somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাশার মালাম - রাতের বাজার। (ছবি ব্লগ)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মালয়েশিয়ার পাশার মালাম উচ্চারণ ভেদে পাসার মালাম/পাছার মালাম। বাংলায় বলা যায় “রাতের বাজার”। এটি আসলে সাপ্তাহিক বাজার, কোনো একটি এলাকায় খোলা রাস্তায় বাজার বসে যার সময়সীমা বিকাল থেকে রাত অবধি হয়ে থাকে, অনেকটা আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের হাটবারের মতো। আমাদের দেশের হাটবার অবশ্য সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি হয়। রাতের বাজার এক এক এলাকায় সপ্তাহের এক এক দিন হয়। রাতের বাজার থেকে বাজার করে এক ধরনের আনন্দ আছে আর স্থানীয় নানা ধরনের অত্যন্ত মুখ রোচক মজাদার রান্না করা খাবার পাওয়া যায়। আমার ধারণা রাতের বাজার আসিয়ান দেশগুলোতেই হয়ে থাকে। দশটি দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে আসিয়ান ASEAN (Association of Southeast Asian Nation) সংগঠন। আমাদের সার্কের মতো হলেও তাদের কার্যক্রম আমাদের সার্কের মতো নয়, খুবই শক্তিশালী এই সংগঠন। আসিয়ান দেশ সমূহঃ ইন্দোনেসিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ব্রুনাই দারুসসালাম, মিয়ানমার (বার্মা) ও লাওস। আমার দেখা ও জানাশোনায় যদি ভুল না থাকে তাহলে এ ধরনের আঞ্চলিক রাতের বাজার শুধুমাত্র আসিয়ান দেশ সহ মরিশাস ও নিউজিল্যান্ডে আছে এছাড়া আর কোথাও আছে বলে আমার সঠিক জানা নেই।

আমি কাজের বিনিময়ে খাদ্য গোছের মানুষ। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আমাদের অন্ধগ্রাম থেকে গিয়েছি শহরে, শহরান্ত থেকে দেশান্তরে। এমন এমন যুদ্ধ বিগ্রহ দেশে যেতে হয়েছে বেঁচে দেশে ফিরে আসবো সে আশা ছিলো না। আবার এমন দেশে যেতে হয়েছে বিমান বন্দর থেকে বার হয়েই মনে হতে পারে এই দেশে আজীবন থেকে গেলে কেমন হতো? আমার প্রচুর পিছুটান আছে - বাড়িঘর জমিজমা ফেলে দূরে থাকা আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব বিষয়। অসম্ভব বিষয় আত্মীয় পরিজন ছেড়ে দূরে থাকা। অসম্ভব বিষয় শীতের দিনের সকালে চালের গুড়ির তৈরি গরম গরম রুটি খেজুরের ঝোলা গুড়ে ডুবিয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকা। শুধু জলপাই টেংরা মাছের ঝোল দিয়ে সাদা ভাত খাওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড যাত্রা ক্যান্সেল করেও মনে আনন্দ থাকবে। আত্মীয় পরিজন নিয়ে খাবারের মাঝে যে আনন্দ আছে তা পৃথিবীর কোথাও কোনো হোটেল রেষ্টুরেন্টে আছে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।



যাক সে কথা। আজকের বিষয় রাতের বাজার। মালয়েশিয়ার রাতের বাজার। পোস্টের ছবিতে মালয়েশিয়ার বাজারের কিছু দৃশ্য সংযুক্ত করেছি। প্রবাসীরা এই বাজারে অনেক আনন্দের সাথে বাজার করেন সপ্তাহে একদিন। স্থানীয়রা এ বাজারে খুবই আনন্দ সহকারে পরিবার পরিজন নিয়ে যান। বাংলাদেশীরাও আনন্দের সাথেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটা করেন। পাশার মালামে যে সকল মালয়েশিয়ান ও অন্যান্য দেশে সে দেশের স্থানীয়রা বিক্রিবাট্টা করে থাকেন। বেশীরভাগ দোকানে নারী বিক্রয় কর্মী - এরা খুবই ভদ্রমহিলা, কারো সাথে উচ্চবাচ্য হাসি তামাশা বা এ ধরনের কাজে নেই - আজকে হাটবার আজ বেঁচা বিক্রির দিন - সম্ভবত এটি তাদের মূল নীতি।























































উপসংহারঃ আবার নিজের কথায় ফিরে আসি, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যে দেশেই গিয়েছি স্থানীয় খাবারের সন্ধান করেছি। আজ পর্যন্ত কোনো দেশে কোনো স্থানীয় খাবার আমাকে হতাশ করেনি। আসিয়ান দেশগুলোতে স্থানীয় খাবারের সন্ধানে বেস্ট হচ্ছে পাশার মালাম বা রাতের বাজার। সবার কাছে দোয়া চেয়ে আজকের লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি।




কৃতজ্ঞতা স্বীকরঃ সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ছবির এলাকাঃ বালাকং পাশার মালাম, বালাকং, চেরাস, মালয়েশিয়া।
ছবি তুলেছেনঃ কাজী গোলাম মোস্তফা (বাংলাদেশী মালয়েশিয়ান প্রবাসী। একজন সাধারণ কর্মী)





সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০০
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×