ছবিঃ চলেশ রিছিলের নির্যাতনের নীরব সাক্ষী
১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যে ব্রত নিয়ে তৈরি হয়েছিল এখন তা শুধুই কল্পনা। সেই সময়ে ২৫০০০০ জন সেনা সদস্য, ৫০০০০ অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য ছাড়াও তাতে উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক ব্লাডি সিভিলিয়ান ছিল সময়ের প্রয়োজনেই। দেশ স্বাধীন হবার পরে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী আর আমাদের দেশের বাহিনীর পাথর্ক্য খুব একটা চোখে পরার মত নয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদানঃ
১.
সেনাবাহিনীর অবদান বলতে যা বোঝায় তা ১৯৭১ সালের পরে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। আর ১৯৭১ এর অবদানের অন্যতম কারন সময়ের প্রয়োজনে, আর ব্লাডি সিভিলিয়ানের একাকার হয়ে সেনাবাহিনীর সাথে মিশে যাওয়া।
২.
১৯৭৫ সালের ১৫ অগষ্টের নারকীয় হত্যাকান্ড
৩.
জাতীয় চার নেতাকে নির্মম হত্যাকান্ড
৪. কর্নেল তাহের ও মন্জুর সহ নাম না জানা হাজার হাজার হত্যাকান্ড
৫.
জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ড
৬. এরশাদের বাসরকাল ৮১-৯০।
৭. এরপরে যৌথবাহিনীর অপারেশনের সময়কার কথা না বললেও চলবে কারন সে সময়টা খুব বেশি পিছনের নয়।
স্বাধীনতা থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১৬ জন সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে তাদের জীবনী পর্যালচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশই কোন না কোনভাবে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ( পিজি হাসাপাতালের সাবেক ভিসি স্বজনপ্রীতি সম্পর্কে প্রথম আলোর এক প্রশ্নের জাবাবে বলেছিলেনঃ যাদের স্বজন আছে তারা তো প্রীতি করবেই, আর স্বজনকে প্রীতি করবো না তো কাকে করবো" এই বাক্য সেনাবাহিনীর জন্য বাইবেল তুল্য) অবৈধ্যভাবে ক্ষমতা দখলের সাথে সরাসরি জড়িত।
তারপরেও যে কথাগুলো না বললেই নয় তা হল তাসনিম খলিলের উপর নির্যাতন, চলেশ রিচিলের হত্যাকান্ড, ক্রসফায়ারের নামে শত শত লোককে হত্যা, যা কোনভাবেই কোনদিন কোন সেনাসদস্য মনে রাখেনি, বা দরকারও মনে করেনি।
আর এর বাহিরে পাহাড়ি এলাকায় তাদের হত্যা, লুন্ঠন, নারী নির্যাতনের কথা বললে শেষ হবে না।
একবার বিদ্রোহীতার জন্য বিডিআরের নাম পাল্টে ফেলা হচ্ছে। এই একই কাজ সেনাবাহিনীর জন্য করা হলে তাদের জন্য মনে হয় এখন আর কোন নাম খুজে পাওয়া যাবে না। কারন তাদের ইতিহাস এতই ঘটনাবহুল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




