এদেশে গন্ডায় গন্ডায় চটি লেখক সৃষ্টি হয়,রসময় গুপ্তরা সনামধন্য হয়, 'মা' লিখে গুগলে সার্চ দিতেই মা-ছেলে, ভাই-বোনের কেচ্ছা কাহিনী সামনে এসে যায় তবে বিজ্ঞান দিয়ে যখন কেউ নিজেকে উপস্থাপন করতে আসে চাপাতির কোপ খেয়ে তাদের মরতে হয়।
অভজিত রায় ছিলেন দেশে অন্যতম নাস্তিক। শত শত যুক্তি তর্ক দিয়ে সে ঈশ্বরের অস্তিত্ব মুছে ফেলতে চাইতো। শূন্য থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ছিল তার বিশ্বাসের ভিত্তি। তবে এগুলো ত আর আপনাদের-আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি ছিল না। সে ত গায়ের জোরে তার বিশ্বাসকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিত না। তাবুও তাকে খুন হতে হয়েছে এই যুক্তিতর্কের কারণে। প্রশ্ন জাগে ধর্মের কোথায় এরকম খুনকে সমর্থন করা হয়েছে ?
আবু জাহেলকে ত নবীজি কখনো খুন করেন নি। জাকির নায়েক ত এইরকম শত শত অভিজিতদের সম্মুখীন হয়। তবে তিনি ত তাদের খুন করে না বরং তাদের যুক্তিগুলোকে তাদের দ্বারাই মিথ্যে প্রমাণ করে ছাড়েন। ধর্ম সত্য, ঈশ্বর তথা আল্লাহ সত্য। আপনি যখন তার যুক্তি গুলোকে খন্ডাতে পারছেন না তখন আপনি আপনার ধর্মের কাছ যান, চাপাতি নিয়ে আসেন কেন? ধর্মেই আপনি সব উত্তর খুঁজে পাবেন যেমন করে জাকির নায়েক প্রতিবার খুঁজে পান। ধর্মের দোহাই দিয়ে খুনের হাদিসটার রেফারেন্স চাই সেইসকল ধর্মপ্রাণদের কাছে যারা এই খুনে ঈদের চাঁদ দেখার আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন।
ধর্ম এদেশে এন্টিভাইরাসের কাজ করে। যখন কেউ কোন অপরাধ করে তখন এই ধর্ম দিয়ে নিজেকে স্ক্যান করে নির্দোষ বানিয়ে ফেলে। মানুষও এর বিরুদ্ধে কথা বলে না। ধর্ম এদেশে বড্ড সেন্সিটিভ বিষয়। কেঁচো খুড়তে গিয়ে যদি সাপ বেড়িয়ে আসে।
এদেশে ধর্মগুলো সেই নাস্তিকদের কাছেই সবচেয়ে বেশী নিরাপধ, নামধারী আস্তিকদের থেকে। আমরা দেখেছি কাফেলা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক "মাওলানা ফারুকির রাস্তায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া, আমরা দেখেছি হাজার হাজার কোরআন শরীফ পুড়ে ভস্মীভূত হওয়া, আমরা দেখেছি শত শত মানুষের পেট্রোলে পূড়ে ছাই হওয়া, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের পেছনেও ধর্মটা অনেক ভাইটাল ভাবে কাজ করেছিল। কোনোটাই এই নাস্তিকরা করে নাই। কারণ তাদের সীমানা ঐ ব্লগ আর যুক্তি তর্ক পর্যন্তই।
এদেশে আটরশি, চন্দ্রপাড়া, মাজার পাড়া ব্লা ব্লারা ধর্ম নিয়ে কোটি টাকার ব্যবসা করে আসে ধর্মকে পুজি করে, আর কেউ যখন নিজেকে মুক্তমনা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তখন তাকে পেতে হয় গলায় এটে বসা চাপাতির আঘাতে এক অজানা মৃত্যুর ভয়।
এদেশে এইরকম মুক্তমনাদের কারোনেই ধর্ম শক্তিশালি হয়। এদের যুক্তির কাছে যখন আমরা হেরে যেতে থাকি তখনি ধর্মের ছায়াতলে আশ্রয় খুজতে যাই। ধর্ম নিয়ে ঘাটাঘাটি করি।
আল্লাহ ১৮ হাজার সৃষ্টির মধ্যে নাকি আমাদের আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছে। তবে আল্লাহ যেই হিসেবে আমাদের শ্রেষ্ঠ বলেছেন আমরা বরং তার উল্টোটা বুঝেছি। সৃষ্টি জগতে অন্য কোন প্রানী ব্যক্তিগত খোভে তার স্বজাতিকে খুন করতে পারে না যেটা মানুষ পারে। ইহাই কি সেই শ্রেষ্ঠত্য ?