
একটি ট্রেন ঘন্টায় এতো কিলোমিটার বেগে চলে এতো মিটার প্লাটফর্ম যদি এতো সেকেন্ডে অতিক্রম করে। তাহলে ট্রেনটির দৈর্ঘ্য কতো? আমাদের ছাত্রজীবনে এই ধরনের ভয়াবহ অংক ছিলো। শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আর কোনো পেশাতে এই ধরনের অংক প্রয়োজন আছে কিনা আমার সঠিক জানা নেই।
আজকের লেখার বিষয় সেই ছাত্র জীবনের বা বিসিএসের ভয়াবহ অংক না। বা জীবন খাতার অংকও না। আজকের লেখার বিষয় সেই অংকের “রেল স্টেশন”! বাংলা ও ইংরেজী ২য় পত্রে জার্নি বাই বোট, জার্নি বাই ট্রেন ছাত্র জীবনে আমাদের সকলের কম-বেশী পড়তে হয়েছে। বাস্তবত যেই যা বলুক, আমরা আসলে সবাই বাংলা ইংরেজি ২য় পত্রের মতো - জীবনের ২য় পত্রে যার যার মতো করে রেল স্টেশন প্লাটফর্মে এসে অপেক্ষা করছি। সকলের কাছে একরঙা একই মূল্যের অদৃশ্য টিকেট। এই ট্রেনে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় বলে কোনো শ্রেনী কক্ষ নেই। নেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ - স্লিপিং কোচ। নেই সংযুক্ত কোনো খাবার গাড়ি! এমনকি কোনো কোচে বাতিও নেই! নিঃশব্দ অন্ধকার কোচ।
নির্দিস্ট সময়ের এক সেকেন্ডও এই ট্রেন কখনো লেট করেনি হয়তোবা কখনো করবেও না। হুইসেল বিহীন নিঃশব্দে ট্রেন যেমন আসবে ঠিক তেমনি নির্দিষ্ট যাত্রী নিয়ে নিঃশব্দে আবার চলেও যাবে।
টিকেট - শুধুমাত্র "ওয়ান ওয়ে জার্নি" প্রযোজ্য। গন্তব্য কোথায় আমরা কেউ জানিনা। কখনো জানা সম্ভবও না।
কভার ছবি সূত্র: NIGHT TRAIN
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




