বর্তমান সময়ের টক অফ দা টাউন--- বিলবোর্ড-- সরকার--- প্রচার।
বিলবোর্ড গুলো নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত মেয়াদ ভিত্তিক চুক্তিতে বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে ভাড়া দেয়া আছে, যার জন্য তারা এককালীন ও বাৎসরিক হিসাবে টাকা দিয়ে থাকে। এখন কোন্ সে অধিকারে, কোন সে ক্ষমতাবলে, সরকার তাদের ইচ্ছানুসারে এইসব ভাড়া দেয়া বিলবোর্ডে তাদের নিজস্ব প্রচার চালাবে? সরকার যেসব বিলবোর্ড দখল করেছে তার প্রায় সবই সিটি কর্পোরেশন এর। এখন দেশের কোন আইন সরকারকে অনুমতি দেয় সরকারী সম্পদ ব্যবহার করে দলীয় প্রচারনা চালানোর। সরকারকে তার উন্নয়নের ফিরিস্তি দেয়া আর কারও দলীয় প্রচার প্রচারনা চালানো তো এক কথা নয়। আর তারা তাদের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিছে, তার সাথে এটাও দেয়া দরকার ছিল না যে কোন্ উন্নয়নের পেছনের হিসাব কিতাব কী ছিল। তবেই না তাদের আন্তরিকতার প্রমান পাওয়া যেত। কারন যে উন্নয়নে দুই টাকা খরচ হবার কথা বা দুই টাকায় যে কাজ করা যেত, সেখানে যদি দুইশত টাকা খরচ করা হয় এবং তা আবার ব্যপক উন্নয়ন নামে প্রচার করা হয় তা কখনই গ্রহনীয় হতে পারেনা। যার প্রমান আমরা বারবার পেয়েছি কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে যার ফলে সরকারের শত সহস্র কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে (আসলে লুটপাট করা হয়েছে)। আমরা কী এতই উচ্চাভিলাষী হয়ে গেছি যে ধার করে ঘি খেতে হবে? দেশের উন্নয়ন অবশ্যই কাম্য, তার প্রচারও কাম্য, তবে তা যেন কখনই জোর করে চাপিয়ে দেয়া না হয়। আর সবার আগে জানা দরকার যে, যে উন্নয়নের ফিরিস্তি দেয়া হচ্ছে তার কতটা সুফল জনগন পেয়েছে, আর কতটাই বা কারো সুবিধার্থে করা হয়েছে। আমি সহজ হিসাবে যা বুঝি, আমার মাথায় টুপি নাই, চোখে কালারফুল সানগ্লাস নাই, তাতেও আমার চলবে। কিন্তু আমি এই টুপি বা সানগ্লাস পাবার জন্য পরনের প্যান্ট খুলতে রাজি নই। অবশ্য যারা খুলতে চায় তাদের হিসাব ভিন্ন। তাদেরকে আমার বলার কিছু নাই।
আমরা যতই বলিনা কেন যে,প্রচারেই প্রসার।
কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে
অতি প্রচারে মাঝে মাঝে অসার হতে হয়।
মনে রাখতে হবে যে,
"বিজ্ঞাপন দিয়ে যে সুন্দরীর বিয়ে দিতে হয়,
অবশ্যই তার মাঝে কোন ভেজাল আছে"।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



