যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ণ তালিকা থেকে হয়ত সকলেই পীস কমিটির প্রধানের নাম জেনে গেছেন!! এই পীস কমিটির প্রধান খাজা খায়েরউদ্দিনের জন্ম ঢাকার নবাব পরিবারে!! এক সময় সে ঢাকার মেয়রও ছিল!! এই খাজা খায়েরউদ্দিন ১৯৭০ এর নির্বাচনে মুজিবের কাছে হেরে যায়!! এই খায়েরদ্দিন ছিল পুর্ব পাকিস্থান কাউন্সিল মুসলিমলীগের প্রধান!! মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে পাকিরা যেই পীস কমিটি গঠন করে, সেই পীস কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বা প্রধান ছিল এই খাজা খায়েরউদ্দিন!!
বিজয়ের পরপরই গ্রেফতার হয় এই খাজা খায়েরউদ্দিন!! তার বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা চলছিল যুদ্ধাপরাধ, হত্যা ও অন্যান্য অভিযোগে!! কিন্তু, অন্যান্য কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের মতই মুজিবের ১৯৭৩ এর ৩০ শে নভেম্বরে সাধারন ক্ষমার কারনে মুক্তি পায় পীস কমিটির প্রধান খাজা খায়েরুদ্দিন!! ১৯৭৩ সালের ৭ ই ডিসেম্বর এক ঘোষনায় খাজা খায়েরউদ্দিন ও তার সাথে আরো চারজনের মুক্তির খবর জানা যায়!!
Dec 7:
The Cabinet portfolio was redistributed. A barter agreement with Hungary was signed. The Chief of earstwhile East Pakistan Council Muslim League, Mr. Khawaja Khairuddin and four other persons who were detained under the Collaborators Act............. who were charge-sheeted or convicted under the collaborator's order would be released under the clemency declared by the Government on November 30.
Source: Nurul Momen, Bangladesh, the first four years (from 16 december 1971- 15 December 1975), Pg. 84
সাধারন ক্ষমায় মুক্তি পাওয়ার পরে সে পাকিস্থানে চলে যায়!! ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে বা ১৯৭৬ সালের শুরুতেই সে আবার পাকিস্থানে মুসলিম লীগের রাজনীতি শুরু করে!! এবং ১৯৯৮ সালের দিকে সে পাকিস্থানে মারা যায়!!
২০০৮ সালের নভেম্বরে পাকিস্থান খাজা খায়েরুদ্দিনের ছেলে খাজা আলকামা কে বাংলাদেশে পাকিস্থানের হাইকমিশনার হিসেবে ঘোষনা দিলে ততকালীন তত্ব সরকার তার নিয়োগের বিরোধীতা করে!!
মুজিব মালিকও তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের দালাল আইনে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হওয়ার পরেও সাধারন ক্ষমায় মাফ করে দিয়েছিল!! সেই ব্যাপারে আগেই পোস্ট দিয়েছিলাম!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



