শুক্রবারের অলস সকালে বিধাননগরের মানুষ একটু ভিন্ন চিত্র দেখল। কালীপাড়ার গলির মাথার চায়ের দোকানে দাড়িয়ে উস্ক-খুস্ক চুলের এক যুবক ভীষণ উগ্রভাবে সিগারেট টানছে। হটাত সামনে সবুজ রঙের ৮৬ র মডেলের ফোর্ড গাড়িটা বিকট শব্দ করে ব্রেক করলো। গাড়িটা থামার আগেই তার থেকে দুইজন মানুষ পিস্তল হাতে নামছে। এইটুকুই যথেষ্ট ছিল উগ্রভাবে সিগারেট টানা যুবকের প্রানপণে গলির ভিতরে দৌড় দেয়ার জন্য, আর গাড়ি থেকে নামা দুইজন পিস্তল উঁচিয়ে তার পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছে।
.....................................................................................................
তিন দিন আগের ঘটনা........
প্রবীর রয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার। পুরো কলকাতার সব হাই প্রোফাইল ক্রাইমের মূল তদন্ত তিনিই করে থাকেন। আর এই কাজে গত তিন বছর ধরে সাধু (পুরো নাম সাধু দেশাই) প্রবীর সাহেবের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করছে। প্রবীর রয় গত হপ্তাখানেক ধরে একরকম অলস সময় কাটাচ্ছেন, কারন তেমন কোন বড় ধরনের কেস আসেনি। কিন্তু আজ সকালে অফিসে এসে বসতে না বসতেই নতুন কেস হাজির। কাল রাতে উল্টোডাঙ্গায় সুন্দরী রমনী নিজ ঘরে খুন। রমনীর বাবা সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট শিল্পপতি রয় বাহাদুর। তাই কেসটা টপ প্রায়োরিটিতে প্রবীরের কাছে এলো। মুঠোফোনে খুনের খবর পেয়েই তিনি সাধুকে সাথে নিয়ে বাহাদুর প্যালেসের দিকে গাড়ি হাঁকালেন।
.......................................................................................................
(চলবে)