১।এক সময়ে রাসায়নিক সার কাকে বলে বাংলার কৃষক জানতোনা । উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ রাতের আঁধারে কৃষকের জমিতে গোপনে সার দিয়ে আসতো আর যখন ফলন ভালো হতো তখন কৃষককে বুঝিয়ে বলতো রাসায়নিক সারের উপকারিতর কথা ।এ ভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার কৃষকদের শিখিয়েছে।
২।আধুনিক উন্নত জাতের নতুন উদ্ভাবিত ফসলের বীজ সম্পর্কে কৃষক জানতো না ।গবেষণা প্রতিষ্ঠান নতুন নতুন জাতের উদ্ভব করতো আর সে জাত সমুহ কৃষকের দ্ধার নিয়ে আসতো এ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ।ধানের কথাই বলি বিআর-১ থেকে শুরু করে ব্রিধান-৬৮ জাত পর্যন্ত উদ্ভাবিত ধান সমুদহ কৃষকের দোরগোড়ায় নিয়ে আসছে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ ।
৩।বর্তমান সরকার সফলতম কৃষি বান্ধব সরকার । এ সরকার ১০ টাকার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে বাংলার কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ সহায়তার নগদ অর্থ বিতরণ সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছ এই উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণের নিরলস পরিশ্রমের ফল ।
৪।কয়েক কোটি কৃষি পরিবারের মাঝে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণে সরকার সফল হয়েছে । এই উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে বর্তমান সরকারের এ সফলতার অংশীদার হয়েছে ।
৫।আগে বাংলার কৃষক তাদের জনিতে বছরে এক মৌসুম আবাদ করতো । বর্তমানে এ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণের পরামর্শে এক ফসলী জমিকে চার ফসলী জমিতে রুপান্তর করতে সফল হয়েছে । যেমন আমন ধান কেটে সরিষা আবাদ, সরিষা কেটে বরো ধান আবাদ আবার বোরো ধান কেটে আউশ ধানের আবাদ অর্থাত্ বছরে চার ফসল ।
৬।উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণের পরামর্শে বসতবাড়িতে বিভন্ন প্রকার সবজি আবাদ কার্যক্রম সফল হয়েছে ।
৭।বৃক্ষের চারা রোপন অগ্রগতিতে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণের ভুমিকা চোখে পড়ার মতো । বাংলাদেশের প্রত্যকটি কৃষি ব্লকে ফলদ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের সমাহার হয়েছে ।
৮।বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ যেমন নির্বাচন কমিশন, পরিসংখ্যান, সমাজসেবা, সমবায় অধিদপ্তর সমুহের বিভন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণের ভুমিকা চোখে পড়ার মতো ।
আরওকত সামাজিক কার্যক্রমে কৃষকের পাশে থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে এ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগন ।সফল সরকারের সফলতম কাজের অংশীদার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ।আসুন বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার ঘোষনা উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদাসহ ১০ম গ্রেড বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে সচেষ্ট হই কৃষি সমৃদ্ধির সোনার বাংলাদেশ গড়ি ।
তাই কৃষি ডিপ্লোমা অর্জনকারিদের প্রাণের দাবী.,,,
১) ৪ বছর মেয়াদী কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন কারীদের সরকারী সকল বিভাগে চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমান ১০ম গ্রেড বেতন স্কেলে ২য় শ্রেনীর পদ মর্যাদা দিতে হবে ।
২) সকল সরকারী এ,টি,আই গুলো কে সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন হতে পৃথক করে সরাসরি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে ।
৩) ৪ বছর মেয়াদী কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন কারীদের গ্রাজুয়েট সম্মান এবং পোষ্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার জন্য সতন্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।
৪) যেকোন গ্রাজুয়েট সমমানে চাকুরিতে নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




