
কিশোরী মন আজ ভীষন আগ্রহে হাত বাড়ালো
অঝরে ঝরা বৃষ্টির পানে।
ছুঁয়ে গেল অজানা অনুভবের পরশ
যেন বেতফুলের সৌরভে মেতেছে প্রনয়দেবী।
ক্ষনে ক্ষনে ঢলে পড়ে কিশোরী মনের রোদসী প্রেম,
প্রনয়ের অত্যুগ্র আগ্রহে নেচে উঠেছে তার প্রান।
কিশোরীর বৃষ্টি মুগ্ধতায় অপলাপে উচ্ছল বারিধরা,
আদরী স্পর্শে নেচে নেচে বলে যায়----
হে মুগ্ধময়ী! আমি তোমার জন্য,
বয়ে এনেছি মেঘ পালকের ডানায় ভরে
বৃষ্টি ভেজা জোসনার চুয়ে পড়া অদ্ভূত মায়া,
আমি বয়ে এনেছি লাবন্যের ললিত কুসুম তীক্ষ্নতা
বয়ে এনেছি হৃদয়ে ধারন করা প্রসন্ন সুরের প্রনয়গীত
তুমি গ্রহন কর, হে চঞ্চলা কিশোরী
গ্রহন কর সর্বশুদ্ধতা,গ্রহন কর সৌন্দর্য।
মনকে ভাসিয়ে দাও বিশুদ্ধতার বানে।
দর্পিত বৃষ্টির উচ্ছলিত মাধু্র্য্যে
কিশোরী মনের নিকৃষ্ট অর্বাচীন গুলোকে
সানন্দে বিদায় বলেছে,দিয়েছে মুক্তি।
বৃষ্টির সৌন্দর্য কে সাক্ষী করে কিশোরী,
বৃষ্টির পাখায় বেঁধে দিয়েছে মুক্তামনি।
আর নিজে গ্রহন করেছে সুতীব্র আলোক দ্যুতি,
হয়ে উঠেছে লক্ষ্য কোটি পারিজাত ফুল।