ব্লগটি তৈরি করে মাত্র বিভিন্ন ব্লগারের ব্লগে ঢুঁ মারছিলাম। এমন সময় একটি লেখা আমার চোখে পড়ল। এক নি:শ্বাসে লেখাটা পড়লাম। সাথে সাথে আমার মনে হল চোখ দুটো ভারী হয়ে আসছে। গলার কাছে শক্ত কিছু একটা আটকে আছে, বেরুতে চাইছে কিন্তু পারছেনা। নিজের ভেতর একটা প্রবল আলোড়ন তৈরি হল। ইচ্ছা করল, নিজের ভেতর জমে থাকা কষ্টের নদীটাকে এক চিৎকারে বের করে আনি।মানুষ কি করে পশুর অধম হয়, তা দেখে কষ্ট হয়, ক্রোধ হয়, জিঘাংসা জেগে ওঠে।
মূল পোষ্ট এখানে।
Click This Link
একজন ডাকাত (ডাক্তার বলতে ঘেন্না হয়) একজন মায়ের প্রবল প্রসব বেদনার কথা শুনেও তাকে দেখা করতে নিষেধ করা, প্রসবকালীন সময়ে নিষিদ্ধ ঔষধ সেবনের পরামর্শদান, তিনি নিজে যে ক্লিনিকে বসেন তাতে চিকিৎসা নিতে পরোক্ষভাবে বাধ্য করা, তার ও তার ক্লিনিকের কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুটি শিশুর অকাল মৃত্যু-----এর কোনোকিছুই আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবেককে নাড়া দেয় না। তাই ডা: বিলকিসের মত পশুরা আমাদের সমাজে বহাল তবিয়তে বিদ্যমান।
আর যদি সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়ও তাহলে শুরু হয়ে যাবে ডাকাতদের ধর্মঘট। কোন ডাকাত তার কর্তব্য পালন করবে না। এতে যদি একশজন রোগী মারাও যায়, তাতেও তাদের কিছু আসবে যাবে না। এসব ক্ষেত্রে সরকারের উচিৎ কঠোর হস্তে এই বিদ্রোহ দমন করা। সরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা প্রতিটি ডাকাতের পিছনে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। আর নবাবজাদারা BCS দিয়ে সরকারী চাকরী পেয়ে ক্লিনিকে গিয়ে বসে থাকে।
গত ২৪শে আগষ্টেও এরকম একটি খবর প্রথম আলো তে ছাপা হয়:
কতবড় অমানুষ, জানোয়ার হলে একজন প্রসূতিকে প্রসববেদনার সময়েও টাকার কারণে ফিরিয়ে দেয় ঐ ডাকাতরা। মানুষের বিবেক আজ কোথায় নেমে গেছে!!!
ঘূর্ণিঝড়ে নি:স্ব হওয়া মানুষের ত্রানের খাবার, ঢেউটিন চুরি করে রাজনৈতিক, সাংসদ। শীতার্ত মানুষের জন্য পাঠানো সস্তা কম্বলের লোভ সামলাতে পারেনা এলাকার চেয়ারম্যান। অশীতিপর বৃদ্ধার বিধবা ভাতা ভোগ করে আলিশান বাড়ির মালিক (ঘটনা সিলেটে)। এই সব সম্ভবের দেশে বিবেক বিক্রি করে দিয়েছে মানুষ!!!
ধিক এই সভ্যতাকে!!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




