ইলিবিলি ফোকাস!
তাহমীদ আবরার
আদা ঝাড়া লবন ঝাড়া
ইলিবিলি ফোকাস!
কড়াৎ মড়াৎ পড়াৎ ছড়াৎ
যেথায় যারা লুকাস।
পড়বি ধরা, মরবি তোরা
যদি না দেস তেল,
এবার ঠিকই তোদের মাথায়
ভাঙবো আস্ত বেল॥
ইলিবিলি ফোকাস দিয়ে
মন্ত্র পড়েন দাদা,
সেই মন্ত্রের রোষানলে
জনগণ হয় গাঁধা।
ইলিবিলি ফোকাস দাদার
তিনটি মন্ত্রে গড়া,
তিন ধরনের জনগণ তার
কাছে দেবে ধরা।
প্রথম মন্ত্র ইলি দিয়ে
ইলেক্শনের আগে,
গরীব দুখি মানুষেরে
ফান্দে ফেলা লাগে।
আদা ঝাড়া লবন ঝাড়া
আরো ঝাড়া টাকা,
চাওয়ার আগে সবই দেব
কসম আমার পাকা।
দুধ দোয়ানের বাটি দেব
বাটির আগে গাভী,
টিকেট ছাড়া গাড়ী দেব
আমার বাড়ি যাবি।
আমার বাড়ি হাজার রকম
থাকবে খাবারদাবার,
এসে তোরা সেই গুলো সব
করে দিবি সাবার।
রসের হাড়ি, যশের হাড়ি
সবই থাকবে খোলা,
ফেরার পথে ইচ্ছে হলে
ভরে নিবি ঝোলা।
কসম কসম এত্তো কসম
সবই ছিল ভোটের,
ভোটের পরে তিনিই যেন
নেতা হলেন লুটের।
দ্বিতীয়ত মন্ত্র পড়েন
সাফা করে যারা
এক আঙ্গুলের ইশারাতে
মানুষ মারে তারা।
প্রয়োজনে নিজেকেও
বিলিন করে ফেলে,
কারণ দাদার কাছে ঋণী
থাকতে হয় নুন খেলে।
দাদার নুনে ঋণী হয়ে
থাকে বারমাস,
হিরোইনের ধোঁয়া খেয়ে
ডাকে সর্বনাশ।
তৃতীয়ত মন্ত্র হলো
স্বার্থবাদী লোকের,
ঘরের মানুষ হাওয়া করে
মিছিল করে শোকের।
দাদার পায়ে চাটন দিয়ে
উপরে যায় চলে
সহজ সরল মানুষ গুলান
রাখে পায়ের তলে।
দাদার সাথে আতাত তাদের
দাদার কাজে কাজী
কথায় তারা ভীষণ পটু
ঠিক যেনো এক হাজ্বী।
গোপনেতে পড়েন দাদা
আসল মন্ত্র খানা
জনগণের গোচড়ে তা
ছিলনা তো জানা!
এই করিবো সেই করিবো
আরো কত ভোগাস!
নীলাকাশে ফুল ফুটাবো
ইলিবিলি ফোকাস।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




