৪৬ ওভারের খেলাতে ৩৮ তম ওভারকে স্লগ ওভারই বলা যায়। তখন রান ছিলো ১২৯/৬ আরো বাকি ৮ ওভার
মাশরাফি করেছে ৮-১৭-১
রাজ্জাক করেছে ৯-৩০-১
সাকিব করেছে ৭ - ১২ - ১
ফয়সাল করেছে ৬-২৭-১
শাফিউল করেছে ৭-৩৪-২
মাহমুদুল্লা্হ করেছে ২-১৪-০
স্লগ ওভারের শেষের (শেষ ২/৩ ওভারে) দিকে কখনই স্পিন ভালো অপশন নয়।স্পিনকে বাউন্ডারী মারতে হলে তুলে মারতে হয়। তাতে ক্যাচ হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। সাধারনত স্পিনের সুবিধা হচ্ছে রান বেশি দিলেও উইকেট নিয়ে নেয়া।
অন্যদিকে পেস বল স্লগ ওভারের শেষ দিকে স্পিনের চেয়ে ভালো কাজ করে। ইয়োর্কার লেন্থের বল, স্লোয়ার বল ইত্যাদি দিয়ে ব্যাটসম্যানকে খুব বেশি রান নেয়া থেকে আটকে রাখা যায়। কেনোনা শেষ ২/৩ ওভারে উইকেটের নেয়ার চেয়ে রান আটকানোর চে্স্টাটাই যুক্তিসংগত। সবাই তাই করে থেকে।
মাশরাফি, রাজ্জাক আর সাকিব ভালো বল করছিলো, তাদের একসাথে মোট ৫ ওভার বাকি, আর শফিউলও ভালো পছন্দ। রাজ্জাক আর সাকিবকে দিয়ে ৩ ওভার শেষ করিয়ে দিতে পারতো। এমনিতেই ওরা স্পিনে ভালোনা। তার মধ্যে ৬ উইকেট পরে গেছে। ওরা স্পিনকে ঐ সময়ে সমীহ করেই খেলতে। আর যদি বাউন্ডারির চেস্টা করতো তাহলে ২/১ উইকেট চলে যাবার চান্স থাকতো। তাহলেও আয়ারল্যান্ড বেশি দুর এগুতে পারতোনা।
স্পিন না খেলিয়ে বাংলাদেশ পেসারদের পাঠালো। ফলে তেমোন কোনো লাভই হলোনা। সাবলিলভাবে ওরা রান করে গেছে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই।
শেষের দিকে ঐ বাকি ৩ ওভার স্পিনার নিয়ে আসা হলো। কি লাভ হলো? উইকেট ১ টা সাকিব পেলো ঠিকই কিন্তু রানতো আটকানো গেলোনা।
শেষ ৮ ওভারে ৬০ রান দিতে হলো।
শুধু তাই নয়, রাজ্জাক আর সাকিব সবচেয়ে ভালো বল করা সত্তেও তাদের ১ টি করে ওভার বাকি রয়ে গেলো। যদিও ৪৬ ওভার ম্যাচ হবার কারনে কোনো বলার ৯ ওভারের বেশি করতে পারবেনা বলে কোনো নিয়ম আছে কিনা আমার যানা নাই। তবে আমার প্রধান অভিযোগ বলিং ওর্ডার নিয়ে।
আমার মতামত বললাম । আপনাদের কি মতামত?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




