গত ১৪ ই নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখ থেকে শুরু হয়েছে রিলিজ স্লিপে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স (১ম বর্ষ) ভর্তি কার্যক্রম, চলবে ১৮ ই নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত । যা হোক যারা সুযোগ পেয়ে ভর্তি হয়েছেন বা হবেন তাদের কাছ থেকে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা ভর্তি ফি এবং অন্যান্য বাবদ নিয়েছেন। তার সাথে প্রতি মাসের বেতন ১১০০/- (এক হাজার এক শত) টাকা অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু ভর্তির টাকা জমা দেয়ার রশিদে দেখা গলে মাসিক বেতন ১১০০/- (এগার শত) টাকা রাখা হয়েছে জুলাই ২০১৭ ইং মাসের বেতন বাবদ। ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠা যাচ্ছে না ভর্তি-ই তো হলাম নভেম্বর-এ , জুলাই মাসের বেতন দিব কেন?.. জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত নব্য-ভর্তি কৃত ছাত্রী তো কলেজে-ই ছিল না কিংবা সে তো তখনও কলেজের কেউ না , কোন ধরনের কোন সেবা (ক্লাস) ও পায় নি তবুও কেন তাকে জুলাই, অগাষ্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর ২০১৭ ইং সহ এই ৪ (চার) মাসের বেতন বাবদ অতিরিক্ত ১১০০*৪=৪৪০০/= (চার হাজার চার শত) টাকা প্রদান করতে হবে?
আবার কলেজের নিয়ম হচ্ছে তিন মাস বেতন বকেয়া থাকলে ২০০০/- (দুই হাজার ) টাকা জরিমানা করা হবে। এখন বলেন তো, অতিরিক্ত ৪,৪০০/- + ২০০০/-= ৬,৪০০/- (ছয় হাজার চার শত) টাকা দেয়ার যুক্তি কি?
মাত্রই ১৫,০০০/- (পনের হাজার টাকা) শুধু ভর্তি বাবদ দেয়ার পর আরও আনুসাঙ্গিক খরচ (বই, খাতা, কলম, ড্রেস ইত্যাদি) করাই যেখানে একটি সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কষ্টকর সেখানে উপরুন্ত আরও ৬,৪০০/=(ছয় হাজার চার শত) টাকা ,কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ধরনের আর্থিক স্বেচ্ছাচারিতা কি দেখার কেউ নেই?
বি.দ্র. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভর্তি পদ্ধতি অনুযায়ী অন্যত্র ভর্তি হওয়ার কোন সুযোগ ও নেই। আর তাছাড়া, এই ধরনের আর্থিক চালাকি পূর্বে কোথাও মৗেখিক বা লিখিত আকারে জানানো হয় নি। এমতাবস্থায়, অসহায় ছাত্রীদের অবস্থা নাজুক । দেশের মিডিয়া এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




