রহিমা বেগম রান্না শেষ করে হাতের কাজগুলি গুছিয়ে পুকুর ঘাটে যাচ্ছে। অন্তর্বাস বিহীন এক প্যাচ দেয়া শাড়িতে ৩৫ বছরেও শরীরের ভাজে স্ফুলিং ঝরে। মোহনীয় মসৃণ মাখনের মত শরীরে আকর্ষণ একটুও কমেনি। উছলে উঠা পুরুষ্টু বক্ষ যুগলের দোলায়িত ছন্দবদ্ধতা যে কোন পুরুষের হৃদয় স্থবির করে দেয়। ভারি নিতম্বের ভাঁজ চলার সাথে যেন যুগলবন্দী সন্তরনে তাল মিলাচ্ছে নিরন্তর। ভর দুপুরের এই সময়টায় চারিদিকে সুনসান নিরবতা বিরাজ করে। এই সময়টাকেই নিরাপদ ভেবে নিয়ে রহিমা বেগম ঘাটে যায়। মনপ্রান উজার করে প্রক্ষালনে ব্যাস্ত হয় শরীরের ভাজে ভাজে। ধবধবে ফর্শা অনাবৃত শরীরকে দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন ভাসমান একটি রাজহংস। আমীর আলী গাছের আড়ালে দাড়িয়ে রহিমা বেগমের সৌন্দর্য আচ্ছাদনে বেহুশ প্রায়। গাছের সাথে নিজেকে প্রায় "ক্যামোফ্ল্যাজ" করে অদৃশ্য রাখার চেষ্টা। দূর হলেও স্পষ্ট রেখার ভাঁজ হৃদয়ে আলোড়ন তুলছে আমীর আলীর। রহিমা বেগম অর্ধেক পানিতে ডুবে বাকি অর্ধেক উপরে তুলে শরীরে বাসনা সাবান মাখছে। চোখে মুখে সাবান মেখে অন্ধ হয়ে বুক হাত চিবুক যখন ঘষে ঘষে ময়লা পরিস্কার করছিল, আমীর আলীর মনে তখন উল্টা পাল্টা চিন্তা কিলবিল করে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। জাগতিক সকল চিন্তা চেতনা তার মস্তিষ্ক থেকে উবে গিয়েছিল তখন। যে গাছটিকে আড়ালের ঢাল হিসাবে বেছে নিয়েছিল সে গাছে ছিল ভীমরুলের আস্থানা। আর আমীর আলীর কপাল এমনি খারাপ যে ভীমরুলের বাসাটিকে শরীরের সাথে চেপে ধরে দাড়িয়ে ছিল। আচ্ছা ভীমরুল কি গণ্ডারের আত্মীয় স্বজন? তা না হলে আমীর আলীকে ২/৩ মিনিট সময় দিলো কেন? তার পরেই তো রোজ কেয়ামত নেমে এলো আমীর আলীর উপর। শয়ে শয়ে ভীমরুল বাহিনী আমীর আলীকে অনাহুত অতিথি ভেবে গন সম্বর্ধনা দেয়া শুরু করে। একে তো টিং টিং করা শুকনা শরীর তার উপর খালি গা। উপায়ন্তর না দেখে মাগো বাবাগো বলে মান ইজ্জতের মাথা খেয়ে পুকুরে ঝাপিয়ে পরে আর চিৎকার করে আকুতি জানাতে থাকে আমাকে বাচাও আমাকে ভীমরুলে মেরে ফেললো। আচম্বিত এই চিৎকার আর পুকুরে ঝাপিয়ে পরার ঘটনায় রহিমা বেগমের অজ্ঞান হবার দশা। ধাতস্থ হতেই স্থান কাল পাত্র ভুলে রহিমা বেগম পুকুর পারে উঠে অন্যদের ডেকে এনে আমীর আলীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে। আমীর আলীর সারা গা থেকে থেকে যেন পাতিলেবু আকার ধারন করেছে। মৃতপ্রায় অবস্থায় আমীর আলীকে ভ্যান গাড়িতে করে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়।
আলোচিত ব্লগ
কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।
আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।
অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?
অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন
জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?
জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়
১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷
চলুন গল্পটা শুনে আসি৷
বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন