
ভারতের এবারের নির্বাচনের ফলাফল বেশ কৌতুহল উদ্দিপক। যদিও আপাত দৃষ্টিতে বিজেপি বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে কিন্ত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাদের জোট বেশি আসন পেয়েছে সুতরাং জয় হয়েছে এনডিএ জোটের। বিজেপিকে সরকার গঠন করতে হলে এখন শরিকদের বেশ খানিকটা গুরুত্ব দিতে হবে। এর অর্থ জোটের মধ্যে গনতন্ত্রের চর্চা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কংগ্রেস তার আসন সংখ্যা বেশ খানিকটা বাড়িয়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের শরিক ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলসমূহের আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারি দলকে চাপে ফেলতে হলে শরিকদের নিয়েই শক্তিশালী বিরোধী দল গঠন করে চলতে হবে। ফলে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যেও গনতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখা ছাড়া উপায় নেই। একচ্ছত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জনগণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উপর চড়াও হওয়ার যে সংস্কৃতি এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে ইন্ডিয়াতে এবার সেটা হচ্ছে না। ফলে আসলে এবার জয় পেয়েছে জনগণ।
এখন প্রশ্ন হল জনগণের এই যে অবস্থান সেটা কি সচেতন না অচেতন। যদি সচেতন হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে তাদের রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং শিক্ষা বৃদ্ধি পেয়েছে এই অর্থে যে কারো হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিলে সে একটা সময়ে রাষ্ট্রের মধ্যে জনগণের অবস্থাকে গৌণ করতে করতে একসময় কর্তৃত্ববাদী হয়ে জনগণকে অস্বীকার করবে। সেই বোঝাপড়া থেকেই ভোটের এই ফলাফল। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই আরও বেশি করে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণ সংশ্লিষ্ট হতে হবে। এটা সব দেশের জনগণের জন্যই শিক্ষা হতে পারে। ভোট দিবেন, জেতাবেন কিন্তু এমনভাবে জেতাবেন যেন ঝুলে থাকে এবং আবার আপনার কাছে ফিরে আসতে হয়। না হলে আপনাকেই ঝুলিয়ে দেবে। আসলে গনতন্ত্রের নিরাপত্তা সরকারের হাতে নয় বরং শক্তিশালী বিরোধী দলের হাতে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


