৩ দিন আগে আবার গেলাম পিকনিকে। বেশীদূর না খুলনা থেকে নদীপথে ১ ঘন্টা। জায়গাটার নাম কিসমত খুলনা। সকালে পেট ক্লিয়ার করতে পাররাম না। ৮ টায় ঘাটে পৌছাতে হবে। তাই ক্লিয়ার না করেই ঘাটে চলে গেলাম। ঘাটে পৌছাবার কিছুক্ষন পর হঠাৎ শুনি "গুড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়"।
শব্দের খোজে আশেপাশে তাকালাম কিন্তু কোথাও তো কিছু দেখিনা। আবার "গুড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়"। এবার কাহিনী বুঝলাম। শব্দটা আসছে আমার পেটের ভিতর থেকে। সকালে ক্লিয়ার না হওয়ার ফল।
চোখে আন্ধার দেখলাম। মাইয়াগো সামনে কি শেষ পর্যন্ত লজ্জায় পড়তে হবে নাকি? বাসা অনেক দূর। পেট ক্লিয়ার করি কেমনে? হঠাৎ খেয়াল হলো কাছেই আমার এক মামার বাসা আছে। রওনা হতে এখনও প্রায় ১৫ মিনিট বাকি। একটা রিক্সা নিয়ে সোজা মামার বাড়ি। মামার সাথে দেখা হতেই বললাম, "মামা, পেট ক্লিয়ার করতে এসেছি।"
মামা-মামী তাদের বেডরুম এটাচ বাথরুম ছেড়ে দিল আমাকে। তারপর , "আহ, কি শান্তি"। পুরা পেট ক্লিয়ার করে মামা-মামীকে থেংকু জানিয়ে চলে আসলাম। মদনচালে চলে আসলাম সবার কাছে। যাক, আর বেইজ্জতি হওয়া লাগলো না। লঞ্চ ছাড়ার ঠিক আগ মুহুর্তে মন পড়লো, তাড়াহুড়োয় ফ্লাশ করতে ভুলে গেছি। পেট ক্লিয়ার করে, ফ্লাশ না করেই চলে এসেছি।
ছবির মতো একটা গ্রাম। লঞ্চ থেকে নামতেই বাচ্চাদের মতো ছুটোছুটি শুরু করলাম। আমাদের সাথে একটা গ্রামের ছেলে ছিল। ওকে নাড়কেল আর বেল গাছে উঠালাম। চড়া গরমে মিষ্টি ডাব আর কাঁচা বেল খেলাম।
বনের মাঝে সবাই কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম। আড্ডা শেষে খাওয়ার ডাক পড়তেই উঠে পড়লাম তড়িঘড়ি। আইটেম ছিল কাচ্চি বিরানি, শুরগীর রেজালা, মাঝাড়ি সাইজের চিংড়ি ভুনা, সালাদ, দই আর সফট ড্রিংক। ১ম ব্যাচ খেতে বসে গেল। আমি সার্ভ করছি। হঠাৎ মনে হলো, জুতা বেশ টাইট টাইট লাগছে। ১ম থেকেই লাগছিল কিন্তু গুরুত্ব দিইনি ব্যাপারটায়। পরে জুতার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, এ জুতা আমার না। আমি অন্য কারো জুতা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আড্ডা থেকে উঠার সময় জুতা এক্সচেন্জ হয়ে গেছে।
সার্ভিং বাদ দিয়ে, যারা খাচ্ছিল তাদের পিছনে পিছনে মিঃ বিনের মতো ঘুরে ঘুরে জুতা খুজতে লাগলাম। পেয়েও গেলাম। চামে জুতা আবার চেন্জ করে নিলাম। ব্যাটায় কিচ্ছু টের পায়নি।
সারাদিন হৈচৈ করে কাটিয়ে বিকাল পাচটায় রওনা দিলাম। ফেরার সময় ক্যামেরাবন্দী করলাম গ্রামটার আর রূপসা নদীর অসাধারন রূপ।
আলোচিত ব্লগ
স্মৃতিপুড়া ঘরে
বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন