সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, এই লিষ্ট প্রকাশের জন্য। পুরা ডাটা দেখলাম, বাংলা ইংরেজী মেশানো এবং অনেক তথ্য এখনও সম্পূর্ন হয় নাই, তবে চেষ্টা আছে বুঝতে পারলাম, জেলা অনুসারে ফিল্টার করে ফেনী দেখলাম, ৮ জন শহীদ, আমাদের উপজেলার একজন আছে। এই বীরদের ছবি, মৃত্য তারিখ, কোথায়, কিভাবে সহ আরো অনেক তথ্য যোগ হবে নিশ্চয়। শহীদদের আত্মীয়রা ডাটা আপডেট করবে এবং এখনো যারা নানা কষ্টে আছেন বা যোগ হয় নাই তারাও যোগ হবেন নিশ্চয়।
যাদের এখনো কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই, তারাও অজ্ঞাত হিসাবে আসুক। এটা নিশ্চয় কঠিন কাজ, কোন ভুয়া যেন এই লিষ্টে প্রবেশ করতে না পারে, এরা জাতির সুযোগ্য সন্তান, এদের অবদান চীরকালের জন্য লিপিবন্ধ হউক। পাশাপাশি যারা চোখ হারিয়েছেন, শরীরের অংগ হারিয়েছেন তাদেরও আলাদা করে নাম আসুক, আসুক যারা আহত হয়ে কষ্ট পেয়েছেন তাদেরও।
খবরের কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি। আজকের কাগজ থেকে -
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জনের শহীদের পরিচয় জমা হয়েছে, যা পরবর্তীতে আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে (২০২৪) সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ০৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই বা সংশোধন অথবা পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ, প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করে বলা হয়, প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারও কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা হলো— (ক) শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) /জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। (খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে। (গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে। (ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে। (ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন। (চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হল কিনা তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের মধ্যে যদি কারও নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/সিভিল সার্জন/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।
(ভাল কাজ, সরকার এগিয়ে চলুক, সব হবে তা নয়, আমরা চেষ্টা ও সততা দেখতে চাই)