১।
কেদারাপুর হাই স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষক মতিন সাহেব নিজেকে অত্যন্ত কড়া একজন টিচার হিসেবে মনে করেন। তবে তিনি ছাত্রদের সাথে কড়া ব্যবহার করতে পারেন না। শুধু মুখে দু-চারখানি যা একটু ধমক দেন। কত টিচার আছে ইহা বড় জালি বেত নিয়ে ঘুরাঘুরি করেন, তিনি সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। ছাত্রদের মারতে তার অসম্ভব কষ্ট হয়।
কেদারাপুর স্কুলে টেনের ক্লাস শুরু হয় সকাল নয়টায়। তিনি নয়টা বাজার ঠিক পঁয়ত্রিশ সেকেন্ড আগে ক্লাসের দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন, তারপর ঘন্টা পড়ার সাথে সাথে ক্লাসে ঢুকে নাটকীয় ভঙ্গিতে হুংকার ছাড়লেন, ‘হে প্রিয় ছাত্র ভাইগণ! নিউটনের মাথার সূত্রটি আজ কে কে বলতে পারে হাত তুলো!’ আশ্চর্যের বিষয় কেউ হাত তুললো না। মতিন সাহেবের ভুরু একটু কুঁচকে গেল। নিউটনের মাথার সূত্রটি গত তিন ক্লাস ধরে পড়ানো হচ্ছে, এটি অত্যন্ত দূরহ একটি বিষয় তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু তাই বলে কেউ পারবে না? ক্লাসে নতুন কিছু ছেলে এসেছে মারাত্মক ট্যালেন্টেড, এরা নিশ্চয়ই পারবে। কিন্ত ভয়ে হাত তুলছে না।
মতিন সাহেব মাথা দুলিয়ে বললেন, ‘এভাবে চললে তো হবে না। সবকিছু ভাল করে পড়তে হবে। একদম পিথাগোরাসের মত।’ ছাত্রদের দেখে অবশ্য মনে হল না তারা ‘একদম পিথাগোরাসের মত’ করে পড়তে খুব একটা আগ্রহী। মিডল বেঞ্চের দুইজন গভীর আনন্দে কাটাকুটি খেলছে। আনন্দে একজনের দাঁত একেবারে বের হয়ে আছে!
তিনি সেটা দেখেও না দেখার ভান করে বললেন, ‘সালাম কোথায়? সালাম স্ট্যান্ড আপ!’
ক্লাসের কোণার শেষ বেঞ্চ থেকে রোগামত একটি ছেলে উঠে দাঁড়ালো। তার হাঁটু জোড়া কিঞ্চিত কাঁপছে। মতিন সাহেব রাগ রাগ গলায় বললেন, ‘সালাম। তোকে না আমি বলেছি সামনের বেঞ্চে বসতে। তুই পিছনে বসেছিস কেন?’
সালাম কোন জবাব দিল না। তার হাঁটুর কাঁপাকাঁপি আরেকটু বেড়েছে। এই সারকে তার বড় ভয় লাগে।
‘নিউটনের মাথার সূত্র শিখেছিস?’
সালাম উপর-নিচে মাথা নাড়ল।
‘মাথা নাড়া চলবে না। বলতে হবে ইয়েস সার। এখন তুই শিখেছিস ভাল কথা, কিন্তু আমি যখন হাত তুলতে বললাম তখন তুললি না কেন?’
‘সার আমার ভয় লাগে!’
‘আরে বেটা ভয় লাগলে কি চলবে রে? ভয় লাগলে তো বড় হতে পারবি না। তোকে তো অনেক বড় হতে হবে। একেবারে তোর স্বপ্নের সমান বড়! বুঝলি?’
‘জি সার!’
‘আবার বলে জি সার! বল ইয়েস সার!’
‘ই-য়ে-স সার!’
মতিন সাহেব একটি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এই ছেলেটিকে তিনি অত্যন্ত পছন্দ করেন। তার ধারণা এই ছেলে বহুদূর যাবে। গত বছর ‘আমি বড় হয়ে কি হতে চাই’ রচনায় সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা লিখেছে, সালাম লিখেছে সে কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট হতে চায়। সে নাকি বিরাট বিজ্ঞানী হবে। কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট কি জিনিস সে বিষয়ে মতিন সাহেবের ধারণা অত্যন্ত খারাপ, তার ধারণা এটা কম্পিউটারের মেরামতি জাতীয় কিছু হবে! বিসমিল্লাহ ইলেক্ট্রনিকসের সেলিম মিস্ত্রীর মত। তবে সালামের উপর তার বিশ্বাস আছে। সে নিশ্চয়ই এত ফালতু কিছু হতে চাইবে না!
সমস্যা হল সালামের অভিভাবক নিয়ে। সালাম থাকে তার চাচার কাছে। মা নেই। তার বাবা সেই বহুবছর আগে বিদেশ গেছেন আর ফেরেননি। আগে মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন। বছর তিনেক হল টাকা পাঠানো বন্ধ। গুজব আছে তিনি নাকি সেখানে ‘মার্ডার’ হয়েছেন। আসলে কি ঘটেছে কে জানে? তবে সালামের চাচা অত্যন্ত ধুরন্ধর মানুষ। তিনি বেশিদিন এই অলাভজনক বোঝা বইবার পক্ষপাতী নন। তিনি বলে দিয়েছেন সালামের আর পড়ালেখা করার প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত খামারে কামলাদের সাথে কাজ করবে বিনিময়ে থাকা-খাওয়া পাবে। পড়ালেখার খরচ হল বেদরকারি খরচ। এত ‘এচ এচ ছি’ মেরে কি লাভ?
এই হচ্ছে অবস্থা। স্কুলের সব টিচাররা মিলে একদিন গিয়েছিলেন সালামের বাসায়। গিয়ে দেখেন ভয়াবহ অবস্থা! সালাম এই বাসায় থাকে, তার পড়ালেখার জন্য কোন টেবিল পর্যন্ত নেই, সে দিনের বেলাতেও ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে থাকে এমন একটি ঘরের মেঝেতে?? বসে পড়ালেখা করছে।
এই অবস্থা দেখে তারা দমে গেলেন। তবে মতিন সাহেব হাল ছাড়লেন না। তিনি সালামের চাচার সাথে কথা বললেন। সালামের পরীক্ষার আর খুব বাকি নেই, বেশি হলে দুই মাস, এখন এমনটি করার মানে কি? পরীক্ষাটা অন্তত শেষ করুক। কিন্তু তার কথা বিফলে গেল। সালামের চাচা তার কথা শুনে পানের পিক ফেলে চোখ সরু করে বললেন, ‘চালাম আমার কাচে থাকে আমার ইচ্চামথো ছলবে। তাকে নিয়ে আপনার এত মাতাবেথা কিসের? আপনার এর মধ্যে নাক গলাইবার পয়োজন নাই।’
মতিন সাহেব হাঁ হাঁ করে উঠে লেগে গেলেন সেই লোকের সাথে। তখন বাকি সব টিচাররা তাড়াতাড়ি দৌড়ে এসে ছুটিয়ে দিলেন দুইজনকে।
সেইদিনের আলোচনা সেখানেই শেষ। মতিন সাহেব অসহ্য রাগে ফোঁসফোঁস করতে লাগলেন।
কিছু মানুষ এত খারাপ হয় কি ভাবে?
২।
সালামের মন খুবই খারাপ। সে বাথরুমে ঢুকে গামছায় মুখ ঢেকে কাঁদছে। কিছু কিছু মানুষের ভাগ্য এত খারাপ হয় কেন? তার আব্বু যখন ছিল তখন তারা কত সুখে ছিল! তারা থাকতো রুহালী নদীর তীরে। স্বর্গের মত একটা জায়গা! কি যে দিন গেছে তখন! সালামের এখনও মনে পড়ে তার আব্বু প্রতিদিন দোকান থেকে এসে ঘরে পা রেখেই বলতো, ‘কিরে আমার সালাম বেটা কই গেলি!’ সালাম তখন ভেতর থেকে লুকিয়ে বলতো, ‘কুউক!’ এই কুউক শুনে তার বাবার মুখ আনন্দে একেবারে উজ্জ্বল হয়ে যেত! তিনি বলতেন, ‘নে বেটা বিলাতি ঝালমুড়ি খা!’ এ কথা শুনে তার মা সবসময় চোখেমুখে কৃত্রিম বিরক্তি ফুটিয়ে বলতো, ‘আপনে প্রতিদিন এইসব কি আজেবাজে খানা-খাদ্য আনেন। ছেলের পেট তো পঁইচে যাবে!’
তবে তার মা কথা কখনোই শেষ করতে পারতেন না। বাবা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলতেন, ‘আরে রাখো তো তুমি! ছোট মানুষ এখনই তো এগুলি খাবে। বড় হলে কি আর এগুলি খাওয়ার সুযোগ হবে?’
এইসব কথা মনে হলে সালামের হঠাত হঠাত মরে যেতে ইচ্ছা হয়! মায়ের মৃত্যুর পর বাবা তো বিদেশ চলে গেলেন সেই কবে। তিনিও নিশ্চয়ই আর বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে তিনি সালামকে রেখে কিছুতেই বিদেশে থাকতে পারতেন না একা। আহা! কতদিন তাকে কেউ বিলাতি ঝালমুড়ি খেতে বলেনি!
সালামের বড় ইচ্ছা ছিল কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট হবার। কিন্তু এখন এসব ভেবে কি লাভ? সামনে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার ফি সহ অন্যান্য জিনিস মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার টাকা লাগবে। চাচা একটা ফুটা পয়সাও দিতে রাজি না। এখন এতগুলা টাকা সে কই পায়? তাহলে কি তার আর পড়ালেখা হবে না! ক্ষেত-খামারে বৃদ্ধ মবিন চাষীর মত তাকেও কামলা খাটতে হবে! সালাম আর ভাবতে পারে না। তার চারপাশ দিশেহারা, খালি ইচ্ছা করছে গলায় ফাঁসি নিয়ে মরে যেতে। সহজ সমাধান! কেউ তো আর ভাবছে না তাকে নিয়ে। বরং মরে গেলেই যেন সবাই খুশি!
কিন্তু এই কথা ভাবার সাথে সাথে আরেকটা কথা মনে হয় তার, মতিন সারের কথা।
‘তোকে তোর স্বপ্নের সমান বড় হতে হবে।’
সে কি কোনদিন পারবে?
৩।
মতিন সাহেব একটা বিষয় নিয়ে দারুন দোটানায় আছেন। কিছুতেই মনস্থির করতে পারছেন না। তার একটিমাত্র ছেলে জাফর গত দুই বছর যাবত কি একটা রোগে ভুগছে। খুব খারাপ একটা রোগ। ডাক্তার বলেছে এই রোগ অত্যন্ত বিরল, লাখে একজনে হয়। মতিন সাহেব বুঝতে পারেন না তিনি কি এমন পাপ করেছেন যে খোদা তার ছেলেকেই এমন একটি রোগ দিল? সে এখনও স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারে। কিন্তু গত দুই মাস হল তার মাথার চুল খাবলা খাবলা উঠে আসছে! মতিন সাহেব ছুটে গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার বললো এই ছেলের হায়াত আর তেমন বাকি নাই। বেশি হলে ছয় মাস। তিনি ব্যাকুল হয়ে জানতে চাইলেন, ‘এর কি কোন চিকিতসা নেই?’
‘আমাদের দেশে এই রোগের চিকিতসা নেই মাস্টার সাহেব। এর জন্য আপনাকে ব্যাংকক যেতে হবে। বিশ লাখ টাকা মত লাগবে।’
মতিন সাহেবের বুকে হাহাকার বেজে উঠলো। ব্যাংকক যাবার সামর্থ্য তার নেই। তার ছেলে তার চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে। তিনি কিছুই করতে পারবেন না। তার ছেলের অপরাধ যে সে একজন স্কুলশিক্ষকের ঘরে জন্মেছে। দরিদ্র এবং নীতিবান একজন স্কুলশিক্ষকের ঘরে। একাত্তরে মতিন সাহেবের সহপাঠী হাশেম রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল, আর তিনি আল্লাহর নাম নিয়ে গেলেন মুক্তিবাহিনীতে। সেই হাশেম এখন জেলা শহরে দুই তলা বাড়ির মালিক। আর তার নিজের ছেলে আজ মারা যাচ্ছে বিনা চিকিতসায়। খোদার দুনিয়ায় নীতিবান দরিদ্রের কোন ক্ষমা নাই।
মতিন সাহেব আষাঢ়ের কালো মেঘের মত থমথমে মুখ নিয়ে ঘরে ফিরলেন। তার স্ত্রী ফজিলা নেসা উতকন্ঠিত গলায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার কি হয়েছে? ডাক্তার কি খারাপ কিছু বলেছে?’
মতিন সাহেব কোন জবাব দিলেন না। ছেলের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। একে তিনি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসেন। অথচ সে তারই চোখের সামনে বিনা চিকিতসায় মারা যাবে। তিনি কিছুই করতে পারবেন না। এ কেমনতর ইনসাফ আল্লাহর?
ঠিক তখন জাফর খাট থেকে চিঁ চিঁ করে বললো, ‘বাবা তুমি আমাকে কক্সবাজার নিবে না?’
মতিন সাহেব ব্যস্ত হয়ে বললেন, ‘হ্যা হ্যা বাবা অবশ্যই। আমরা আগামী সপ্তাহেই যাব।’
ছেলের কক্সবাজার প্রীতি বহু পুরাতন। ছোটবেলা থেকেই সে কক্সবাজারের নামে পাগল। অসুস্থ হবার পর সারাদিন ঘরে বসে বসে এই পাগলামি আরো বেড়েছে। সম্ভবত মৃত্যুর আগে এটাই তার জীবনের শেষ শখ।
কক্সবাজার যেতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। মতিন সাহেব বহুকষ্টে হাজার খানেক টাকা জমিয়েছেন। আগে মাসে অন্তত একদিন মাংস খাওয়ার বিলাসিতা দেখাতেন, এখন সেই অভ্যাসটি বাদ দিতে হয়েছে। হতে পারেন তিনি দরিদ্র, কিন্তু একজন বাবা হয়ে ছেলের জীবনের শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারবেন না, এতবড় নৃশংস তিনি নিজেকে ভাবতে পারেন না।
কিন্তু আজকে টাকাগুলি হাতে নিয়ে কেন যেন অন্য একটি কথা তার মনে খচখচ করতে লাগলো। তার নিজের ছেলেটি তার কাছে যেমন প্রিয়, তার ক্লাসের প্রতিটি ছেলেও তার কাছে তেমনই প্রিয়। এই কথাটি বারবার মাথায় ঘুরছে কেন? তিনি বুঝতে পারলেন না।
রাতের খাবার খেয়ে টাকা রাখতে গিয়ে মতিন সাহেবের বিদ্যুতচমকের মত হঠাত সালামের কথা মনে পড়লো। সালাম পরীক্ষা ফি দিতে পারছে না বলে তার পড়ালেখা বন্ধ। সে আপাতত তার চাচার ক্ষেতে কাজ করছে। পরীক্ষা ফি কত যেন? তিন হাজার টাকা!
মতিন সাহেবের বুকে হঠাত একটা ধাক্কা মত লাগলো! তিনি কাঁপা কাঁপা হাতে খাটের উপর ছড়িয়ে রাখা টাকাগুলো আবার গুনলেন। বিভিন্ন খুচরো-খাচরা মিলিয়ে একদম তিন হাজার টাকা! এক পয়সাও কমবেশি নেই।
ব্যাপারটা খেয়াল করে এই শীতের মধ্যেও মতিন সাহেব ঘেমে নেয়ে গেলেন। তার ড্রয়ারে ঠিক তিন হাজার টাকা রাখা আছে। এই টাকা দিয়ে অনেক কিছু ঘটতে পারে। এই টাকা দিয়ে একজন মৃত্যুপথযাত্রী ছেলের শেষ ইচ্ছাখানি পূরণ হতে পারে, আবার এই টাকা দিয়ে আরেকটি ছেলের ভবিষ্যত রক্ষা পেতে পারে।
সবই নির্ভর করছে তার উপর। মতিন সাহেবের ভাল তার্কিক হিসেবে সুনাম আছে। আজ তিনি জীবনের কঠিনতম তর্কে নামলেন নিজের সঙ্গে। তিনি একজন আগাগোড়া ব্যার্থ পিতা। তার সন্তানের তেমন কোন শখই কখনো পূরণ করতে পারেননি। এই ইচ্ছাটিও যদি তিনি পূরণ করতে না পারেন, তাহলে তাকে তার সন্তানের অভিশাপে জনম জনম জ্বলতে হবে!
কিন্তু এই টাকাটি যদি তিনি সালামকে দেন, তাহলে সে আবার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে। এবং তিনি জানেন, পরীক্ষাটা দিতে পারলে সে একদিন ঠিকই কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট হবে।
কিন্তু একথা ভাবতেই নিজের ছেলের মুখটি বারবার তার মনে ভেসে উঠছে, যে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর মুখে বলে চলেছে, ‘বাবা! আমাকে কক্সবাজারে নিবে না?’
পৃথিবীটা এত কঠিন কেন?
ঊষালগ্নে পাখির কোলাহলে যখন চারদিক মুখর, ঠিক তখন মতিন সাহেব জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্তটি নিলেন। তিনি এই টাকাটি সালামকে দিবেন। নিজের ছেলের জন্য অনুশোচনায় হয়তো তিনি জনম জনম পুড়বেন, কিন্তু চোখের সামনে একটি সম্ভাবনাকে কিছুতেই নষ্ট হতে দিবেন না।
মতিন সাহেব ঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ জাফরের ঘুমন্ত মুখের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। ভোরের আবছা আলোয় তার মুখটা একেবারে দেবশিশুর মত দেখাচ্ছে। তার চোখজোড়া একটু একটু কাঁপছে। চোখ পিটপিট করা অবস্থায় নাকি মানুষ স্বপ্ন দেখে।
জাফর কিসের স্বপ্ন দেখছে? কক্সবাজারের?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




