কার্জন হলে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের শেড কিম্বা মিলন ভাইয়ের দোকানের সামনে জবা গাছের নীচে তক্তায় চা-বিড়ি পান কইরা কইরা পুরা কার্জন হলের ছেলে-মেয়ে সবগুলিরে কম বেশী চেহারা চিনতাম। যেগুলির সাথে খাতির ছিলো তারমধ্যে অনেকের নাম জানতাম না কিম্বা ভুইলা যাইতাম। এদের সাথে দেখা হইলেই ডাক দিতাম, '' মাম্মা ''। বড়ই আজব ডাক।
এইরকম মাম্মা ডাকের এক দোস্ত সদ্য আমেরিকা আসছে। আরেকজনের কাছ থেইকা ও আমার নম্বর পাইয়া কল করছে। ধইরা প্রথমে বুঝি নাই কে। আমি নিজে না বুঝলেও, ঐ পক্ষরে বুঝতে দিইনা যে বুঝি নাই। এক মিনিটের মাথায় বুঝলাম, ও হইলো গাইবান্ধার খন্দকার। যাই হোক, কইলাম কি রে দোস্ত চিনছস? ও কইলো, চিনুম না ক্যান কি কছ। তারপর কইলো,
'' তুই গাইবান্ধার হযু না, তোগের বাড়ীর পাশেই আমার ইয়া থাকে না ব্যাটা। আসবার আগে তোর ছোট ভাইয়ের লগে ও কথা হয়িছে।''
ভরাট গলার এই দোস্তরে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের ঐখানে দেখা মাত্র আমরা ডাক দিতাম,
'' কি রে গাই বান্ধা''
* গাইবান্ধাবাসীগণ নো অফেন্স।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




