানি “আর যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে না তারা যেন রোজা রাখে। (আল-হাদিস)”
সত্যি কথা বলতে কি , বছরের পর বছর রোজা রাখা যেমন সম্ভব নয় তেমনি অবিবাহিত যুবকের হস্তমৈথুন থেকে বাচাও সম্ভব নয় ।
দেখুনতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।
আর যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে না তারা যেন রোজা রাখে। (আল-হাদিস)”
এখানে রোজা রাখা বিয়ের বিকল্প নয় ।
দশ বছর রোজা রাখলেই যে সামর্থবান হয়ে যাবে তা নয় , বরং সে অসুস্থ হবে ।
আসলে হাদিসটি হলো সান্ত্বনামূলক ও সাময়িক সমাধান মূলক । হাদিসটি দ্বারা ২০ বছর , ৫০ বছর রোজা রাখতে বলা হয় নি ।
বরং উম্মত যাতে অস্থির হয়ে না যায় , সে জন্যে রোজা রাখা , দুয়া করা , ধৈর্য্য ধারন করা ও ঠান্ডা মাথায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।
আমার ঐকান্তিক চেষ্টায় বিবাহকে একজন ২০ বছরের যুবক অসম্ভব , বিভীষিকাময় , লজ্জাজনক, অপরাধ, পরিবার মেনে নিবে না ও অলীক স্বপ্ন ভাবতে শুরু করেছে ।এটা যে তার অধিকার মালুম ভুলে গেছে ।
বরং সে লিপ্ত হচ্ছে পর্নগ্রাফিতে ও হস্তমৈথুন প্রাকটিসে । সমাজে দীর্ঘদিন চলতে থাকায় এটাকেই স্বাভাবিক মনে করতে শুরু করেছে ।
শুধু তাই নয় , ইদানিং ছেলেরা এটাকেই মেনে নিয়ে অনেকটা মানসিকভাবে দাসত্ব বরন করেছে
বিবাহের আলোচনায় আমি লজ্জা তৈরী করি । বিবাহ করতে লজ্জা শয়তান কতৃক । কেননা পর্ন দেখার সময় ও হস্তমৈথুন করার সময় তোমার লজ্জা কোথায় থাকে ?
বিয়ের জন্যে যে মানুষ সংগ্রাম করছে না বা আশাহত তার আরেক প্রমান হলো যে পরিমান পর্ন সাইট ভিজিটর সে পরিমান ম্যারিজ ওয়েবসাইট ভিজিটর নেই । ম্যারিজ ওয়েবসাইট ভিজিটর একেবারেই অল্প ।সে সকল সাইটে নতুন মেয়ে পাওয়াই যাচ্ছে না ।
বিবাহ বিমুখী হওয়ার দ্বিতীয় প্রমান : শহরের একজন ২২ বছরের অবিবাহিত যুবককে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে গাড়ি কিনবে । কারন সে জানে গাড়ি কিনা দরকার । গাড়ি কিনা সম্ভব । সে বিবাহের কথা বলবে না , কারন সে মনে করে বিবাহ বলে কিছু নেই , পরিবার মেনে নিবে না । বিবাহ দরকার থাকলেও ইহা সম্ভব নয় ।
গ্রামের একটি ছেলেকে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে পাচ লাখ টাকা দিয়ে ক্ষেত কিনবে ও বাকি পাচ লাখ দিয়ে সে বিবাহ করবে ।
আমার অনেক কাজ । খুব ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছি । পরে আরও লিখব ।
ইতি আপনাদের বহুল পরিচিত : ইবলিশ ভাই ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬