somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাস্তবতার কাছে হার মানা ...

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাস্তবতা , এমন ই এক শব্দ যার সামনে আমরা সবাই নত । যার সামনে নিজেদের ইচ্ছা অনিচ্ছা কোন কিছুই কখনো ফ্যাক্ট হয়ে দারায় না ! আজ তেমন ই এক বাস্তবতার সামনে আমি । জীবন থেমে যায় না , জীবন হয়ত চলে যাবে । কিন্তু এই চলার প্রত্যেক প্রহরেই আমার তার দেয়া স্মৃতি গুলো নিয়ে থাকতে হবে !
অনেক দিন আগের সম্পর্ক আমার সাথে । আমার জীবনে যদি আমি বলে থাকি আমি জীবনে হ্যাপি কাউকে দেখেছি তা ছিলাম আমরা দুইজন । আমাদের মত হ্যাপি কেউ ছিলো না । এতটাই ভালোবেসেছিলাম একজন আরেকজনকে যা কখন ব্যাক্ত করে বোঝাতে পারব না । এত দিনের সম্পর্ক , কখনো কোনদিন ঝগড়া হয় নি আমাদের । আমরা ছিলাম পৃথীবির অঘোষিত রাজা-রাণী । অনেক বাধা পার হয়ে আমরা একজন আরেকজনের সাথে ছিলাম । অনেক কষ্ঠ করে আমরা একে অপরের হাত ধরে ছিলাম , অনেক কষ্ঠ অনেক কান্নার পর ও আমরা হাত ছাড়ি নি এক জন আরেকজনের । সম্পর্কে আমরা দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিলাম আর আমাদের বয়স ছিলো এক ই এবং এই দুটি জিনিস ই হয়ত আমাদের জীবনের কাল হয়ে দারায়। অনেক আগেই আমরা পরিবারের হাতে ধরা খাই । কিন্তু তারপরো আমরা হাল ছাড়ি নাই , লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলতাম , দেখা হত না প্রায় বললেই চলে । তারপরো আমাদের মত হ্যাপি কেউ ছিলো না । কথা গুলো লিখতে লিখতেও চোখের কোনায় কিছু পানি জমে আছে এখন। অনেক লুকিয়ে থাকার পর ও আমরা ধরা খাই আবার আমাদের পরিবারের হাতে । এবার আমাদের পরিবার আমাদের নিস্তার দেয় নি , অনেক ঝামেলা হয় । তার পরিবার আমার বাসায় আসে কথা বার্তা হয় । কিন্তু আমি পারি নি যুদ্ধ করে তাকে ধরে রাখতে । আমি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম বর্ষে পরি মাত্র । তার পরিবার সরাসরি বলেছিলো বিয়ের কথা , আমার পরিবার মেনে নেয় নি । সব রাস্তা আমাদের বন্ধ হয়ে যায় । তার বিয়ে হয়ে যাবে হয়ত কিছুদিনের মদ্ধ্যেই । তা যেনেও আমরা কথা বলি এখনো মাঝে মাঝে । কিন্তু কি হিসেবে আমরা কথা বলি আমরা যানি না । জীবনের প্রত্যেকটা কাজে তার স্মৃতি রয়ে গেছে । প্রত্যেকটা ক্ষনেই তার কথা মনে পরে । এর চাইতে কষ্ঠের কি আছে যে আমি জানি আমার ভালোবাসার মানুষ টা কিছুদিন পর ই আরেকজনের হয়ে যাবে কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না । সে এখন আমাকে বলে দেখো নিজের খেয়াল রেখো । আর এখন না পারো এক সময় কিন্তু সিগারেট খাওয়া টা ছেড়ে দিয়ো । আমি কি বলব ? মনে হয় পৃথীবির সব কষ্ঠ তখন আমার মনে এসে জমা হয় । চাওয়া সত্বেও আজ আমরা নিরুপায় ।
এত নিষ্ঠুর কেন এই পৃথীবি ? তেমন কিছু তো চাই নি । শুধু একটু হ্যাপি থাকতে আর একজন কে হ্যাপি রাখতেই তো চেয়েছিলাম । এটাই কি আমার পাপ ছিলো ? কেন আজ আমরা আলাদা হয়ে গেলাম । পৃথীবির বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতা আমরা আমাদের জীবনের প্রত্যেক মূহুর্তেই দেখেছি , আমিও দেখে নিলাম। চাই না আমি এই বাস্তবতা । যদি নিজের হ্যাপিনেস এর কাছে আমার বয়স এর মূল্য বেশি হয় তাহলে কি লাভ টাকা কামিয়ে ? পড়াশুনা করে ? পারব তাকে ভুলে যেতে ? হুম হয়ত সময়ের কালে কাজের ব্যাস্ততায় তাকে ভুলে যাবো । কিন্তু কতক্ষন ? সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন দেখব না "গুড মর্নিং" ম্যাসেজ টা তখন ? যখন রাতে জ্বরের কারনে ঘুমাতে পারি না কে সঙ্গ দিবে আমায় ? যখন বিপদে পরব কে বলবে আরে চিন্তা কর না আল্লাহ আছে না ? সব দেখে নিবেন ? কতক্ষন পারবো তার স্মৃতি গুলো ভুলে থাকতে ? কত কাদলে খোদা তাকে ফিরিয়ে দিবেন ? কত রক্ত ঝরালে খোদা ফিরিয়ে দিবেন আমার ভালোবাসাকে আমার কাছে ? আছে কারো কাছে এর উত্তর ? থাকলে দিন না ! আবার একটু হাসি আগের মতন । তার হাত ধরার আনন্দ টা কি আর ফিরে পাবো না ?
এই পৃথিবীর বাস্তবতার সামনে আজ আমি ব্যার্থ । আজ আমার ভালোবাসা ব্যার্থ । একটা মানুষকে ভালো রাখার , একটা মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্ঠা ব্যার্থ !

আজ বুঝলাম এই পৃথিবী নিষ্ঠুর দের । এই পৃথিবী একার । এই পৃথিবী তে বাচতে হবে নিজের জন্য । ভালোবাসতে হবে নিজেকে । কারন বাস্তবতা সব স্বপ্ন সব আশা ধংষ করে !

ভালোবাসা ! এই শব্দ টার মূল্য আজ আমি বুঝি । কতটা মূল্যবান আমরা ছিলাম একজনের কাছে আরেকজন তা আমরাই জানি । কি হারিয়েছি আমরা , তা শুধু আমরাই জানি !
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×