বিজয় আহমেদের বই থেকে কয়েকটি কবিতা
বিজয় আহমেদ কখনোই আমার বন্ধু নয় (কবিতে কবিতে বন্ধুত্ব অসম্ভব)। কারো কবিতা ভাল লাগতে হলে বন্ধু হবার দরকার পড়ে না। বিজয়ের প্রথম বই `সার্কাস-তাঁবুর গান' প্রকাশিত হয়েছে গত বই মেলায়। সে বই থেকে আমার কিছু ভাল লাগা কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায় বলে মনে হলো।
ভাষা
আর কতো যাদু যে দেখাবে, বলো?
আমি তো ঘাসফুল হয়ে আছি, এ নীলচে পৃথিবীতে!
আমার বুককে বানিয়েছি ধাঁধার শশ্মান, যেখানে
অজস্র ঘাসের হুল্লোড়;
আর যেসব ঘাসফুল দেখে, তুমি
বোকা পর্যটক হয়ে যাও,
তা আমার ইশারাহাসি,
তা আমার শৈশবের উদভ্রান্ত নীলিমা,
আর যে নদীটাকে দেখো তুমি,
সোনার খনির পাশ দিয়েই বয়ে গেছে, রোমহর্ষক জ্বরে ভুগে ভুগে
কোল্ডড্রিঙ্কস হাতে,
সে আমার স্বপ্ন, সন্তান, আর সম্ভাবনা!
আমি তাকে মুনিয়া পাখির মতো পুষেছি
তুমি কি বোঝো তার ভাষা, গুপ্ত-ইঙ্গিত, বলো?
ধান
পাখি তাড়াই বলে আমার বন্ধুটি গ্রামপুলিশ হয়ে যায়!
তখন সে হেসে উঠলে বলি, দোস্ত হাসিস না,
আমার বাবা ভয় পেয়ে যাবে!
কেননা এক ধানের দিনে, তোর মতই এক পুলিশ
তার চতুর ভাষায়, সোনালী বাঁশির ভূতগ্রস্ত সুরধ্বনির মায়ায়,
শুনিয়েছিল জিপসীদের গান
পাখি তাড়াই বলে, দোস্ত, তুই যতই
গ্রামপুলিশ হয়ে উঠছিস, ততই আমি ভুলে যাচ্ছি গান, আর ভুলে যাচ্ছি
আজ ইভনিং-এ সিনেমা দেখার কথা ছিলো?
পাখি তাড়ানো বন্ধু আমার, জানি না
তোর চোখের ভাষায়, ইঙ্গিতে, কেন এতো বিদেশ-বিদেশ?
ফড়িং ও আমি
আমি আসলে ফড়িং পছন্দ করি;
ছোট্টবেলায় অনেকগুলো দুপুর ও সূর্য কাটিয়েছি আমি
ফড়িংয়ের পিছু দৌড়ে
কিন্তু কেন যেন ওরা আমাকে একদম পছন্দ করতো না!
ওরা কথা বলতো ঝোঁপঝাড়ের সাথে,
ফলে আমি, ঈর্ষা করতাম ফড়িং ও তার বন্ধুদের!
আর ভাবতাম বড় হয়ে যখন আমি
লাল রঙের টাইমফেল রেলগাড়ি হবো
তখন ওদের পাত্তাই দেবো না!
আনন্দ
জবাফুলই নাকি আনন্দ!
এমনটাই বললো এক লাল-মোরগ; বলেই,
সে কী হাসাহাসি গো!
আর কী লুটোপুটি মার্বেল-ধুলোয়, ৬ ফুট ১ ইঞ্চি দাদাবাবুর ছায়ায়?
তাই দেখে মনে হলো
এক্ষুনি হই তবে জবাফুলের ছেলে?
আমার মা হবে আনন্দ তখন
আর আমি হবো সরলা হাসাহাসি গো!
হাসাহাসির গল্প
দাদা, আজ বড়ো বেশি হাসাহাসি হলো!
আমরা বললাম, প্রেম হবে। অথবা সমুদ্র-ভ্রমণে যাবো।
মেয়ে-হলের সামনে দাঁড়ানো আমার বন্ধুটি
একটা আর্টফিল্মে দেখা বনভোজনের গল্প শোনালো।
শুধুই শুনলাম আর ভাবলাম, আজো
বাইসাইকেল থিফ দেখা হলো না, অথচ বাবা ও ছেলের মধ্যে
যে বৃষ্টিময় গুহাগুলো চিরদিন লুকানো থাকে,
তাদের ইশারাহাসিও কি দেখেছি কোনোদিন?
ইশারাহাসি, অথবা এইসব অদ্ভুত রসায়নের কথাও নাই-বা বললাম;
বলি, বন্ধু নষ্ট হয়ে যাচ্ছি। হাসতে পারছি না
আগের মতো। বাসে উঠে নিরীহ মানুষজনকে
জোকসও শোনাতে পারছি না!
অথবা বলতে পারছি না,
আর কতদিন পরে,
বাঁকের ভিতর হারিয়ে যাওয়া নির্জন গ্রামে যাবো?
অথবা একটা পাখির নীলচে ডিমের ভিতর
উত্তুঙ্গ নৃত্যের ধাঁধায় পথ হারাবো?
সার্কাস-তাঁবুর গান
সার্কাসের অতিকায় তাঁবু দেখে আমার ভিতর
বিষাদ জেগে ওঠে;
মনে হয়, এই বুঝি অখণ্ড ভারতবর্ষ,
যেখানে একদল কাকতাড়–য়ার সাথে
একটা পা-খোঁড়া বাঘ ও বামনের সম্পর্ক;
যা খুবই রহস্যময়,
আর এই রহস্যের চূড়ায় ওঠার জন্যেই, কতগুলো মানুষ
বৃষ্টিময় টিকিট কাটছে।
আর এই সম্পর্কের যাদুর কারণেই,
কয়েকজন মানুষ আজ ব্ল্যাকার;
তারা টিকিট টিকিট বলে চিৎকার করে উঠছে
সিনেমার ভিলেনের মতো
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?
,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন