নির্দেশনার মলাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লেখা হয়েছে ‘ইউনিভার্সিটি অব ডাক্কা’। চাঁদ-তারা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোটিও পাকিস্তান আমলের। ভেতরে নির্দেশনাও সব সেই সময়ের। এমনকি জরিমানার পরিমাণও লেখা আছে রুপিতে।
১০ পৃষ্ঠার এই নির্দেশনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের। স্বাধীনতার ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও এই নির্দেশনা বদলায়নি আজও। এমনকি পাকিস্তান আমলের এই নির্দেশনা বাতিলও করা হয়নি।
পুরোনো ওই নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৪০ দিন শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো শিক্ষার্থী এর ব্যত্যয় ঘটালে তাঁকে এক বর্ষ থেকে অন্য বর্ষে প্রমোশন দেওয়া হবে না। শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে দুটি শারীরিক দক্ষতা পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে অন্তত একটিতে পাস না করলে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১০ রুপি জরিমানা দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষার নিয়ম জানতে কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে গেলে দেওয়া হয় এই নির্দেশনা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন আর ওই নির্দেশনার কোনো কার্যকারিতা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক শওকতুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুরোনো ওই নির্দেশনা আর পরিবর্তন করা হয়নি। কেন হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সূর্যাস্ত আইনের মতো হয়ে গেছে। তবে কেন পরিবর্তন হয়নি, তা আমারও জানা নেই।’ তিনি বলেন, আইন অপরিবর্তিত থাকলেও এখন আর এর বাস্তবায়ন নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইন অনুযায়ী শারীরিক শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক। এ কারণেই শিক্ষার্থীদের হল থেকে শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিতির একটি হাজিরা কার্ড দেওয়া হতো। তবে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই কার্ড দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
শওকতুর রহমান বলেন, আগে হল কর্তৃপক্ষ ৪০ দিন উপস্থিতি না থাকলে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিত না। কিন্তু এখন এ ব্যাপারে কারও কোনো আগ্রহ নেই। তাই আইন থাকলেও এর বাস্তবায়ন নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি পরিচালকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।’
তথ্যসূত্র : দৈনিক প্রথম আলো
লিংক : Click This Link
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে পাকিস্তানি ভূত!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।