somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

গল্পঃ সলিম সাহেবের যন্ত্রনা

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সলিম সাহেবের আসলে বলার আর কিছু নাই, কাকে কি বলবেন! করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের এখনো কোন কার্য্যকর ব্যবস্থা তার চোখে চোখে পড়ে না বা মনে লাগে না যে, তিনি মনকে সান্ত্বনা দিবেন বা সরকারকে বাহাবা দিবেন। কি নিদারন চিন্তা নিয়ে এরা ক্ষমতায় বসে আছে, ক্ষমতাসীন দলের উচ্চু পর্যায়ের কথা বাদ দিয়ে সলিম সাহেব এদের সাধারণ সমর্থকদের সাথে (সলিম সাহেবের অফিসেও এই দলের সমর্থক আছে) কথা বলেও হতাশ হয়ে পড়েন, কি বিকট চিন্তা ও হাসি এদের, এখনো!

সলিম সাহেব অনেক কিছু চিন্তা করেন, প্রথমেই তিনি দেখেন হাসপাতাল গুলোর ডাক্তার নার্স টেকনিশিয়ান কারো জন্যই সামান্য সুরক্ষা নাই, করোনা ভাইরাস প্রটেক্টিভ ড্রেস, মাস্ক, সু কিছুই তো কোন হাসপাতালের কাছে নেই। আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা ঔষধ চিন্তা তো দূরের কথা! সলিম সাহেব আর চিন্তা বাড়াতে পারেন না! তিনি বিধাতা ছাড়া আর কোন উপায় দেখতে পারছেন না, বিধাতাই এখন এই যাত্রা থেকে প্রিয় জন্মভূমি রক্ষা করতে পারেন মাত্র। তবে তিনি এমন ভাবেন, মরতে তো হবেই, মানব জীবনে মৃত্যু অবধারিত সত্য!

তবে ঠিক এই সময়ে সলিম সাহেবের বিধাতার কাছে দুটো চাওয়া আছে। যারা এটাকে গুরুত্বের সাথে দেখে নাই, যাদের সুযোগ ছিল অন্তত সাধারণ মানুষের মনে একটা সাহস যোগানোর, তাঁরা তা করে নাই, সলিম সাহেব তাদের কারো আগেই মরতে চান না! তাদের মৃত্যু গুলো দেখে যেতেই হয়, তাদের সেই বিকট হাসির মলিন মুখ গুলো দেখা ছাড়া মরে যাওয়া চলে না!

আর হ্যাঁ, সলিম সাহেব তার প্রিয়তমা স্ত্রীর আগেও এই ভাইরাসে মরতে চান না, তিনি তাকেও যে কোন সভ্য চিন্তায় এখনো সামিল করতে পারেন নাই, এই আফসোস সহ্য করে মরার কোন মানে হয় না!

সলিম সাহেবের ভাবনার ডাল পালা যন্ত্রনাই হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×