ভাব নিয়ে একটু দেড়ি করেই উঠতাম ঘুম থেকে। যদিও ঘুম সেই সকাল ছয়টার দিকেই ভেঙ্গে যেত...... তবুও চোঁখ বন্ধ করেই শুয়ে থাকতাম ^_^
ক্লাশ টু-থ্রির কথা বলছি.....
তখন ছিল, বৃহঃপতি বার হাফ আর শুক্র বার মাফ।
হুম ঠিক যেন তাই। বৃহঃপতি বার আসলেই মনের মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দের অনুভুতি অনুভব করতো সকলেই মনে মনেই। পড়ালেখা কম আর খেলার সময়টা অনেক বেশি.... হাতের লেখা এক পাতা, আর অল্পকিছু মুখস্ত করতে হবে....
অন্যদিনের মত আব্বু আম্মু সকালে উঠে সেদিন আর ডাকতোনা আমাদের। উঠে ব্রাশ করতাম বেশ খানিকটা টাইম নিয়েই। অর্থাৎ শুক্রবারে দিনটা যেন আমাদের ইচ্ছামতই চলবে... ^_^
রাতে পড়তে পড়তেই হটাৎ যেন কারেন্ট খানিকটা সময়ের জন্য উধাও হয়ে যেত... সাথে সাথেই প্রায় সকল বাসা থেকেই পিচ্চিদের চিৎকার শুনতে পেতাম। তা ছিল আনন্দের চিৎকার... সকলে মিলে বাসার ছাদে বা বাসার নিচে দৌড়াদৌড়ি আর দুষ্টুমি শুরু....পড়ালেখার মাঝেও যেন কিছুটা বিরতি...।
আমরা দুই ভাই প্রায় সবকিছু নিয়েই মারামারি করতাম। একটু ভাগাভাগিতে অমিল হলেই লেগে যেত..... কখনও কখনও এমনি এমনিতেই.... নিচতলার ভাড়াটিয়ারা মাঝে মাঝেই আমাদের মারামড়ির শব্দে উপরে চলে আসতো
আব্বুর কাছে যা চাইতাম তাই দিতো। তো আমি একটা ক্যাসিও ঘড়ি কিনে নিয়েছিলাম। সেই সময় ক্যাসিও ঘড়ি হাতে থাকা মানেই অন্যরকম ভাব ^_^
সেটা নিয়েও আমাদের তুুমুল মারামাড়ি.....
কয়েকদিন পর বাধ্য হয়ে আমার বড় ভাইকেও একটা ক্যাসিও ঘড়ি কিনে দিতে হলো আব্বুকে
খুবই মিস করি সেই দিনগুলো..... এখন শুক্রবার যেমন অন্য সব দিনগুলোও ঠিক তেমনেই... মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আজ কি বার!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




