ঈদ মানেই আনন্দ আর কেনাকাটা। ঈদের এখনও প্রায় অর্ধেক বাকি। তবে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। আর এই কেনাকাটার ধুম শুরু হয়েছে ধনি থেকে মধ্যবিত্ত সবার মধ্যেই। বুড়ো থেকে শিশু সবার জন্যই ভাই জামা জুতো। চলুন কিছু ছবি দেখে আসি আগে। বাকি কথা পরে বলছি।





এই পোষাকগুলি তৈরি হয়েছে ভারতে। ফ্যাশনও ভারতীয়। মানে ওদের সিনেমা বা নাটকের নায়িকাদের ফ্যাশন অনুসারে।
চলুন দেখি দেশে তৈরি কিছু পোষাকের ছবি





ভারতীয় কাপড়গুলি জমকালো, দৃস্টিনন্দন। কিন্ত বিপরীতে আমাদের দেশীয় ডিজাইনগুলি কি একেবারে ফেলে দেবার মত?
আমার ধারণা আমরা রীতিমত পাল্লা দিতে পারি ওদের সাথে। প্রয়োজন আমাদের দেশপ্রেমকে আরো একটু বাড়ানো। মানে সব কিছুতে দেশীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া আর কি !
তাছাড়া হুজুগের বসে আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্যরা ইন্ডিয়ান জামা জামা করে যে পাগল হন, সেই ইন্ডিয়ান পণ্য দেশে আনতে যে মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, সেটা কি জানেন?
আর এই বৈদেশিক মুদ্রা আসে, দিন রাত পরিশ্রম করা শরীরকে মেশিন বানিয়ে জীবনকে মুল্যহীন করা, আমাদের গার্মেন্টসের বোনদের কাছ থেকে।
জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, প্রয়োজনে সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশ যাওয়া, নিজের শখ আহলাদকে তুচ্ছ করে ভিন দেশে ভিন পরিবেশে, চিরচেনা পরম আত্মিয়দের কাছে থেকে বহু দূরে থাকা, প্রবাসিদের কায়িক পরিশ্রমের ফসল হিসাবে।
সব আমদানিই যে সোজা পথে হয়ে থাকে, বিশেষ করে ভারতের সাথে সেটা কিন্ত না। বেশির ভাগ আমদানি হয় হুন্ডির মাধ্যমে। অর্থাৎ আমাদের দেশের মুল্যবাদ বৈদেশিক মুদ্রা ভারতে পাচার হয়ে যায়।
এ সবই হয় আমাদের অর্থহীন শখের কারণে।
আমরা যদি দেশীয় পণ্যে অভ্যস্থ হই, তাহলে একদিকে আমরা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ঘটাতে পারবো, অন্যদিকে হুন্ডি নামের মুদ্রা পাচার থেকে দেশকেও বাচাতে পারবো।
সর্বপরি, আমাদের দেশী শিল্প চাঙ্গা হলে, অনেক চাকুরির সংস্থান যেমন হবে, তেমনি অর্থনীতিতে এক বিরাট ভুমিকা রাখবে।
আপনার কষ্টার্জিত উপার্যন আপনি নিজের খুশি মত ব্যয় করবেন, এখানে কারো বলারও কিছু নেই, আপত্তিরও কিছু নেই।
আমি শ্রেফ বাংলাদেশের এক নগণ্য সন্তান হিসাবে দেশের স্বার্থের কথাটা বলেছি। মানুন না মানুন, সেটা আপনার বিবেকের কাছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



