একজন ধর্ষক তৈরির পিছনের কারিগর হিসেবে কাজ করে তার ফ্যামিলি! ইভটিজিং করা, মেয়েদের বিরক্ত করা সহ নানাবিধ অপরাধ করে ও কিছু ছেলে পেলে ফ্যামিলি থেকে সাপোর্ট পায়, যা তাদের বড় অপরাধে উদ্বুদ্ধ করে। ছেলে, মেয়েদের কে উত্তপ্ত করে; বাসায় নালিশ আসছে। এরা তাদের গুনধর ছেলেদের কে বাচিয়ে নিয়ে যায়৷ থানা পর্যন্ত গড়ালে ও বাবা প্রভাবশালী হলে ঝামেলা মিটমাট করে ফেলে।
এখন আসি অন্য প্রসঙ্গে!
দেশে যেমন মেয়েরা নিরাপদ না৷ তারা চাইলেই রাত-বিরাতে বের হতে পারে না। সব সময় ভয়ে ভয়ে রাস্তায় চলতে হয়। ঠিক তেমনি এদেশে অধিকাংশ পুরুষেরা নিরাপদ নয়৷
আপনার কি মনে হয়, এদেশে পুরুষেরা চাইলেই রাত বিরাতে নিরাপদে চলা ফেরা করতে পারে? যদি মনে করে থাকেন হ্যা তারা পারে তাইলে এত দিন ভুল জেনে আসছেন৷ এদেশের রাস্তাঘাট সব পুরুষদের জন্য ও নিরাপদ না৷ এখানে পুরুষেরা ও হ্যারেজমেন্টের শিকার হয়! রাত বিরাতে, অলিতে গলিতে, মোড়ে মোড়ে এদের দ্বারা, ওদের দ্বারা হয়রানীর কবলে পড়তে হয়.......
'২৪ ঘন্টার মাঝে এদেশ থেকে সকল পুরুষ উধাও হয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব কি না' এমন একটা পোষ্ট দেখেছি গতকাল। পুরুষ উধাও কোনো সমাধান না। পুরুষ-নারী একে অপরের পরিপূরক! এক পক্ষ ছাড়া অপর পক্ষের কথা চিন্তা করা যায় না। বরং পুরুষ, নারী এক হয়ে সমাধানের পথ খোজাটা ই বাস্তব সম্মত চিন্তা!
তাইলে ধর্ষণ যারা করে এরা কি পুরুষ না? এরা পুরুষ না এরা কাপুরুষ! এদের কাছে তার নিজ মা-বোন ও নিরাপদ না৷
আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আজ অবধি আমার দ্বারা কোনো নারী হ্যারেজমেন্টের স্বীকার হয় নাই। আমি রাস্তায় চললে চিন্তা করি আমার দ্বারা যেন কোনো মেয়ে ইনসিকিউর ফিল না করে। আর, এই পুরোটা আমি শিখেছি আমার ফ্যামিলি থেকে। আমার বাবা-মা থেকে!
একটা সন্তান কে নারীদের ব্যাপারে ভালো শিখাতে পারে তার মা! তাই মা দের কে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। তারাই পারে তাদের সন্তান কে সুস্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
আবার, পুরুষ মাত্র ই ধর্ষক এমন টাও না, ভালো খারাপ মিলেই মানুষ। সমাজে যেমন ভালো পুরুষ (বাবা, ভাই, বন্ধু, স্বামী) আছে, ঠিক তেমনি খারাপ পুরুষ ও আছে।
সমাজে ধর্ষণ বন্ধে ভালো পুরুষ, ফ্যামিলি, সমাজ, আইন সব গুলোকে তাদের যথাযথ দায়িত্ব কাধে তুলে নিতে হবে।
স্লোগান হবে, "মেয়েদের কে সুস্থ ভাবে হাটতে দেই, বাচতে দেই, সুস্থ জীবন দেই, ভবিষ্যতে দেশ ভালো পুরুষ পাবে, ভালো ছেলে পাবে, ভালো বাবা পাবে।"