somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তারেক সালমান জাবেদ
তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

জঙ্গি নিধনের নামে সারা-দেশে গ্রপ্তার বানিজ্য

১২ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩ হাজার ১৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৭ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি। শুক্রবার সকাল থেকে গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযানে এরা গ্রেপ্তার হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই হলো বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্রিকার শনিবারের শিরোনাম । তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হরেক রকম মন্তব্য। আর গুণি জনের নানান কথা। আমি অতন্ত দেশের বাহিরে থাকি-যতদুর পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে,

তবে এটা জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান হলেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন মামলার আসামিদের। ফলে এ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক দলের মাঝে- অতএব,
পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২৭ জন নিষিদ্ধ জেএমবির সদস্য, ৭ জন জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশের (জেএমজেবি) সদস্য এবং বাকি তিনজন অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি শুটারগান, গুলি, ৫০০ গ্রাম গানপাউডার, ১৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
চলমান অভিযানে মূলত বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, মাদক ব্যবসায়ী ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ নাশকতার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম আলোর, মানবজমিন,আমারদেশ,কালেরকন্ঠ ইত্যাদি দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার তথ্যে মাধ্যমে জানা যায়, ২৪ জেলায় কমপক্ষে ২৫০ জন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও হয়রানির ভয়ে বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কয়েকটি জেলায় বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টাকা না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই পুলিশি সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ১ হাজার ৮৬১ জন। এ ছাড়া নিয়মিত মামলায় ৯১৭ জন, মাদক মামলায় ৩৫৮ জন, অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মূলত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই বিশেষ অভিযান চললেও গ্রেপ্তার হচ্ছেন অন্য মামলার আসামিরা আর সাথে গ্রেফতার হচ্ছে অনেক সাধারণ জনতা যারা কোন প্রকার মামলার আসামি নয়।

ব্যাপক ধরপাকড় সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘দেশে অব্যাহত হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকারকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু ৪১ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের নামে ৩ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে আমরা আসলে ক্ষমতার অপব্যবহারই করছি।’
চট্রগ্রামে ধরপাকড় সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন- পুলিশ সুপারের স্ত্রী খুন হওয়ার পরে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের একটা সহানুভূতি সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ পুলিশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এই গ্রেপ্তার সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও ঘটনা ঘটছে। এভাবে গণগ্রেপ্তার হওয়ার ফলে গ্রেপ্তার-বাণিজ্যেরও আশঙ্কা রয়েছে। এটা হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হবে।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের বক্তব্যের সাথে আমি একমত হয়তো আমার সাথে আরো অনেকেই একমত হবেন,তাই আজ আমরা এর প্রতিকার স্বরূপ-সরকারে দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে,জঙ্গি নিধনের নামে এভাবে জনগন কে হয়রানি করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে চাইলেও তা একসময় ঠিকে থাকবে না-কেননা গনতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতার প্রধান উৎস হলো জনগন।

অতএব-পরিশেষে আমি এই গন-গ্রেফতারের নিন্দা জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×