
আ সেপারেশানের গল্পটি আমাদের খুবই পরিচিত,খুব সাধারন ভাবেই অসাধারন।
“সিমিন” ও “নাদেরে”র ১৪ বছরের সংসার,সাথে ১১ বছর বয়সী মেয়ে “তারমেহ” এবং নাদেরের বৃদ্ধ অচল অসুস্থ পিতা যে কিনা Alzheimer's disease রোগে আক্রান্ত। সিমিন-নাদের পরিবার ইরানের বাইরে অন্য দেশে চলে যাওয়ার সুযোগ পায়, সিমিন চায় না তার মেয়ে তারমেহ ইরানের মধ্যবিত্তের সংঘাতপুর্ন পরিবেশে বেড়ে উঠুক, বাদ সাধে নাদের,সে তার অসুস্থ অচল বাবাকে ফেলে যেতে চায় না, ফলাফল সিমিন ডিভোর্সের আবেদন করে, কিন্তু পর্যাপ্ত কারন দেখাতে না পারার কারনে বিচারক ডিভোর্সটি অনুমদন করেরন না। সিমিন মায়ের বাড়ীতে চলে যায়। নাদেররের অসুস্থ বাবাকে দেখাশুনার জন্য রাখা হয় “রাজিয়া” নামের এক ধার্মিক মহিলাকে,যার স্কুল পড়ুয়া ছোট এক মেয়ে আছে, রাজিয়া তার স্বামীকে জানায় না যে সে এক বাসায় কেয়ারটেকারের কাজ নিয়েছে। দিন চলছিল, নাদের একদিন বাসায় ফিরে দেখে তার বৃদ্ধ বাবা মাটিতে পড়ে আছে, হাত খাটের সাথে বাঁধা , রাজিয়া ও তার মেয়ে উধাও , ড্রয়ারে রাখা টাকা নেই, তার মাথায় রক্ত উঠে যায়, পরে রাজিয়া এলে সে তাকে দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়,ফলাফল রাজিয়ার মিসক্যারিজ, নাদেরের নামে ভ্রূণ হত্যার মামলা হয় ,মুভিটি শেষ দিকে চরম গতি পায়, দ্রুত ভেগে এগুতে থাকে , সিমিন-নাদের পরিবার ব্লাড মানি দিতে রাজি হয়, দ্বিধা গ্রস্থ রাজিয়া কোরআন হাতে নিয়ে বলতে পারেনা আসলেই কি নাদের দোষী কিনা, অদ্ভুদ বিষন্নতা নিয়ে এগুতে থাকা মুভিটি শেষ হয় তারমেহ এর অভিবাভকত্ব নিয়ে,তারমেহ কাদতে থাকে, সে বলতে পারেনা সে কার সাথে থাকবে, সে প্রথমে বাবার সাথে থেকেছিল কারন সে জানত মা তাকে ছাড়া থাকতে পারবে না,কিন্তু সেপারাশান যখন অবশ্যম্ভাবী তখন সে কাকে বেছে নেবে?
মুভিটি আসগার ফারাদির ডিরেকশানে তৈরী,তারমেহের চরিত্রে অপুর্ব অভিনয় করেছে আসগার ফারাদির মেয়ে সারিনা ফারাদি,মুভির প্রতিটি চরিত্র যেন নিজ হতে তাদের গল্প বলে গেছে,আপনার এক বারও মনে হবেনা এরা অভিনয় করছে,এখানেই এরা সফল আর বাংগালীরা বস্তা পচা।মুভিটি ২০১২ সালের ভিন্ন ভাষার মুভি ক্যাটাগরিতে একাডেমিক পুরষ্কার,সেরা মুভি ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন বিয়ার,৬১ তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচিত্র অনুষ্ঠানে সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন গ্লোব পুরুষ্কার পায়,

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




