নারীত্বের বাঁধনে বাঁধা পরে
তুমি অসহায় এক নারী,
স্বামীর আজ্ঞাবহ এক সহধর্মিনী ।
ভোররাতে উড়বার আকাঙ্খায়
ডানা ঝাপটানো পাখির সীমাবদ্ধতা
এখনো তোমার চুড়িতে
আমি নই, আমি নই কারো পর্সোনাল প্রপার্টি
প্রয়োজনে আমি বিশ্বমানবাধিকার
লঙ্ঘনকারী অশক্তির বিরুদ্ধে
গর্জে ওঠা এক অরুন্ধতি রায়,
মেঘ যতটা না গর্জাতে জানে
আমার গর্জনে সিংহ হার মানে ।
তুমি রুগ্ন শিশুর শিয়রে বসা
ক্রন্দনরত অসহায় এক জননী
আমি একটি শিশুর মা নই
আমি সমগ্র মানবতার আর্তিতে
সমর্পিত এক মাদার তেরেসা,
মাতৃত্বের বাঁধনে বেঁধেছি সমগ্র পৃথিবীকে ।
তুমি দুর্যোগের রাতে প্রিয়হারার ভয়ে ,
সপো আত্মাকে নাথমনিরে চেয়ে
আমি সব দুর্যোগে সব পীড়িতের পাশে,
আমি একটি শিশুর মা নই
আমি নাইটিংগেল ফ্লোরেন্স ।
তুমি বখে যাওয়া মানুষের ভীরে
অবগুন্ঠিত নষ্ট হওয়ার ভয়ে
আমি ওদের মাঝে মিশে যাই
মুক্তির সন্ধানে,
আমি রোকেয়া, আমি উর্মিলা
আমি রানী, আমি প্রীতিলতা ।
আমি ঝড় আমি ঝঞ্ঝা,
দুর্যোগে বিদ্রোহে উন্নত রাখি মানবতার ঝান্ডা।
তুমি চুলে পড়ো মেহেদি
মুখে দামী প্রসাধনী
হৃদয়ের শুভ্রতাই
আমার চুলকে রাঙায়
ব্যক্তিত্বই আমার নির্মল আভরণ।
তুমি আর অমি একই দেহে
বসবাসরত দুটি ভিন্ন সত্ত্বা
অথচ তোমার আমার মাঝে
একি অভ্রভেদী বিরাট দেয়াল
তুমি অ্যানিমল, আমি রাশনাল
তুমি নারী, আমি মানবী
আমি জীবিত, তুমি অর্ধমৃত ।
অথচ বিপ্রতীপ কি
হওয়া উচিত ছিলনা ।
প্রতি প্রভাতে অরুণ ঊষা
তোমায় ধিক্কারি আমায় কি
ডাকেনা নীরবে চাহিয়া ।
তবে আর অপক্ষা কিসের হে মানবী,
সকল বাধার জিঞ্জীর ছিঁড়ে পিঞ্জির ভেঙে
বেরিয়ে আসো হে মানবী, বেরিয়ে এসো।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫