somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আব্দুল কাদিররা ই আসল দেশপ্রেমিক।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা আমাদের বিজয় এর সাথে মিশে আছে আমাদের প্রতিটি দেশ প্রেমিক মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষা। দল মত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই আজ আমরা স্বাধীনতার ফল ভোগ করছি। তাতে মাঝে মাঝেই কিছু শকুন হানাদের আমাদের সম্প্রীতির সম্পর্কে হানা দেয় স্বার্থ হাসিলের ওন্য। আমাদের দেশের সুবিধার উচ্ছৃষ্ট অংশ ভোগের জন্য একটি গোষ্ঠী সবসবই সজাগ আর তারাই বেশির ভাগ সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার বা দখলদারে পরিনত হয়। তবে আমাদের সাধারন মানুষেরা আজীবনই দেশমাতৃকার জন্য নিজেদের ভালবাসা অকাতরে উজার করে দেন দেশমাতৃকার জন্য। তেমনি একজন ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির যাকে আমি একজন আর্দশ আওয়ামী ও দেশপ্রেমিক বলবো। আমার সাথে সকলেই একমদ হবেন। তিনি বাংলার গ্রামের ফসলি জমিতে সবুজ ফসলের মাঝে অংকন করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আওয়ামিলীগের দলীয়য় প্রতীক নৌকা সাথে আছে আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আব্দুল কাদির তার অন্তরের খাঁটি ভালবাসায় অংকন করেছেন এই চিত্র গুলি। দেশে জাতি বা কোন কোন রাজনৈতিক দলের জন্য আজো হাজারো দরদী কাদির আছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জাতিস্বত্বার একটা বড় অংশ তার কোন সম্মানের হানী কোন বাংলাদেশের চেতনার বিশ্বাসী মানবে ন বা মানতে পারে না। তবে আজ আমাদের দেশের অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশে অনেকেই আজ জাতির জনকের নাম বিক্রি করে তার প্রিয় পোষাক ছয় বুতামের কালো কোট অর্থাৎ মজিব কোট কে স্বার্থ হাসিলের পুঁজি করে নানান অবৈধ স্বার্থ হাসিল করে যাচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আজ যে পরিস্হিতি জন্ম নিয়েছে তা সত্যি অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। একদল এর চরম বিরোধিতায় লিপ্ত আরেক দল বিরোধীদের প্রতিবাদে পারলে জীবন উৎসর্গ করছে। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন ভাস্কর্য কালচার বিশ্বের অন্যান দেশে তো আছেই বাংলাদেশে ও নতুন নয়। জানিনা কাদের কোন স্বার্থ হাসিলে হঠাৎ করেই এই প্রতিরোধ প্রতিবাদ? আর যারা ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধীদের প্রতিরোধ করতে আজ রাস্তা গরম করছেন তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। যা এদেশের মাবুষকে দমবন্ধ করে সহ্য করে যতে হচ্ছে। আর এই কারনেই তাদের সম্পর্ক সাধারন মানুষ থেকে অনেক অনেক দুরে। তাই তারা আজ বাংলাদেশের সাধারন মানুষের ভালবাসা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা কারদের ছুতোয়ে আজ পথে নামে সাধারন নানুষের একটা সহানুভূতি আদায়ের সুযোগ হাসিলের একটা চেস্টা চালাচ্ছেন। আমি প্রবীন আওয়ামিলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনাদের নামের আগে অনেকের সম্মান সুচক ই বীর মুক্তিযুদ্ধা উপাধী আছে। মুক্তিযুদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা মৃত্যুঞ্জয়ী সত্যের পথে তারা আপোষহীন।
আমি মুক্তিযুদ্ধের আমার সম্মানের সর্বোচ্চ স্হানেই রাখি। আমার বাবা ও একজন মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন তবে সময়ের পরিবর্তন ও তথাকথিত অনেক ভুয়া মক্তিযুদ্ধাদের ভীরে আমার বাবার নাম টি আজো মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকায় স্হান পায় নি। তাতে কোন আক্ষেপ নাই তার পর ও নিজের ভিতর ই গর্ব হয় আমি একজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান। আমি যে কথা বলছিলাম আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা কারিদের হঠাতে নাকি জীবন বাজী রেখে নেমেছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই নির্মম কলংকময়ব দিনেটি তে আপনারা কোথায় ছিলেন। সেদিন কেউ খন্দকার মোস্তাক সরকরাকে শপথ পাঠ করাতে কেউ বা মন্ত্রী হতে সাজুগিজু করে নিজেকে তৈরিতে ছিলেন ব্যস্ত। আর অপেক্ষাকৃত কম বরসের যারা তাদের অন্তরে তেমন ই কোন গুপ্ত আশা সুপ্ত ভাবে লুকিয়ে আছে যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ইনভেস্টিগেন ৩৬০ ডিগ্রি র " বোবা ভাস্কর্যের গল্প " শিরোনামের অনুষ্ঠানে আমরা দেখেছি ভাস্কর্য তৈরির নামে বড় বড় জালিয়াতি ও দুর্নীতির গল্প। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন যারা ই আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কথা বলছে আবার বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নির্মানে দুর্নীতি ও চুরি করছে তাদের আসল উদ্দেশ্য টা কি? আমি হলফ করে বলতে পারি আজ যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানে বাঁধাদান কারীদের বিরোধিতা করছে তাদের একটি বিরট অংশের ই উদ্দশ্য ভাস্কর্য নির্মান প্রকল্প সহ সরকারের উন্নয়নের নানান প্রকল্পের কাজের ঠিকাদারি হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি কখনোই ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয় এরাই খন্দকার মোস্তাক ও তার সঙ্গী সাথীদের মত নতুন দের সাথে ক্ষমতার অংশীদার হতে অনেক কিছুই বিলিয়ে দিবে। এমন কি সেদিন তারা জাতির জনকের ভাস্কর্য নিজ হাতে ভাংগতে ও কুন্ঠা বোধ করবে না। তবে এটাই বাস্তব এটাই সত্য আব্দুল কাদিরাই আসল নীতিবান ও দেশপ্রেমিক। এই আব্দুল কাদিরের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা আাদের বিজয়। আব্দুল কাদের প্রতি রহিল বিনম্র শ্রদ্ধায়।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×