বন্ধু, তোমারে ভুলিব সে সাধ্য কার? বহু চেষ্টা করেছি, নাহ, আরো বেশি করে তুমি আমার স্ম্বতির আকাশ জুড়ে থাকো। আমার কষ্ট হয়ে থাকো। আমি বোকার মতো বারে বারে কেবল তোমার কাছে সুখ খুঁজতে যাই, ভুলেই যাই তুমি নীল চাষী। ইংরেজদের সেই নীল চাষী যে কেবল কষ্ট বুনো, নিজে কষ্টের মাঝে আকন্ঠ ডুবে থাকো, চাও জগতময় সবাই কষ্ট পাক! একাকী থাকুক। তোমার কষ্টগুলোকে টেনে নিতে চেয়েছি কতবার! তুমি দাওনি, একবারো সে সুযোগ আমাকে দাওনি। কেবল আমাকে দিতে চেয়েছ আমার নিজস্ব কষ্ট।
কষ্ট পেতে পেতে প্রায় মরেই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আরেক বন্ধু জুটেছে, বলতে পারো কষ্টের রজনী পার হয়ে ভোরের স্নিগ্ধ শ্যামল প্রকৃতি দেখে যে অনুভূতি হয় ঠিক তেমনি অনুভুতি হয়েছিল সেদিন আমার। আমি ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে বুক ভরে শ্বাস টেনেছি, প্রাণে বেঁচেছি। একটু একটু করে নিজেকে ফিরে পাচ্ছিলাম। আবারো তোমাদের হাঁকডাক শুরু হয়ে গেল, কষ্ট দেবে বলে। আবারো আমাকে প্রাণে মারতে হবে তোমাদের, আবারো সেই ভালোবাসার হাতছানি, যেখানে কেবল নি:স্বার্থ দিয়ে যাওয়া, কেবল নিজেকে নি:স্ব করা, আর প্রতিনিয়ত মরে যাওয়া।
হ্যাঁ, এসেছি গো! পালাইনি, মরতে এসেছি। একটু একটু করে আবারো মরবো, তোমাদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে, কেউ গোলাপের সুবাস পাবে না, কেউ ভালোবাসা দিবে না, কেবলি কষ্ট হবে আমার উপহার!
আজ আমি বড্ড একা, আমার অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে যে দুটি কুঁড়ি, তাদের সাথেও যোগাযোগবিছিন্ন, চেষ্টা করেছি, পারিনি। সে আমার পাপের ফল। আর পাপ চাইনে, ঢের হয়েছে।
এসো বন্ধু হয়ে থাকি, যেমন বন্ধুত্বে কোন পাপ হয় না, মন পন্কিলময় হয় না, সমাজ দুয়ো দেয় না, তেমন বন্ধু হই দুজনে। সব অভিমান ভুলে, সব স্মৃতি সিন্দুকে ভরে। চলো আজ দুজনে হাত বাড়াই, পাশাপাশি চলি এক পথে।
হ্যাঁ হ্যাঁ, শাসন আমি করি, কিন্তু শাসিত হতে পছন্দ করি না। বড্ড বেয়াড়া, তাই তো বকুনি খাই। কার সাধ্য যে আমাকে কথা শোনায়! কবে যে মানুষ হবো!
রিমির সিজোফ্রেনিক কিনা জানে না, প্যারানয়েড-এ আক্রান্ত কিনা তাও জানে না, বৈদ্যবাড়ি গিয়ে এসব তার জানতেও ইচ্ছে করে না, শুধু সে জানে সে বড় ভালোবাসার কাঙাল। এইটুকুতেই তার লোভ অনেক বেশি, অর্থ-সম্পদ, নাম যশ, খ্যাতি এগুলো তাকে তেমন টানে না, গল্পে-আড্ডায় মেতে থাকাতেও তার তেমন আগ্রহ নেই, একটু শান্তির প্রতিই তার অনেকটুকু লোভ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



