somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

নিজের কাছে নিজের ইন্টারভিঊ!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজের কাছে নিজের ইন্টারভিউ! চলুন শুরু করা যাক! মুলত প্রশ্ন গুলো ফেবুতে এক ভাইয়ের টাইমলাইন থেকে নেওয়া, নিজের ইন্টার্ভিউ নিজে দিয়েছিলেম! প্রশ্ন নং ৩৯ ও ৪০ আমি সাহাদাত উদরাজী যোগ করেছি, এই দুই প্রশ্ন ছাড়া ইন্টারভিউ পূর্ন মনে হচ্ছিলো না! আপনি চাইলে এই প্রশ্ন গুলো কপি করে নিয়ে নিজেও এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে বসে যেতে পারেন, সাময়িক সময়ে নিজকে কিছুটা আবিস্কার করতে পারেন। মন্দ লাগবে না! উত্তর দিতে আমার ভাল লেগেছে! আসুন এবার আপনার পালা!)

১। প্রিয় গন্ধ?
– মায়ের মুখের। পান খাওয়া মানুষ গুলোর জন্য অনেক মায়া হয়!

২। শেষ কান্না?
– বিবাহের কয়েকদিন পর, যখন আমার স্ত্রী আমাকে মেয়ে সাজিয়ে আমার দাদীকে ডেকে বলল, দেখেন আপনার নাতী! আমার দাদী আর এই দুনিয়াতে নেই, রক্ষনশীল এই ভদ্র মহিলা সেদিন আমাকে দেখে কি ভেবেছিলেন, সেটা আমি কখনো জানতে পারি না!

৩। প্রিয় ফুল?
– জবা, রক্ত জবা।

৪। প্রিয় জীব?
– একুরিয়ামের পালা যে কোন মাছ।

৫। প্রিয় গান?
– অসংখ্য।, সময় পেলেই গান শুনি! ভাল না বুঝলেও পুরানো বাংলা হিন্দী সিনেমার গান গুলো ভাল লাগে!

৬। প্রিয় টিভি শো?
– এখন আর টিভি দেখি না, ইউটিউব দেখেই কুল পাই না!

৭। প্রিয় মানুষ?
– কেউ নাই।, তবে উপকারী মানূষ গুলো সব সময়েই মনে রাখি এবং এদের ভালবাসি।

৮। প্রিয় খাদ্য?
-সাদা ভাত, ভর্তা, মাছ মাংশ, মানে যা পাওয়া যায় আর কি!

৯। প্রিয় বই?
– এক সময়ে অনেক বই পড়তাম, এখন আর বই পড়ি না, ফলে বিশেষ কোন বইয়ের নাম বলা যাচ্ছে না। তবে একটা বই কথা এই লেখার সময়ে মনে পড়ছে, হ্যাঁ ইমদাদুল হক মিলনের বই, ‘পরাধীনতা’! এই বই পড়ে আমি একজন প্রবাসীকে চিন্তে পারছিলাম, প্রবাসীদের জীবন বুঝতে পারছিলাম। যদিও এর অনেক দিন পর আমি নিজেও প্রবাসী হয়ে গিয়েছিলাম। এই বইটার কথা এখনো মনে পড়ে!

১০। প্রিয় লেখক?
– কাজী নজরুল ইসলাম, উনাকে আমি এখনো আবিস্কার করি প্রতিদিন! সেই যুগেও তিনি যা ভেবেছেন, এখনো অনেকে তা চিন্তাও করতে পারেন না!

১১। রাতজাগা না ভোরে ওঠার দলে?
– ভোরে তো ঘুমাইতেই যাই! রাতে জেগে থাকতে ভাল লাগে, বিশেষ করে রাতের নিরবতা আমাকে টানে! আমি আনন্দিত হই! চাকুরী বা টাকা রুজির টানে এখন আর রাত জাগতে পারি না! সুযোগ থাকলে আমি নৈশকালীন কোন চাকুরী নিতাম। অবশ্য এই জীবনে কিছু জায়গায় রাতে চাকুরী করেছি, রাতের একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে, তা না দেখলে কাউকে বুঝানো যাবে না!

১২। সপ্তাহের ভালো দিন?
– যে কোন ছুটির দিন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, এখন শুক্রবার!

১৩। প্রিয় ঋতু?
– বর্ষাকাল, আমি বৃষ্টি পছন্দ করি! বৃষ্টিতে গাছ পালার একটা আলাদা আনন্দ হয়, সেটা আমি বুঝতে পারি!

১৪। প্রিয় জায়গা?
– গ্রামে সোজা রাস্তার ধারের তাল গাছের তলা, এখানে বসে দুরের ধানের শীষ দেখতে ভাল লাগে! ধান গাছের বাতাসে দোলা দেখে আমি আনন্দ পাই! সবুজ দেখার আনন্দ আলাদা।

১৫। কেমন মেয়ে পছন্দ?
– বিবাহিত ছেলেরা মেয়ে নিয়ে ভাবে কখন, টাকার ভাবনায় অন্য কোন চিন্তাই তো আর নাই!

১৬। স্কুলে ফিরে যাবেন?
– না৷ যদি পারেন বিবাহের আগের দিন গুলোতে নিয়ে যান, বিবাহ করবো কি না, তা নিয়ে কয়েকবার চিন্তার সুযোগ চাই!

১৭। কাকে চ্যালেঞ্জ করবেন?
– কাউকে না। আমি অপছন্দ করি এইসব।, যে কোন প্রতিযোগিতা অপছন্দ!

১৮। জীবনের অপূর্ণ আশা?
– বাবাকে সুখের দিন গুলোতে কাছে পেলাম না, তিনি পরপারে চলে গেলেন অসময়ে!

১৯। একদিন সম্ভব হলে…
– গরীব মানুষ নিয়ে আমার খুব কষ্ট হয়। একদিন সম্ভব হলে সারা দেশের গরীব মানুষকে এক বেলা পেট পুরে ভাল খাবার খাওয়াতাম। দারিদ্র দুরিকরনের সব চেষ্টা করতাম।

২০। যার মস্তিষ্ক দেখে ঈর্ষা হয়?
– নাম বললে চাকুরী থাকবে না, আমার খুব ইচ্ছা হয়, কি আছে উনার মস্তিষ্কে, যদি পড়ে দেখতে পারতাম!

২১। ভালোবাসা?
– হারিয়ে ফেলা সব মানুষের জন্য মাঝে মাঝে ভালবাসা উথলে উঠে!

২২। প্রিয় রঙ?
– সাদা!

২৩। প্রিয় মুভি?
– যখন যে মুভি দেখি সেটাই প্রিয় হয়ে যায়, তবে চয়েজ নিদিষ্ট করে বলতে পারবো না!

২৪। দিনের প্রিয় সময়?
– সকালের নাস্তা খেয়ে অফিসে যাবার সময় রিক্সায় বসে নানান চিন্তা করি, এই সময়টা বেশ কাটে!

২৫। মানুষের কোন গুনটি কাছে টানে?
– সময়জ্ঞান, সততা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি!

২৬। পরিবারের পর কাউকে বিশ্বাস করা সম্ভব হয়েছে?
– অনেক ধরা খাওয়া লোক আমি, ধরা খেতেই পছন্দ করি তবে আমি কাউকে ধরি না বা ধরতে চাই না, ফলে এখনো অনেকেই বিশ্বাস করি। বিশেষ করে আমার চেয়ে দরিদ্র বন্ধুদের আমি বেশী বিশ্বাস করি এবং তাদের অনেকেই বিশ্বাস ভংগ করেছে কিন্তু তবুও আমি তাদের এখনো বিশ্বাস করি! তাদের জন্য আমি সব সময়েই খোলা থাকি!

২৭। মৃত্যুর কথা মনে হয়?
– খুব হয়, মরতে ভীষণ ভয় করে, মৃত্যুর কথা মনে হলে সোজা হয়ে পড়ি! এদিকে সময়ও হয়ে আসছে! একটা আবদার থাকবে আপনাদের কাছে, আমার মৃত্যুর কথা শুনলে, আমাকে ক্ষমা করে দিবেন নিজ গুনে, অনলাইনে অনেক দিন ছিলাম, সেই আবদারে বলি, আমার মৃত্যু সংবাদ পড়লে আমার জন্য একটু বলবেন, ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না লিল্লাহে রায়েযুন!

২৮। কেমন মেয়ে বিয়ে করবেন?
– বিয়ে তো করে ফেলেছি।, এই প্রশ্ন অন্য কোন যুবককে করা যেতে পারে!

২৯। কাউকে ভালোবাসো কিন্তু বলা সম্ভব হয়নি?
– অনেককেই ভাল লাগে বা লেগেছিল কিন্তু ভাল্বাসার কথা বলা হয় নাই! এদের পেলে ভাল্বাসার কথা বলতে পারলে মন্দ লাগত না!

৩০। জীবন নিয়ে চাওয়া-পাওয়া?
– একটা কিছু থেকে প্রতি মাসে একটা নিদিষ্ট টাকা পাব (মানে আমাকে আর কিছু করতে হবে না) এবং সেই টাকা পুরাই স্ত্রীর হাতে দিয়ে আমি বলবো, আমাকে আর টাকার কথা বলো না, আমাকে একটু ঘুরে দুনিয়া দেখতে দাও, এই টাকাতেই সংসার চালাও, নিজেও চলো!

৩১। সাদা মেঘ নাকি নীলাকাশ?
– দুটোই, দুটো দেখার আলাদা আনন্দ আছে, সেটা সেভাবেই পেতে চাই!

৩২। আত্মহত্যা করার ইচ্ছা?
-হ্যাঁ, জীবনে মাঝে মাঝে বেকার হয়ে পড়ছিলাম, অর্থ কষ্টে তখন এই কাজ করতে ইচ্ছা হত! এখন আর ইচ্ছা হয় না!

৩৩। আমার যখন মনটা খারাপ হয়…
– খাবার দাবারে জোর দেই। ভাল ভাল হোটেল খুঁজে খেতে বসে পড়ি! খাবারে সুখ খুঁজি!

৩৪। প্রিয় অভ্যাস?
– বলবো না, যেহেতু বলতে বাধ্য নই! উত্তর দিতে হবে এমন তো কথা নেই!

৩৫। কোনো কিছু নিয়ে আফসোস?
– সামান্য, জীবনে সুখের দিনে বাবাকে কাছে পাই নাই! তিনি আজ বেঁচে থাকলে আনন্দ পেতাম। মায়ের যথাযত সেবা করতে পারছি না, এটাও আমাকে ভাবনায় ফেলে দেয়!

৩৬। জীবন নিয়ে নিজেকে দশ এর মধ্যে কত দিবেন?
– নিজেকে ১০ এ ১০ দিবো৷ কারণ আমি একজন জীবনযোদ্ধা,আমি একজন ফাইটার। এই বয়সেই যত দুঃখ কস্ট সহ্য করে সব বিপদ কাটিয়ে উঠেছি। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে অনেক মানুষই পারতো না। (এটা আমার বেলায় সত্য, তবে বিধাতার কাছে আমার শোকরিয়া জানাই তিনি আমাকে ফেলে দেন নাই, বার বার তিনি টেনে তুলেছেন!)

৩৭। কাদের বেশি পছন্দ?
– যারা ধান্দাবাজ নয় এবং বুঝদার! বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং সাধারন বিবেকবান মানুষ আমার পছন্দ!

৩৮। কেমন মানুষ অপছন্দ?
– লোভী মানুষ! আরো চাই মানুষ, আরো চাই মার্কা মানুষ সহ্য করতে পারি না! অন্যের জন্য যারা জায়গা ছেড়ে দেয় না, তারা কি করে মানুষ হয়! মানুষ মানেই তো আত্মত্যাগী হওয়া উচিত!

৩৯। ভবিষ্যৎ নিয়ে কি ভাবনা?
– মরেই তো যাব, কিছু মানুষ যদি মনে রাখে বা কারো যদি কোন কাজে লাগি সেটাই ভবিষ্যৎ ভাবনা।

৪০। কি হতে ছেয়েছিলেন?
– আমি জীবনের এই পথ পাড়ি দিতে এক এক সময়ে একেক কিছু হতে ছেয়েছি! রাস্তার ধারের হকার, ক্যানভাসার, ফুটপাতের দোকানী, রেলের ড্রাইভার, নাইট গার্ড, ট্রাক চালকের সহকারী ইত্যাদি ইত্যাদি, কি হতে চাই নি! বস্তুত, আমার সারা জীবনের ইচ্ছা ছিল, একজন লেখক হই! বলা চলে, আমি মুলত একজন লেখক হতে চেয়েছিলাম! নানান ব্লগে, অনলাইনে কত কি লিখেছি, সেই সবকে লেখা না বলে যদি আমার চেষ্টা মনে করেন তবে আমি আনন্দিত হব!

(পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিন, লেখাটা আগে ফেইসবুক এবং গল্প ও রান্না'য় প্রকাশ হয়েছিল)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×