সাধারন জ্ঞানে/চোখে কিছু বিষয়, বাক স্বাধীনতার অংশ হিসাবে চিন্তা করছিলাম মাত্র -
বড় সেরা ভুলঃ
- পালানো বা দেশত্যাগ করতে দেয়া উচিত হয় নাই, যদিও এতেই তাদের সব অধিকার শেষ হয়।
- নুতন সরকার গঠনের পরেই সব বাহিনী প্রধানকে অবসরে পাঠানো উচিত ছিল।
- বংগভবনেও একজন মেধাবী নিয়োগ দেয়া যেত বা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে অন্য কাউকে নেয়া উচিত ছিলো।
- বড় নেতা, পাতি নেতা, ব্যবসাহীদের আশ্রয় ও পালিয়ে যেতে দেয়া উচিত হয় নাই।
অপকর্মঃ
- এই শিক্ষার্থী জনতা আন্দোলনের বিজয়ে প্রথম পাপ করেছে জামাতে ইসলামীর আমির, তার উল্টা পাল্ট কথায় মানুষের মনে আরো ঘৃণা জমেছে। সে একবার লীগকে ক্ষমা, বার বার টিভিতে আসা, দেশের বড় ব্যবসাহীকে আশ্রয়, সব সাফল্য তাদের প্রচার ইত্যাদি ইত্যাদি ছিলো বিশ্রী এবং ঘৃণ্য। এই লোক এখনো নিজ থেকে বুঝে না যে, তাদের এই দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো ঘৃণা করে।
- ছাত্রদের যদিও আন্দলোনে সাফল্যের পরে উপস্থিতি জরুরী ছিলো, কিন্তু কোন পোষ্টে যাওয়া উচিত ছিলো না, নুতন সরকারকে সমর্থন দিয়ে চাপে রাখা উচিত ছিলো, প্রয়োজনে চুক্তি করা যেত।
- নুতন সরকার আইন বিচার ইত্যাদিতে কিছুটা নমনীয় আছে, যা অনুচিত, পূর্বের অন্যায়কারীদের যে কোন মুল্যে বিচার ও জেলে ভরা উচিত এবং এদের প্রতি কোন মায়া/দয়া দেখানও উচিত নয়। তাদের অপকর্ম মানুষ ভুলে যাবার আগেই এই অধ্যায় শেষ করা দরকার ছিলো।
- আন্দোলনে নিহত (শহীদ), আহত, পঙ্গু সবাইকে সমানভাবে সামনে নিয়ে আসার দরকার ছিল, এদের নামের তালিকা করে তাদের সাহায্য করে তাদের পরিবারের মুখে সবার আগে হাসি নিয়ে আসা দরকার ছিলো, যাতে কোন পরিবারের মনেই না হয় যে তাদের সন্তানের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে।
অহেতুকঃ
- এই আন্দোলনে কারোই একক কৃতিত্ব নেয়া উচিত নয়, প্রায় সবাই ছিলো, শিক্ষার্থী জনতা সবাই। সবাই রাস্তায় না নামলে বিষয়টা এত সহজে সম্ভব হত না। কাজেই সকল শহীদ, আহত ও অংগহারাদের সরাসরি কৃতিত্ব, পরেই পুরা দেশবাসী।
- যারা স্বৈরাচারী সরকার হাটাতে নানামুখী কাজ করেছেন, সবাই ধন্যবাদের যোগ্য। আবার দেশ বিদেশে অবস্থান করা এই লোকদের বর্তমানে অহেতুক এই সরকার বিরুদ্ধে বা ক্ষনে ক্ষনে ভুল ধরা উচিত হচ্ছে না, এতে গণমানুষের চিন্তায় আবার বিরুপ ধারনা আসছে।
- কেহ বর্তমান সরকারকে সময় দিতে চাইছে না, যা চরম অন্যায়। যারা এখন সাহসের সাথে বলে আগে ভাল ছিলাম, এরাই মুলত তারা, এদের সমাজে উপস্থিতি বিশ্রী কারন এদের কাছে পরিবার সমাজ রাষ্ট্র নয়, অন্যায় ভাবে অর্থ উপার্জন মুখ্য। এদের অহেতুক উপস্থিতি নষ্ট করা উচিত।
যা হতে পারতঃ
- প্রধান উপদেষ্টা ও নানান বিষয়ে বিজ্ঞ লোকদের উপস্থিত করে আওয়ামীলীগ ছাড়া সর্ব্দলীয় (গণহত্যা যারা সমর্থন করেছে তাদের পুরাই বাদ রেখে) জোট গঠন এবং তাদের থেকে সৎ ও বিজ্ঞদের নিয়ে সরকার গঠন করা যেতে পারত এবং সংস্কার শেষে নির্বাচন, এতে যারা উঠে আসতে পারত, তারাই দেশ চালাত। এতে দল গুলো থেকে জলদি নির্বাচনের চাপ থাকত না, আইন কানুনের সুষ্টূ সংস্কার করেই অন্য কাজে যাওয়া যেত।
গণমানুষ কি চায়ঃ
- দ্রব্য মুল্য, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সাধারন খরচের একটা যোক্তিক সমাধান, সরকারের তরফ থেকে এই বিষয় গুলোতে একদম প্রপার কাজ। দ্রব্যমুল্যে এখন অবশ্য বাজারে যেয়েই আগের মত হুঠহাট বেড়ে যাওয়া দেখতে হচ্ছে না, তবে সেই আগের দামেই ফিট হয়ে আছে, যা সাধারন মানুষের জন্য এখনো কষ্টকর, উপার্জনের সাথে খরচের হিসাব মিলে না।
আমি আশাবাদী, আমি মনে করি, একদিন এই দেশে কোন দারিদ্রতা থাকবে না, যারা যেখানে কাজ করছেন, সবাই নিশ্চয় এই দেশ ভালবাসেন এবং এই দেশের মানুষের মঙ্গল বুঝেন। আমরা নুতন স্বপ্ন দেখতে চাই।
ভাবনা চিন্তা, নয়াপল্টন, ৩০/০৯/২০২৪ইং

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


