মানুষ হিসাবে আমি খুব একটা অলস না হলেও লেখালেখির ব্যপারে আমি চূড়ান্ত পর্যায়ের আসলে। কত চিন্তাভাবনা যে মাথার প্রতিটি সেলে সেলে রয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। কিন্তু লিখতে ইচ্ছে করেনা। এই গল্পটা আমি লিখেছিলাম অন্তত ১০ দিন ধরে। চিন্তা করেন যদি এক পেজের একটা গল্প লিখতে আমার এত সময় লাগে তাহলে এক বছরে কয়টা পোস্ট দিতে পারব। ধুর! ইতিহাস বর্ণনা করি এখন।
সামুকে কিভাবে চিনলামঃ মোজাহিদুল ইসলাম ঢেও এর “ইন্টারনেটে ঘরে বসে আয়” নামের একটি বই এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ে এসে পড়তে শুরু করলাম আর সেখানে দেওয়া সকল সাইট ভ্রমন করতে লাগলাম। সেখানে অনলাইন ডায়রি নামের একটা অধ্যায় ছিল। সেখানে বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ সম্পর্কে একটা চ্যাপ্টার ছিল। তারপর রুটিন মত একদিন http://www.somewhereinblog.net (এত বড় URL লিখা বিরক্তকর) এ ঢুকলাম। একটা পোস্ট পড়লাম দুইটা পোস্ট পড়লাম ব্যস প্রেমে পড়ে গেলাম এই সাইটের। তারপর রেগুলার আসা যাওয়া শুরু করলাম। একদিন মনে হল আমিও তো কিছু একটা লিখতে পারি। তারপর নিজ নামে একটা নিক খুললাম। তখন কিছুই বুঝতে পারতাম না। শুধু পড়তাম। তারপর টাকার অভাবে অনেকদিন নেট কানেকশন থেকে বঞ্চিত ছিলাম। ভুলে গেলাম আমার নিকের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড । তারপর কি আর করা হয়ে গেলাম তন্দ্রাবিলাস।
তন্দ্রা বিলাসঃ আমি বরাবরই হুমায়ূন স্যারের ভক্ত কিন্তু মিসির আলির ভক্ত না। তাহলে আমার নিকের নাম তন্দ্রা বিলাস কেন? আমি নিক খুলতে চেয়েছিলাম বৃষ্টি বিলাস নামে কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের সময় দেখি সেই নামটা রেজিস্টার্ড। তখন কি আর করা হয়ে গেলাম তন্দ্রাবিলাস (আসলে এই ব্যপারে আমার কোন বিলাসিতা নাই) ।
কবে খুললামঃ সেদিন ছিল ২৬ শে জুন, ২০১২ রেজিস্ট্রেশন শেষ হয় রাত ১১টার দিকে। প্রথম পোস্ট দিই রাত ১ টায়।
প্রথম পোস্টঃ তখন ভুত এফ এম শুনতাম। রাসেলকে একটা ইমেইল করেছিলাম সেটায় এখানে দিয়েছিলাম। পোস্টটা ছিলঃ “আমার প্রথম ভৌতিক অভিজ্ঞতা” ।
প্রথম মন্তব্য পাওয়া ও করাঃ সেই পোস্টে জেনারেল হবার আগেই মিলটন ভাই কমেন্ট করেন ও প্লাস দেন। আমি প্রথম কমেন্ট করি ‘আমার রাজশাহী ’ গ্রুপের একটা পোস্টে।
জেনারেল ও সেইফ হওয়াঃ আবারো টাকার অভাবে যথারীতি নেট কানেকশান বন্ধ মাস তিনেক পর ব্লগে লগিন করে দেখি সবুজ বাতি জ্বলছে। সেফ হবার পর ‘ছোটগল্প 'চিঠি ' নামের সুপার ফ্লপ পোস্ট। কিন্তু এই গল্পই পরে আবার দিয়েছিলাম একই নামে এখানে , তখন হিট।
কি লিখলামঃ সব মিলে পোষ্ট করেছি ৩৭ টা(পুরা পরিসংখ্যান দিতে লজ্জা লাগছে, যার দরকার দেখে নিয়েন)। কয়েকটা গল্প লিখেছি। নিজের জীবনের কথাবার্তা নিয়ে “আত্নকথন ” নামের একটা সিরিজ লিখতে শুরু করেছিলাম। মোট তিনটা পর্ব লিখতে পেরেছি। তারপর “প্রথম শ্রেণী হতে মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্য সকল ছড়া ও কবিতার সংকলন।” নামের একটা সিরিজ লিখতে শুরু করলাম। এই সিরিজও আলসেমির জন্য শেষ হয়নি। এটার চারটা পর্ব পর্যন্ত লিখেছি। আর কিছু টেকি পোষ্ট লিখেছি। এই তো! শেষ!
আর, কি করবঃ অনেক কিছু করব! অনেক! আমি সারাজীবন যেন এই প্লাটফর্মটির সাথে যুক্ত থাকতে পারি সে দোয়া করবেন সবাই।
নিজ সম্পর্কে কিছু বলিঃ আমি সজীব আহমেদ। থাকি রাজশাহীতে। বাড়ি গ্রামে। বাবা কৃষক। পড়াশোনা, প্রায়মারি ও এস এস সি গ্রামের স্কুলেই। এখন পড়ছি রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটউটে ইলেকট্রনিক্স বিভাগ, এবং এখন ঢাকা প্রোকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই তে পড়ছি:-)
শেষ কথাঃ আমকে কি কেও চিনেন? আমার ব্লগ কি কেও পড়েছেন? যে যে আমাকে চিনেন সে সে হাত তুলেন। আমার ব্লগে যারা তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়তে আসেন, ভাল লাগা জানান, মন্তব্য করেন কিংবা অধমের পোষ্ট প্রিয় তালিকার এক কোনায় ঠায় দেন তাদের সকলকে অন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
ধুর! আজ আর লিখবনা! আইল্যা গেছি।
কি যেন বাকি থাকল........ ও মনে পড়েছে,
উৎসর্গঃ http://www.somewhereinblog.net এর সকল ব্লগার গণকে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২