somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

এই তো জীবন, কেটে যাচ্ছে!

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালে ঘুম ভাঙল ফোনে, দুঃসংবাদ, একজন বন্ধুর মাতা রাতে মারা গিয়েছেন। নরসিংদীতে গ্রামের বাড়িতে দাফন হবে। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন।

তার পরে হেলায় ফেলায় আজকের দিন কেটে গেছে। আবার বৃষ্টিও ছিলো, প্রায় সময়ে গুড়ি গুড়ি, কোথায়ও যাবো ভেবে বিকেলে নিচেও নেমেছিলাম, যাওয়া হয়নি, ইচ্ছা হচ্ছিলো না। রাস্তা পার হয়ে বাজার থেকে লাউ ও পেঁপে কিনে বাসায় ফিরে আসলাম, অনেকেদিন পেঁপে ভাজি খাওয়া হয় নাই, আগামীকাল সকালের নাস্তায় পেঁপে ভাজি ও পরোটা পেলে ভাল লাগত, তবে এটাও প্রিয়তমা স্ত্রীকে বলা হয় নাই, আজকাল আসলে আর কাউকেই কোন বিষয়ে বলতে ইচ্ছা হয় না, মনে হয় ধুর কাউকে বিরক্ত করে আর কি হবে, চলে চলুক এভাবেই। এখন তো মৃত্যুর অপেক্ষা মাত্র!

তবে আমি আল্লাহকে প্রায় বলি, যেন কিছু বছর বেশী বাঁচি, এখনো অনেক কিছু দেখা হয় নাই, আমার বেঁচে থেকে অনেক কিছুই দেখে যেতে ইচ্ছা হয়, প্রযুক্তির উন্নতিতে আমার এখনো মন ভরে নাই, আগামী ৫০ বছরে আর কি কি হতে পারে, দেখে যেতে পারলে মন্দ হত না। অন্যদিকে খুব খারাপ শোনালেও আরো অনেক মনে ইচ্ছা আছে, লজ্জায় বলছি না।

দুপুরের পর পরেই মেরিকা থেকে খালেদ শিহাব ফোন করলো, পুরানো বন্ধু, অনেক বছর দেখা নাই, তবে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়, ভাল লাগে আমার। অহেতুক অদ্ভুত সব কথা বলি আমরা, দেশ নিয়ে তার অনেক চিন্তা, আমি নিষেধ করি, তবুও ঘুরে ফিরে সেই সব উঠে আসে। সেই কবে আমরা একসাথে দাম্মামে ছিলাম! ওর আর কখনোই দেশে ফেরা হবে না জানি, তবুও বলি, একবার এসো, দেশ দেখে যাও, তোমাদের মালিবাগের বাড়ি এখনো আছে। প্রায় ৩০ বছর মেরিকা থেকে কেমন যেন হয়ে গেছে, মুখে বলে কিন্তু দেশে আসার সাহস করে না।

যাই হোক, মানুষের যেখানে যে দেশে জন্ম সেটাই তার জন্য সব চেয়ে ফিট দেশ, আর তার মায়ের ভাষাই হচ্ছে তার জন্য সেরা ভাষা, মায়ের মুখে শুনে সে যে ভাষায় প্রথম কথা বলা শিখে সেটা দিয়েই সারা জীবন মনের কথা প্রকাশ করতে পারে, পরে শেখা ভাষা গুলো যদিও কর্ম জীবনে কাজে লাগে, তবে মনের ভাব প্রকাশের আর সেরা হয়ে উঠে না।

পাশের প্রতিবেশী দেশের মাতৃভাষা যাদের বাংলা, তারা এখন খুব কষ্টে আছে। তাদের মায়ের ভাষায় কথা বললেই তাদের ভিন্ন দেশী বলা হচ্ছে, এই এক নিষ্ঠুর সময়ে তারা পড়ছে। এক দেশে হাজারো ভাষা থাকতে পারে, এবং সেই ভাষায় আবার অন্য কোন দেশের লোকেরাও কথা বলে পারে, তাই বলে তারা কি ভিনদেশি হয়ে যাবে! এই সরকার পরিচালকদের উপরেও নালত, আপা শেখ হাসিনার মত মোদি ভাইয়ের পতন না দেখে মরতে চাই না! এই ঝুলুম্বাজদের মৃত্যুও দেখে যেতে চাই।

মানুষ দরিদ্র থাকবে এবং এটাই স্বাভাবিক মানুষের জন্য, ধনী দেশ গুলোতেও ভিক্ষুক দেখা যায়। রাজপ্রাসাদের সিড়ির নিচে হাত পাতা লোক থাকাই স্বাভাবিক। একটা দেশের শতভাগ মানুষ কখনো দারিদ্রতা সীমা পার করতে পারে না, করেও না (অপ্রসাঙ্গিক হলেও বলি, আমি নিজেই ইংল্যান্ডের আন্ডার গ্রাউন্ডের সিঁড়িতে বৃটিশ ভিক্ষুক দেখেছি ও দান করেছি)। কারন সব ঠিক থাকলেও অনেকে দারিদ্রতাকে ইচ্ছা করে হলেও গ্রহন করে বা সে অন্য কোন কাজের যোগ্য থাকে না। এই যেমন আমি, আমাকে দারিদ্রতা যত টানে, অর্থবিত্ত ততটা নয়, ধন সম্পদ উপার্জন আমার কাছে পুরাই ফালতু মনে হয়। তবে আল্লাহকে বলি, তিনি যেনো যতদিন বাঁচিয়ে রাখেন, অন্ততত কারো কাছে যেন হাত না পাতান, ঠিক যতটা প্রয়োজন (বেইজ্জ্বতি যেন না হই) ততটা যেন তিনি দিয়েই রাখেন।

এই তো জীবন, কেটে যাচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন-হাদিস অনুযায়ী তারা পাকিস্তান এবং অন্যরা অন্যদেশ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১



সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×