somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যাকাতের নামে মৃত্যু তামাশা বন্ধ হবে কবে?

১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রেকিং নিউজঃ যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে ২২ জনের পদদলিত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু।

আর কত? প্রতি বছর আর কত এই একই শিরোনাম দেখে যাব আমরা ? আর কত মানুষের মৃত্যু হলে আমরা যাকাত দেবার নামে মৃত্যুর এই তামাশা বন্ধ করব ? তামাশা, হ্যা এটাই সত্য, কিন্তু এই দেশের কেউ তা বুঝতে চায়না। যাকাত আর দান যে এক নয়, এটাই তারা বুঝতে চায়না। যাকাত মানে কিন্তু এই না যে আমি কাকে কী দিলাম বা কত দিলাম, বা আমি এই বছর কতগুলো শাড়ি-লুঙ্গি বিতরন করলাম। যাকাতের মূল উদ্দেশ্য হলো, যাকে এ বছর যাকাত দেয়া হলো তাকে যেন পরের বছর যাকাত দেবার দরকার না হয়। কোটি টাকার শাড়ি বিতরন না করে তা দিয়ে যদি ১০ জন লোককে স্বাবলম্বী করা হয় প্রতিবছর, কয়েক বছর পর আর যাকাত দেবার লোক খুজে পাওয়া যাবে না। আমরা যাকাত হিসাবে নগদ টাকা বা কাপড় না দিয়ে যদি সরাসরি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি তাই হতে পারে সর্বোত্তম।

এখন দেখা যাক এসকল সমস্যার সমাধান আমরা কিভাবে করতে পারিঃ

১। সরকারিভাবে একটা তহবিলে যাকাতের টাকা সংগ্রহ করা যায় যাহা সম্মিলিত ভাবে দেশের গরীব দূঃখীদের কল্যান ও উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। এখানে প্রতিবছর যে টাকা যাকাত অনুদান আসবে তা থেকে প্রতিবছর যত জনকে সম্ভব এমনভাবে স্বাবলম্বী করতে হবে যেন তার আর কখনো যাকাত - ফেতরার দরকার না হয়।

২। প্রতিটা মহল্লার মসজিদ কে কেন্দ্র করে যাকাত সংগ্রহ করা যেতে পারে এবং তা হতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উক্ত মহল্লার গরীব দূঃখীদের কল্যান ও উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। সেখানে যদি ৮-১০ জন লোককেও স্বাবলম্বী করা যায় প্রতিবছর, কয়েক বছর পর আর উক্ত মহল্লায় যাকাত দেবার লোক খুজে পাওয়া যাবে না আমি নিশ্চিত।

৩। আমরা নিজেরাও অনেক যাকাত দিয়ে থাকি। আমরা কী এমন একটা উদ্যোগ নিতে পারিনা যে এখন থেকে আমরা আর এককভাবে যাকাত প্রদান করব না, বরং আমরা যারা কাছের লোক যেমন ভাই-বোন-বাবা-মা, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী, দেবর-ননদ-জা, মামা-মামী, খালা-খালু সবাই যদি আলাদাভাবে তাদের যাকাত না দেই, বরং সবার যাকাতের টাকা এক জায়গায় করে, যদি ২-৪ জন লোককেও স্বাবলম্বী করি প্রতিবছর ( না হয় আগে নিজেদের দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনদের দিয়েই শুরু করি ), তবে কী খুব বেশিদিন লাগে দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী গড়তে?

চাইলে এমন হাজারটা পন্থা আপনারা সবাই বের করতে পারবেন তা আমি জানি, তা সে যে পন্থায়ই হোক না কেন, আমাদের জন্য জরুরি হলো আমাদের যাকাতের টাকার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা, তাই নয় কী। আমরা কী এখনও ভেবে দেখব না। আমাদের কী কোন অধিকার আছে যাকাত দেবার নাম করে মানুষের জীবন কেড়ে নেবার? হোক সে গরীব, না খেতে পাওয়া মানুষ।

নাহয় আমরা যাকাত দেবার নামে পত্রিকার পাতার শিরোনাম নাই হলাম।
নাহয় আমরা দানবীর উপাধি নাই পেলাম।
নাহয় আমরা বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবে পরিচিতি নাই পেলাম।
আমরা কী চাইলেই পারিনা যাকাতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী গড়তে?

প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ, সবাই আমরা একবার হলেও ভেবে দেখি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে মানুষের জন্য ভালো কিছু করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×