বাজারের ব্যাগটা অতিক্রম করে মাছের লেজটা বেড়িয়ে এসেছে। বোঝাই যাচ্ছে সাহেব অনেক বড় মাছ কিনেছে আজ। বালকটা দূর থেকে দেখে এসে বললো স্যার ' দুইটা টেকা দেন। ক্ষুধা লাগছে। কিছু খাই নাই'। সাহেব- 'যা বাগ এনতে'। কেউ বুঝলো না।
মেয়েটার শর্ট-টাইট ফিট জামাটাই সবার চোখে পড়লো। একেকজন বাহবা দিলো। Brand & Price নিয়ে প্রশ্নত্তোর পর্বটা চললো। কিন্তু নির্জন এই রাত্রির কনকনে ঠান্ডায় কাবু হওয়া বালকটার গায়ে কোনোমতে জড়িয়ে থাকা জামাটা কেউ দেখলো না। কেউ এসে বললো না কম্বলটা গায়ে দে।
পিছনের পকেটে রাখা মানিব্যাগটা নিয়ে দৌড় দেয়া চোরটা ধরা পরলো। সবাই আচ্ছা মত দিলো। কিন্তু মানিব্যাগের প্রতিটা নোটই যে সাহেবের টেবিলের নিচ থেকে আসা অর্থ সেটা আর কেউ দেখলো না। কেউ তাকে আচ্ছা মত দিলো না।
স্যার বিলটা '১৪০০'। এই নাও ১৪০০ আর বাকি ১০০ তোমার। ধন্যবাদ স্যার।
ঐ বেট্টা ৫টাকা বেশি ভাড়া চাস কে ? টাকা কি গাছে ধরে ? ফহিন্নির পুত, শালারপো ব্লা ব্লা।। কেউ না চাইতেও ১০০টাকা পেয়ে গেল, কেউ ৫টাকা চেয়েও পেল না।
মায়ের ঔষধের টাকা যোগাতে মেয়েটা পতিতাবৃত্তি করছে। সভ্য সমাজের নাগরিকরা থুতু ফেলছে, কেউ সাহাজ্যের হাতটা বাড়ায় না। থার্টি ফার্স্ট নাইটে সভ্য সমাজের মেয়েটা দেশী-বিদেশি নানা ব্রান্ডের নেশা করলো। লিটনের ফ্লাটে রাত কাটালো। কেউ আর থুতু ফেললো না।
উপরের ছবিগুলো হয়তো কোনো DSLR এর ফ্রেমে বাধা হলে হিট পেত। বাস্তবতাকে আর খালি চোখে বাস্তব লাগে না। পকৃত চোখের উপর বিকৃত একটা ল্যান্স না লাগালে সেটা আর দৃশ্যমানতার যোগ্যতা রাখে না।