বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। বিভিন্ন দেশে বিয়ের প্রথা প্রচলিত থাকলেও দেশ ভেদে তার নিয়ম কানুন গুলো কিন্তু ভিন্ন। তাহলে দেখা যাক তারই কয়েকটি-
1.
বেইজিং এর যে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের পাশে একজোড়া পাঁতিহাস বেধে রাখা হয়।
2.
যুগোস্লাভিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের মাকে বড় ধরনের একটি কেক মাথায় নিয়ে সকল বর যাত্রীর সাথে নাঁচতে হয়।
3.
আমাদের দেশে যেমন বিয়ের জন্য মেয়েদেরকে আঠারো বছর অপেক্ষা করতে হয় তেমনটি নয় অস্ট্রেলিয়ার টুইয়ি উপজাতীয়দের ক্ষেত্রে। জন্মের দিনই এ উপজাতি মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়।
4.
আফ্রিকার কঙ্গোর বান্ডা উপজাতীয় মেয়েদের বিয়ের বয়স হলে তাকে একটি আস্ত কাঁচা মুরগীর বাচ্চা খেতে দেয়া হয়। যে মেয়ে বাচ্চাটির একটি হারও না ভেঙ্গে খেতে পারে তাকে বিবাহ যোগ্যা বলে মনে করা হয় এবং পরবতর্ী এক বছর তাকে তাঁর নিজের কিংবা সংসারের কোন কাজই করতে দেয়া হয়না এমনকি তাকে গোসল এবং খাইয়েও দেয় অন্যজন।
5.
শতাধিক বছর আগে ইটালীর লাজুক যুবকেরা টিনের জুতো পাঠিয়ে মেয়েদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতো । টিনের জুতো পেয়ে যদি মেয়েটি গম্ভীর হয়ে যেত তবে বুঝা যেত মেয়ে রাজী আর যদি মেয়ে হাসত তবে বুঝা যেত প্রস্তাব গ্রহন সম্ভব নয়।
6.
আফ্রিকার রুয়ান্ডায় ওয়াটুসি গোত্রের বিয়েতে বর মুখে কুলির পানি নিয়ে কনের গায়ে এবং কনে কুলির পানি বরের গায়ে ছিটিয়ে দিলেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়।
7.
ভারতের সিরমারের সব মেয়েদেরই বিয়ে হয়ে যায় হাঁটতে শিখার আগেই।
8.
আমেরিকার ওয়াশিংটনের সিটলের ঘটনা। মেয়ের বয়স আঠারোর কম এ ধরনের সন্দেহ হওয়াতে পাদ্রী বিয়ে পড়াতে রাজি হচ্ছিলেন না। এক রসিক লোক দুটি কাগজে 'আঠারো' শব্দটি লিখে পাদ্রীর চোখের আড়ালে কনের জুতোর ভিতর ভরে দিয়ে বলল-মেয়ে আঠারোর উপরে। একজন সাক্ষী পেয়ে পাদ্রী বিয়ে পড়ানোতে আর আপত্তি করলেন না। প্রকৃত ঘটনা হলো মেয়ে 'আঠারো' লেখার উপর দাড়িয়ে ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




