শব্দের খোজে আশেপাশে তাকালাম কিন্তু কোথাও তো কিছু দেখিনা। আবার "গুড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়"। এবার কাহিনী বুঝলাম। শব্দটা আসছে আমার পেটের ভিতর থেকে। সকালে ক্লিয়ার না হওয়ার ফল।
চোখে আন্ধার দেখলাম। মাইয়াগো সামনে কি শেষ পর্যন্ত লজ্জায় পড়তে হবে নাকি? বাসা অনেক দূর। পেট ক্লিয়ার করি কেমনে? হঠাৎ খেয়াল হলো কাছেই আমার এক মামার বাসা আছে। রওনা হতে এখনও প্রায় ১৫ মিনিট বাকি। একটা রিক্সা নিয়ে সোজা মামার বাড়ি। মামার সাথে দেখা হতেই বললাম, "মামা, পেট ক্লিয়ার করতে এসেছি।"
মামা-মামী তাদের বেডরুম এটাচ বাথরুম ছেড়ে দিল আমাকে। তারপর , "আহ, কি শান্তি"। পুরা পেট ক্লিয়ার করে মামা-মামীকে থেংকু জানিয়ে চলে আসলাম।
ছবির মতো একটা গ্রাম। লঞ্চ থেকে নামতেই বাচ্চাদের মতো ছুটোছুটি শুরু করলাম। আমাদের সাথে একটা গ্রামের ছেলে ছিল। ওকে নাড়কেল আর বেল গাছে উঠালাম। চড়া গরমে মিষ্টি ডাব আর কাঁচা বেল খেলাম।
বনের মাঝে সবাই কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম। আড্ডা শেষে খাওয়ার ডাক পড়তেই উঠে পড়লাম তড়িঘড়ি। আইটেম ছিল কাচ্চি বিরানি, শুরগীর রেজালা, মাঝাড়ি সাইজের চিংড়ি ভুনা, সালাদ, দই আর সফট ড্রিংক। ১ম ব্যাচ খেতে বসে গেল। আমি সার্ভ করছি। হঠাৎ মনে হলো, জুতা বেশ টাইট টাইট লাগছে। ১ম থেকেই লাগছিল কিন্তু গুরুত্ব দিইনি ব্যাপারটায়। পরে জুতার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, এ জুতা আমার না। আমি অন্য কারো জুতা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আড্ডা থেকে উঠার সময় জুতা এক্সচেন্জ হয়ে গেছে।
সার্ভিং বাদ দিয়ে, যারা খাচ্ছিল তাদের পিছনে পিছনে মিঃ বিনের মতো ঘুরে ঘুরে জুতা খুজতে লাগলাম। পেয়েও গেলাম। চামে জুতা আবার চেন্জ করে নিলাম। ব্যাটায় কিচ্ছু টের পায়নি।
সারাদিন হৈচৈ করে কাটিয়ে বিকাল পাচটায় রওনা দিলাম। ফেরার সময় ক্যামেরাবন্দী করলাম গ্রামটার আর রূপসা নদীর অসাধারন রূপ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




