ইফতার করে ফিরছিলাম ফ্রেন্ডের বাসা থেকে । এক হাতে ওয়ান টাইম গ্লাসে চা আরেক হাতে ঠান্ডা পানির বোতল। উদ্দ্যশ্যে প্রথমে মসজিদে যাব এরপর নামাজ শেষে বাসায় যাব। হঠাৎ দেখলাম একটা কবতুর রাস্তার মধ্যে বেশ কাতর অবস্থায় আছে ।
রাস্তার মাঝখান থেকে কবুতরটাকে উঠিয়ে রাস্তার পাশে গিয়ে বসলাম। হাতের বোতলটা থেকে ঠান্ডা পানি হাতে নিয়ে পাখিটার মুখের সামনে ধরতেই কবুতরটা খেতে শুরু করল।যতক্ষন পর্যন্ত খেল ততক্ষন পর্যন্ত খাওয়ালাম। এদিকে নামাজের আকামত দেওয়া শুরু হয়ে গেছে ।
কবুতরটার গায়ে মিনিট খানেক হাত বুলিয়ে দিয়ে ছেড়ে দিয়ে হাঁটা শুরু করতেই অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করলাম কবুতরটা আমার পেছনে পেছনে আসছে । নিচু হয়ে হাত বাঁড়িয়ে দিয়ে ভাবলাম পালাবে কিন্তু আবারও অবাক করে দিয়ে আমার হাতে ধরা দিল। কবুতরটাকে ঘাড়ে বসিয়ে দিলাম ভয়ে ভয়ে । কয়েকমিনিটেই অদ্ভুদ একটা মায়া জন্মে গেল। ভাবলাম হয়ত পালিয়ে যাবে । কিন্তু পালাল না । মসজিদের পাশেই আমার নতুন বাসা। কেন জানি মনে হল কবুতরটার ঠান্ডা পরিবেশ দরকার। রুমে নিয়ে গিয়ে এসি ছেড়ে দিয়ে নামাজে চলে গেলাম।
নামাজ শেষে এসে দেখি ঠান্ডা পরিবেশে বেশ আরাম পেয়ে ঘুরঘুর করছে । দরজা খুলে দিলাম ।মনে মনে চাইছি যেন না পালায় এবং পালায়নি ।
এরপর ঘুম দিলাম্ । এশারের নামাজের পর ডিউটি এলাম। এখনো ডিউটিতে ।
আসার পর থেকে বেশ কিছু ঘটনা মনে পড়ল। একজন কাছের ফ্রেন্ড । যে বন্ধুটিকে নিজের বিছানা ছেড়ে দিয়ে আমি প্রায় ৪মাস মেঝেতে ঘুমিয়েছি । বন্ধুটির জব ছিলনা । বন্ধুটির জন্য কি করেছি সেসব বলতে চাইনা। আমি তখন যেখানে জব করতাম ওখানে বন্ধুটিকে জব দিলাম। একটা সময় ঐ প্রতিষ্টানটি লস খেয়ে বন্ধ হয়ে যায় । আমার প্রায় ৪মাসের বেতন পায়নি । কারণ আমি নিজে দেখেছি কিভাবে লস হয়েছে । তাই একবারও বলিনি ৪মাসের বেতনের কথা।বন্ধুটির ছিল ১মাসের বেতন বাকী। যখন প্রতিষ্টানটি বন্ধ হয়ে যায় তখন বন্ধুটি বেতন না পেয়ে বন্ধু মহলে বলতে শুরু করল আমি নাকি ওর বেতনের টাকা তুলে মেরে দিয়েছি
প্রতি উওরে বন্ধুটি বলল, এতকিছু বুঝিনা তুই আমারে জব দিয়েছিস বেতনের দায়িত্বও তোর । আমি প্রতি মাসে তোর হাত থেকেই বেতন নিয়েছি বাকী যে মাস আছে ঐ মাসের টাকা তোকেই দিতে হবে !!
কত সহজেই না বন্ধুটি সব অস্বীকার করল! আর একটা কবুতর! মাত্র কয়েক মিনিটের ভালবাসা পেয়ে সেটা ভুলেনি ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


